প্রবা ডেস্ক
প্রকাশ : ০১ ডিসেম্বর ২০২২ ১৪:৫৫ পিএম
আপডেট : ০১ ডিসেম্বর ২০২২ ১৫:১২ পিএম
স্যাম ব্যাঙ্কম্যান-ফ্রাইড। ছবি : সংগৃহীত
সদ্য দেউলিয়া হওয়া ক্রিপ্টোকারেন্সি বিনিময় প্ল্যাটফরম এফটিএক্সের সাবেক প্রধান নির্বাহী স্যাম ব্যাঙ্কম্যান-ফ্রাইড প্রতারণার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, তার কাছে আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটির পতনের পর প্রথম জনসমক্ষে দেওয়া বক্তব্যে এ কথা বলেছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমি কখনই প্রতারণার চেষ্টা করিনি। এবং ইচ্ছাকৃতভাবে বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করিনি।’
যদিও স্যাম জানান, তার আইনজীবীরা তাকে জনসমক্ষে কথা না বলার পরামর্শ দিয়েছিলেন, কিন্তু তিনি তা উপেক্ষা করেন।
ব্যক্তিগতভাবে এফটিএক্সের তহবিল থেকে অর্থ স্থানান্তরিত করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
স্যাম বলেন, এখন তার কাছে কিছুই নেই।
বরং উল্টো তিনি বলছেন, তার ক্রেডিট কার্ডে ১ লাখ ডলার ঋণই রয়েছে। অথচ একসময় ওয়ারেন বাফেটের সঙ্গে তুলনা করা স্যাম অক্টোবরেও ছিলেন ১৫ বিলিয়ন ডলারের মালিক!
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনেও বলা হয়েছে, নভেম্বর স্যামের জন্য খারাপ মাস ছিল। একসময়ের ক্রিপ্টো রাজার এখন কোনো অর্থই অবশিষ্ট নেই!
এফটিএক্সের অনেক বিনিয়োগকারী দেউলিয়া হয়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠানটি থেকে তাদের অর্থ তুলতে পারেননি।
এক মাস আগেও কেউ কল্পনা করতে পারেনি যে এফটিএক্স সাম্রাজ্য ভেঙে পড়তে পারে। এরই মধ্যে অস্থির ক্রিপ্টোকারেন্সির দরদামে এর প্রভাব পড়েছে।
স্যাম এক টুইট বার্তায় বলেছিলেন, ‘আমি সত্যিই দুঃখিত আমরা এখানে শেষ করছি। আশা করি এটি পুনরুদ্ধারের উপায় খুঁজে পাওয়া যাবে।’
গত মাসের শুরুর দিকে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে এফটিএক্স ও ব্যাঙ্কম্যানের মালিকানাধীন সংস্থাগুলো আর্থিকভাবে নড়বড়ে অবস্থায় রয়েছে। ফলে অনেক গ্রাহক এফটিএক্স থেকে তাদের তহবিল উঠিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।
এতে প্রতিষ্ঠানটি নগদ অর্থ সংকটের মুখোমুখি হয়। স্যাম ব্যাঙ্কম্যান বেলআউটের অর্থ জোগাড়ের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। অনেক গ্রাহকই অর্থ তুলতে পারেননি।
এফটিএক্সের এমন পরিণতিকে ক্রিপ্টোকারেন্সি জগতের জন্য শঙ্কার বলে মনে করেন এফটিএক্সের একসময়ের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী বিন্যান্সের প্রধান নির্বাহী চ্যাংপেং ঝাও। যিনি ক্রিপ্টোজগতে সিজে নামে পরিচিত।
সিজে বলেন, ‘এফটিএক্সের নিচে নেমে যাওয়া এ শিল্পের (ক্রিপ্টোজগতের) কারও জন্য ভালো নয়। এটিকে আমাদের জন্য একটি জয় হিসেবে দেখবেন না। এতে ব্যবহারকারীর আস্থা মারাত্মকভাবে নড়বড়ে হয়েছে।’