প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৮ আগস্ট ২০২৩ ১২:৩৬ পিএম
আপডেট : ০৮ আগস্ট ২০২৩ ২২:৩২ পিএম
অনেকক্ষেত্রেই পিডোফাইল চক্রের সঙ্গে যুক্তরা শিশুদের প্রলোভন দেখিয়ে উদ্দেশ্য হাসিল করে। ছবি : সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (এফবিআই) একটি আন্তর্জাতিক
শিশুকামী (পেডোফাইল) চক্রের নেটওয়ার্ক উন্মোচনের পর অস্ট্রেলিয়ার কর্তৃপক্ষ ১৯ জন পুরুষের
বিরদ্ধে শিশুদের যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এনেছে।
অভিযুক্ত বেশিরভাগ সন্দেহভাজনের বয়স ৩২ থেকে ৮১ বছর। তাদের সবারই
কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের প্রযুক্তিগত জ্ঞান রয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পুলিশ কমান্ডার হেলেন স্নাইডার মঙ্গলবার (৮
আগস্ট) জানিয়েছেন, ১৩টি শিশু নির্যাতনকারী নেটওয়ার্ক থেকে তাদের শনাক্ত করা হয়েছে,
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ডার্কওয়েবে শিশু নির্যাতনের ডেটা ভাগ করার জন্য এনক্রিপশন ও অন্যান্য
উপায় তৈরির অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযুক্তদের মধ্যে কেউ কেউ আবার নিজেরাই শিশু নির্যাতনের কনটেন্ট
তৈরি করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্নাইডার বলেন, ‘এনক্রিপশন
ও ডার্ক ওয়েব ব্যবহারে হওয়া অপরাধের ক্ষেত্রে অপরাধীকে শনাক্ত করা একটি চ্যালেঞ্জ।
কিন্তু এই অপারেশটনটি দেখাচ্ছে, আমরা যদি একসঙ্গে (আন্তর্জাতিকভাবে) কাজ করি তাহলে
অভিযুক্ত অপরাধীদের আদালতের সামনে আনতে পারি।’
শিশু নির্যাতনের বিষয়বস্তু দেখা, বিতরণ ও উৎপাদন ভয়ংকর অপরাধ হিসেবে
বিবেচিত। আমাদের প্রচলিত সার্ফেস ওয়েবে এগুলো আপলোড করা হয় না। অপরাধীরা যাতে ধরা না
পড়ে, এ জন্য তারা ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করে। যেগুলোতে বিশেষ ব্রাউজার বা ঠিকানা জানা
ছাড়া কেউই ঢুকতে পারে না।
অনেকক্ষেত্রে এই অপরাধী চক্র বেশ প্রভাবশালীও হয়ে উঠে। ২০২১ সালে এ ধরনের একটি চক্রের হাতে ২ এফবিআই এজেন্ট খুন হন। পরে যুক্তরাষ্ট্র এ নিয়ে জোরেশোরে তদন্ত শুরু করে। তদন্তের অংশ হিসেবে দেশটির কর্তৃপক্ষ এ পর্যন্ত ৭৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং ৪৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে।
এফবিআইয়ের থেকে প্রাপ্ত তথ্যের আলোকেই অস্ট্রেলিয়ার কর্তৃপক্ষ অভিযুক্তদের
শনাক্ত করল।
সূত্র : আল জাজিরা