প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২২ ডিসেম্বর ২০২২ ২০:৪৬ পিএম
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২২ ২০:৫৮ পিএম
গোলটেবিল আলোচনায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। ছবি : সংগৃহীত
মেধাসত্ত্ব সুরক্ষায় মেধা সম্পদের মালিকানা নিশ্চিত করা অপরিহার্য বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
তিনি বলেন, ‘বস্তুগত সম্পদের মালিকানার মতো মেধা সম্পদের মালিকানা নিশ্চিত করা অপরিহার্য। মেধা সম্পদের মালিকানা সুরক্ষিত না হলে দেশে উদ্ভাবন বা সৃষ্টিশীলতা বিকশিত হবে না। উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতা হচ্ছে পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের পূর্ব শর্ত।’
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) ঢাকায় মোবাইল অপারেটর রবির প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সংগঠন টিআরএনবি ও রবি আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘কাগজ ভিত্তিক প্রকাশনার ওপর ভিত্তি করে কপিরাইটের সূচনা হয়। সময় পাল্টেছে। বর্তমানে বুদ্ধিভিত্তিক মেধাসত্ত্বের পাশাপাশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা রোবট দিয়ে উদ্ভাবন হচ্ছে। উদ্ভাবনের এ সব বিষয় মাথায় রেখেই মেধাসত্ত্বের বিষয়টি নিয়ে আইন প্রণয়ন করার বিকল্প নেই।’
১৯৮৮ সালে নিজের উদ্ভাবিত বিজয় বাংলা সফটওয়্যারের মেধাসত্ত্ব নিবন্ধনের জটিলতা তুলে ধরেন মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, ‘মেধা যে একটা সম্পদ, সেটা বুঝাতেই পারিনি সংশ্লিষ্টদের। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর সেই জটিলতার অবসান হয়।’
মন্ত্রী বলেন, ‘উদ্ভাবনের মালিকানা সত্ত্ব না পেলে উদ্ভাবক সৃষ্টি হবে না। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা রোবটিক্সের মাধ্যিমে উদ্ভাবিত সৃষ্টিশীলতার মেধার মালিকানা কার থাকবে, আইনে সেটাও স্পষ্ট হওয়া উচিৎ। রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে উদ্ভাবনের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। এ খাতে যথাযথ বিনিয়োগ অপরিহার্য। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে উদ্ভাবন ছাড়া টিকে থাকার শক্তি নেই।’
পঞ্চম শিল্প বিপ্লব হচ্ছে মানুষ ও যন্ত্রের সমন্বিত রূপ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এ জন্য আমাদের তৈরি থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় দেশ শত বছরের পশ্চাদপদতা অতিক্রম করে পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্বের জায়গায় উপনীত হয়েছে। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রস্তুত।’
সাংবাদিকদের সংগঠন টিআরএনবির সভাপতি রাশেদ মেহেদির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে রবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব শেঠী, এমটবের সেক্রেটারি জেনারেল ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এস এম ফরহাদ, বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, টিআরএনবি সেক্রেটারি মো. মাসুদুজ্জামান রবিন, কপিরাইট কার্যালয়ের কর্মকর্তা নওরীন জাহান নিশা এবং ই-ক্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দিন শিপন বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ।