প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৫ এপ্রিল ২০২৩ ১১:৪২ এএম
আপডেট : ১৫ এপ্রিল ২০২৩ ১২:৩৯ পিএম
বেশ কয়েকবারই গণমাধ্যমের কাছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে মানবতার জন্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন ইলন মাস্ক। ছবি : সংগৃহীত
দ্যাল-ই, চ্যাটজিপিটির
মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সেবা দিয়ে প্রযুক্তি জগৎ মাতাচ্ছে ওপেনএআই। একই রকম এআই
প্রযুক্তির পথে হাঁটছে সার্চ জায়ান্ট গুগল, চীনের প্রযুক্তি কোম্পানি বাইদু, আলিবাবা।
এবার এ পথে যুক্ত হলেন টেসলা, স্পেসএক্স ও টুইটারের মালিক ইলন মাস্ক।
ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জন্য নিবেদিত একটি নতুন কোম্পানি তৈরি
করেছেন ইলন মাস্ক। যার নাম দিয়েছেন এক্স.এআই। নেভাদার একটি ফাইলিং ইঙ্গিত করছে যে খুব
সম্ভব গত মাসেই কোম্পানিটি তালিকাভুক্ত হয়েছে। যেখানে পরিচালক হিসেবে মাস্ক এবং মাস্কের
পারিবারিক পরিচালক জ্যারেড বার্চাল সচিব হিসেবে তালিকাভুক্ত রয়েছেন।
মাস্কের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
কোম্পানি শুরু করার বিষয়ে কথাবার্তা বেশ কয়েকদিন ধরেই প্রযুক্তি জগতে আলোচিত হচ্ছে।
বিজনেস ইনসাইডার এক প্রতিবেদনে আগে জানিয়েছিল, মাস্ক তার আসন্ন জেনারেটিভ এআইয়ের শক্তি
জোগাতে হাজার হাজার গ্রাফিক প্রসেসিং ইউনিট (জিপিইউ) কিনেছেন।
ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসও
এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, মাস্ক মাইক্রোসফট সমর্থিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোম্পানি ওপেনএআইয়ের
সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য নতুন একটি ফার্ম তৈরির পরিকল্পনা করছেন। এমনকি কথিত
আছে যে, মাস্ক কোম্পানি শুরু করার জন্য স্পেসএক্স ও টেসলা বিনিয়োগকারীদের থেকেও তহবিল
চেয়েছেন।
যদিও এর আগে মাস্ককে
গ্রাফিক্স কার্ড কেনার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলেও তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোম্পানি
প্রতিষ্ঠার বিষয়ে কিছু বলেননি। যদিও সম্প্রতি খোলাখুলিভাবেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার
দ্রুত বিকাশের বিরোধিতা করেছেন। এমনকি ছয় মাসের জন্য শক্তিশালী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসংক্রান্ত পরীক্ষানিরীক্ষা বন্ধ করার অনুরোধযুক্ত এক খোলা চিঠিতে স্বাক্ষর করেন তিনি।
এর আগেও মাস্ক বেশ কয়েকবার
অনিয়ন্ত্রিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে মানবতার জন্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তার
মতে, পারমাণবিক বোমা, জলবায়ু পরিবর্তনের থেকেও বড় হুমকি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
প্রযুক্তি উদ্যোক্তা
ইলন মাস্কের মহাকাশ, ইলেকট্রিক কার থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্যবসা উদ্যোগ রয়েছে। এমনকি
ওপেনএআইয়ের প্রথম দিককার বিনিয়োগকারীদের মধ্যে তিনি একজন। পরে কাজের চাপ কমাতে কোম্পানিটির
পরিচালনা পর্ষদ থেকে সরে আসেন তিনি।
গত নভেম্বরে ওপেনএআইয়ের
ফ্ল্যাগশিপ প্রজেক্ট চ্যাটজিপিটি উন্মুক্ত হলে তা প্রযুক্তি জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
পরে মাইক্রোসফট কোম্পানিটিতে আরও ১ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দেয়। এমনকি মাইক্রোসফটের
সেবাগুলোতেও ওপেনএআইয়ের প্রযুক্তি যুক্ত করতে শুরু করে। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে গুগলও
তাদের বানানো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ‘বার্ড’ উন্মুক্ত করেছে। খুব শিগগিরই তা গুগলের সার্চ
ইঞ্জিনের সঙ্গে যুক্ত করার কথা রয়েছে।
এরই মধ্যে আরও শক্তিশালী নতুন সংস্করণ জিপিটি-৪ উন্মুক্ত করেছে ওপেনএআই, যা আরও নির্ভুল তথ্য প্রদানে সক্ষম। ওপেনএআই নিজেও স্বীকার করে যে, চ্যাটজিপিটি বা জিপিটি-৪ পুরোপুরি নির্ভুল নয়।
সূত্র : দ্য ভার্জ