প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:৩১ পিএম
আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:৩১ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
হঠাৎ করেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘ডিপসিক’। শব্দটি নিয়ে চলছে বিস্তর কথোপকথন। এটি একটি আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স কোম্পানি যা কিনা অ্যাপল স্টোরে মুক্তির পর বিশ্বব্যাপী শেয়ারবাজার ধসের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ডিপসিক একটি চীনা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) কোম্পানি। এর প্রতিষ্ঠাতা লিয়াং ওয়েনফেং ২০২৩ সালে কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠা করেন। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ডিপসিক তাদের চ্যাটবট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উন্মোচন করে এবং দ্রুতই এটি অ্যাপল অ্যাপ স্টোরে সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড করা বিনামূল্যের অ্যাপে পরিণত হয়।তবে এখন এই অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
এটি যদি মার্কিন কংগ্রেসে আইন হিসেবে পাশ হয়, তবে এই এআই ব্যবহার করার জন্য ২০ বছর পর্যন্ত কারাবাস এবং ৬.৫ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
ডিপসিক এআইয়ের বিরুদ্ধে অনেক গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। বলা হয়েছে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারকারীর তথ্য সব চীনে পাঠিয়ে দিচ্ছে। এছাড়াও এর কোডিংয়ে এমন প্রোগ্রামিং করা আছে যা ব্যবহারকারীদের সংবেদনশীল তথ্য চীন সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত একটি সংস্থায় পাঠাচ্ছে। চীনের সঙ্গে তথ্য শেয়ার করার জন্য আমেরিকা এই এআইকে নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছে।
অস্ট্রেলিয়ায় সকল সরকারি সিস্টেম থেকে ডিপসিক এআই সরিয়ে নিতে সম্প্রতি সরকার নির্দেশ দিয়েছে। কারণ গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে জানা গেছে যে, এটি নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। একইভাবে, ইতালি এই সেবা বন্ধ করে দিয়েছে এবং তথ্য সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ভারতে, অর্থ মন্ত্রণালয় সরকারি ডিভাইসে চ্যাটজিপিটি ও ডিপসিকের এআই ব্যবহার থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছে।