প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২০ মে ২০২৩ ১৫:২৭ পিএম
আপডেট : ২১ মে ২০২৩ ১৮:১৫ পিএম
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর আস্থা রেখে ছাত্রদের ফেলই করিয়ে দিলেন আমেরিকার এক প্রফেসর, যদিও পরে তিনি ছাত্রদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। ছবি : সংগৃহীত
চ্যাটজিপিটির মতো বৃহৎ ভাষা মডেল যেমন সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে, তেমনি
জাগাচ্ছে শঙ্কাও। তবে আর যাই হোক, এখনও এই ধরনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর পুরোপুরি
আস্থা রাখার সময় আসেনি। কিন্তু কে শোনে কার কথা?
চ্যাটজিপিটির ওপর পুরো আস্থা রেখে ভুলই করে বসলেন আমেরিকার
এক প্রফেসর। যদিও সেই প্রফেসরের নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে স্থানীয় গণমাধ্যমে এসেছে
ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের সেই প্রফেসর নাকি ক্লাস অ্যাসাইনমেন্ট করতে দিয়েছিলেন ছাত্রদের।
তার ছাত্ররাও সময়মতো তা শেষ করে প্রফেসরের কাছে জমা দেন।
বিপত্তি বাধে তখনই, যখন প্রফেসর চ্যাটজিপিটির কাছে ছাত্রদের
অ্যাসাইনমেন্ট তুলে ধরেন, তখন মেশিনটি জানায়, লেখাগুলো কম্পিউটার প্রোগ্রামের জেনারেট
করা। প্রফেসর চ্যাটজিপিটির কথা সত্য ধরে তার সব ছাত্রকে ফেল করিয়ে দেন।
পরে পরীক্ষা নিরীক্ষা ও অনুসন্ধানে দেখা যায়, চ্যাটজিপিটির
মূল্যায়ন মিথ্যা। ছাত্ররা নিজেরাই তাদের অ্যাসাইনমেন্ট করেছিল এবং মোটেও সেগুলো কোনো
কম্পিউটার প্রোগ্রামের লেখা ছিল না। পরে প্রফেসর তার ভুল বুঝতে পেরে ছাত্রদের কাছে
ক্ষমা চেয়েছেন এবং তাদেরকে পুনরায় অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেওয়ার জন্য বলেছেন।
এবারের মতো ছাত্ররা সুযোগ পেলেও এ ঘটনা প্ল্যাজারিজমের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা জাগিয়ে তুলেছে। মৌলিক গবেষণাপত্রের ক্ষেত্রে কোনটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার লেখা ও কোনটি মানুষের লেখা, তা বোঝার যে এখনও গ্রহণযোগ্য কোনো উপায় বের হয়নি, তা স্পষ্ট হয়েছে।
সূত্র : ফার্স্টপোস্ট