প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৪ মে ২০২৩ ১৫:০৫ পিএম
মেটার প্রধান তথ্য নিরাপত্তা কর্মকর্তা গাই রোজেন। ছবি : সংগৃহীত
চ্যাটজিপিটির নাম ব্যবহার করে অনলাইনে ম্যালওয়্যার যুক্ত অ্যাপ্লিকেশন
ও ক্ষতিকর ব্রাউজার এক্সটেনশন ছড়াচ্ছে সাইবার অপরাধীরা। এমনটাই বুধবার (৩ মে) জানিয়েছে
ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা। ঘটনাটিকে ক্রিপ্টোকারেন্সি স্ক্যামের সঙ্গে তুলনা করেছে
কোম্পানিটি।
মেটা এক প্রতিবেদনে বলেছে, চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে এ পর্যন্ত তারা
প্রায় ১০টি ম্যালওয়্যারের ধরণ ও ১ হাজারেরও বেশি ক্ষতিকর লিঙ্ক খুঁজে পেয়েছে, যেগুলোতে
জনপ্রিয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির বৈশিষ্ট্যযুক্ত টুল পাওয়ার
প্রলোভন প্রচার করা হয়েছিল।
কিছু ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটির কার্যকারিতার পাশাপাশি এটি দিয়ে নিষিদ্ধ কাজের প্রলোভনও দেখানো হয়েছে। যেসব আসল চ্যাটজিপিটি দিয়ে সম্ভব নয়। প্রতিবেদনটির ওপর দেওয়া এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কথা বলতে গিয়ে মেটার প্রধান তথ্য নিরাপত্তা কর্মকর্তা গাই রোজেন চ্যাটজিপিটি আসলে নতুন ক্রিপ্টো।
অনলাইন আর্থিক লেনদেনে ক্রিপ্টোকারেন্সি এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে
এসেছে। ক্রিপ্টোকারেন্সির পরিধি যত বাড়ছে, এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ক্রিপ্টো স্ক্যামের
(জালিয়াতি) সংখ্যা। গাই রোজেন সেদিকে আলোকপাত করেই চ্যাটজিপিটিকে নতুন ক্রিপ্টো হিসেবে
আখ্যায়িত করেছেন।
গত নভেম্বরে চ্যাটজিপিটি
উন্মুক্ত হওয়ার পর থেকে লাখ লাখ মানুষ এটি ব্যবহার করছে। এরই মধ্যে আরও শক্তিশালী
নতুন সংস্করণ জিপিটি-৪ উন্মুক্ত করেছে ওপেনএআই, যা আরও নির্ভুল তথ্য প্রদানে সক্ষম। ওপেনএআই নিজেও স্বীকার
করে যে,
চ্যাটজিপিটি বা জিপিটি-৪ পুরোপুরি নির্ভুল নয়।
সূত্র : এক্সপ্রেস ট্রিবিউন