মনির হোসেন রনি
প্রকাশ : ১০ মে ২০২৫ ১৮:৪৩ পিএম
আপডেট : ১০ মে ২০২৫ ১৮:৪৯ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বজুড়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই বর্তমানে মানব সভ্যতার অন্যতম আলোচিত বিষয়। এর ফলে যেমন উন্মোচিত হয়েছে বিপুল সম্ভাবনার দ্বার, তেমনি সৃষ্টি হয়েছে কর্মসংস্থান ও নৈতিকতার জটিলতা। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ব্যবসা, গণমাধ্যমসহ প্রায় প্রতিটি খাতে এআইয়ের প্রভাব এখন দৃশ্যমান। তবে এই অগ্রগতির আরেকটি দিক হলো— অনেক প্রচলিত পেশা হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আগামী কয়েক বছরে বিপুলসংখ্যক কর্মসংস্থান অটোমেশনের আওতায় চলে যাবে, ফলে শ্রমবাজারে বড় ধরনের রূপান্তর ঘটবে। বিপুলসংখ্যক মানুষ চাকরির ঝুঁকিতে পড়তে পারে। আবার একইসঙ্গে, নতুন কিছু পেশা ও দক্ষতার চাহিদা তৈরিও হবে।
ঝুঁকিতে থাকা যেসব চাকরি
বিশ্বব্যাপী গবেষণা ও বিশ্লেষণ বলছে, এমন পেশাগুলো সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মুখে, যেগুলো নিয়মিত, পুনরাবৃত্তিমূলক এবং যন্ত্র দিয়ে সহজে সম্পাদনযোগ্য। এর মধ্যে অন্যতমÑ
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের তথ্যমতে, ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বে প্রায় ৮৫ মিলিয়ন চাকরি বিলুপ্ত হতে পারে, তবে একই সঙ্গে প্রায় ৯৭ মিলিয়ন নতুন ধরনের চাকরি সৃষ্টি হবে — যেগুলোর জন্য সম্পূর্ণ নতুন দক্ষতা প্রয়োজন হবে।
টিকে থাকার কৌশল
যারা পরিবর্তনের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারবেন, তাদের জন্য এই প্রযুক্তি বিপ্লব নতুন সুযোগের দুয়ার খুলে দিচ্ছে। নিচে কয়েকটি করণীয় তুলে ধরা হলো:
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও করণীয়
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এআই-এর সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হলে দরকার:
শেষ কথা
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চাকরির বাজারে পরিবর্তনের বাতাস এনেছে—কখনও তা ঝড়, কখনও তা সুযোগের নতুন দিগন্ত। যারা এই পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারবেন, তাদের জন্য ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। তাই ভয় নয়, প্রস্তুতিই হোক আমাদের পথচলার প্রেরণা। যারা প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেদের দক্ষ করে তুলতে পারবেন, তাদের জন্য এই যুগ হয়ে উঠবে সম্ভাবনার। তাই এখনই সময় — পরিবর্তনকে আলিঙ্গন করার এবং নিজেকে গড়ে তোলার এক নতুন উচ্চতায়।