প্রবা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৩ জানুয়ারি ২০২৩ ১১:৫১ এএম
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বিশ্বের নামিদামি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। ছবি : সংগৃহীত
ওপেনএআই গত বছর তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ‘চ্যাটজিপিটি’ উন্মুক্ত করেছে। খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে এটি প্রযুক্তিপ্রেমীদের আগ্রহের কেন্দ্রে চলে এসেছে। প্রযুক্তিজগতে আলোচনা শুরু হয়ে যায় গুগলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে যাচ্ছে ওপেনএআইয়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
হয়েছেও তাই। চ্যাটজিপিটির সক্ষমতা দেখে নড়েচড়ে বসেছে টেকনোলজি জায়ান্ট গুগল। কারণ প্রতিষ্ঠানটিও এআই সংক্রান্ত প্রযুক্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করছে।
সম্প্রতি নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুগলের প্রতিষ্ঠাতা ও এর মূল কোম্পানি আলফাবেটের গুরুত্বপূর্ণ শেয়ার হোল্ডার ল্যারি পেইজ ও সার্জেই ব্রিন এরই মধ্যে ‘চ্যাটজিপিটি’ ইস্যুতে গুগল নির্বাহীদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। এ ছাড়া চলতি বছরই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাযুক্ত ২০টি পণ্য বাজারে আনার পরিকল্পনা করছে তারা।
প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, এ বছর গুগল তাদের নিজস্ব সার্চ ইঞ্জিনের চ্যাটবটযুক্ত সংস্করণ উন্মুক্ত করতে পারে। তবে গুগল কবে নাগাদ এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর ডেমো ভার্সন উন্মুক্ত করবে, তা জানায়নি।
অথচ গত ডিসেম্বরেও গুগলের শীর্ষ কর্তাদের ধারণা ছিল, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় প্রচুর বিনিয়োগের পরও এ খাতে দ্রুত এগিয়ে যাওয়া কোম্পানিটির ক্ষতির কারণ হতে পারে। কিন্তু চ্যাটজিপিটি প্রতিষ্ঠানটির চোখের সামনেই দেখিয়ে দিয়েছে, সব কিছু দ্রুত বদলে যাচ্ছে।
শনিবারই গুগল ১২ হাজারের বেশি কর্মী ছাঁটাই করেছে এবং তাদের কোম্পানির প্রাথমিক গুরুত্ব হিসেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ফোকাসের বিষয়টি জানিয়েছে। এরই মধ্যে গবেষণা বিভাগকে নতুনভাবে ব্র্যান্ডিং করতে ব্যবহার করা ছবি তৈরির ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি ‘টেক্সট টু ইমেজ’নির্ভর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করছে। এটি এমন এক প্রযুক্তি, যা লেখার বিষয়বস্তু থেকে ছবি তৈরি করতে পারে।
মূলত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করছে বিশ্বের বড় প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে চ্যাটজিপিটি উন্মুক্ত হওয়ায় এ নিয়ে কার্যক্রমের গতি আরও বাড়বে, তা এখনই স্পষ্ট হয়ে গেছে।
এদিকে এআইয়ের যাত্রায় পিছিয়ে থাকতে চায় না মাইক্রোসফটও। প্রতিষ্ঠানটি চাইছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চ্যাটজিপিটিতে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে। এ বিষয়ে ওপেনএআইয়ের সঙ্গে আলোচনাও শুরু করেছে তারা।
যদি দুই প্রতিষ্ঠানের আলোচনা সফল হয় তাহলে ওপেনএআইয়ের অর্থের পরিমাণ দাঁড়াবে ২৯ বিলিয়ন ডলার। তবে এখনও কোনো চুক্তির বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মাইক্রোসফট ও ওপেনএআই দুই প্রতিষ্ঠানই এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
সূত্র : দ্য ভার্জ