× ই-পেপার প্রচ্ছদ সর্বশেষ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ধর্ম ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ডিপসিকের খরচের দাবির স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন

প্রবা প্রতিবেদন

প্রকাশ : ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:২৯ পিএম

আপডেট : ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ ০০:১৬ এএম

ডিপসিক। ছবি : সংগৃহীত

ডিপসিক। ছবি : সংগৃহীত

চীনের হাংঝাউভিত্তিক স্টার্টআপ ডিপসিক, গুগল এবং ওপেনএআই-এর মডেলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সক্ষম এমন একটি আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) মডেল প্রকাশ করার পর বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তিবাজারে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। তাদের দাবি, তারা অত্যন্ত কম খরচে আর১ মডেলটি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে, যা সিলিকন ভ্যালির শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের মডেলগুলোর তুলনায় ব্যাপক সাশ্রয়ী।

তবে কেউ কেউ তাদের খরচের দাবির বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। তারা ধারণা করছেন, ডিপসিক হয়ত আরও উন্নত চিপ এবং অর্থনৈতিক সহায়তা পেয়েছে যা তারা আগে প্রকাশ করেনি।

ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক পেদ্রো ডোমিঙ্গোস বলেন, ‘এটি একটি খোলামেলা প্রশ্ন যে ডিপসিকের দাবিগুলো বিশ্বাসযোগ্য কি না! ৬ মিলিয়ন ডলারে একটি মডেল প্রশিক্ষণ দিতে সক্ষম। তবে এটি কেবল ফাইন-টিউনিং এবং পোস্ট-প্রসেসিং এর খরচের ক্ষেত্রে সম্ভব। আসল প্রশিক্ষণ খরচ অনেক বেশি হতে পারে।’

ডিপসিক গত সপ্তাহে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে দাবি করেছে, তারা ২ হাজার এনভিডিয়া এইচ৮০০ জিপিইউ ব্যবহার করেছে, যা মূলত যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। একটি কম উন্নত চিপ ও ৫ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলারে আর১ বেস মডেল ভি৩ প্রশিক্ষণ দিয়েছে।

ওপেনএআই-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইইউ) স্যাম অল্টম্যান বলেছেন, তাদের জিপিটি-৪ মডেল প্রশিক্ষণ করতে ১০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি খরচ হয়েছে, যেখানে বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন তারা আরও ২৫ হাজার উন্নত এইচ১০০ জিপিইউ ব্যবহার করেছে।

ডিপসিকের প্রতিষ্ঠাতা লিয়াং ওয়েনফেং ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর, তাদের এ ঘোষণাটি আমেরিকার শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিশাল বাজারমূল্য এবং বিনিয়োগের ধারণা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এটি এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের প্রযুক্তিগত প্রভাবশালী পদক্ষেপের কার্যকারিতা নিয়েও সন্দেহ সৃষ্টি করেছে।

এনভিডিয়া, যা জেনারেটিভ এআই চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় জিপিইউ সরবরাহে প্রায় একচেটিয়া অবস্থানে রয়েছে, সোমবার (২৭ জানুয়ারি) শেয়ারের দাম ১৭ শতাংশ কমেছে। এতে তাদের ৫৯৩ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে – যা সুইডেনের মোট জিডিপির সমান।

অধিকাংশ বিশেষজ্ঞের মতে, ডিপসিকের আর১ মডেলটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য হলেও, তাদের দাবি গুলি নির্ভরযোগ্য কি না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা মতো। ভিআর কোম্পানি ওকোলাস ভিআরের প্রতিষ্ঠাতা পামার লাকি বুধবার ডিপসিকের বাজেটকে ‘ভুয়া’ বলেছেন এবং ‘চীনা প্রোপাগান্ডার‘ অংশ হিসেবে এটি ছড়ানো হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

এদিকে সিএনবিসিতে এক সাক্ষাতকারে স্কেল এআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইইউ) আলেক্সান্ডার ওয়াংও দাবি করেছেন, ডিপসিকে সম্ভবত আরও ৫০ হাজার উন্নত এইচ১০০ চিপ ব্যবহার করেছে। তিনি অবশ্য এ দাবির কোনো প্রমাণ দেননি।

কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এআই বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক টিম মিলার বলেন, ‘ডিপসিকের দাবিগুলোর উপর কতটুকু বিশ্বাস রাখা উচিত তা বলা কঠিন। মডেলটি কিছু বিস্তারিত প্রকাশ করেছে, তবে তাদের দাবি অনুযায়ী মূল পরিবর্তনগুলোর খরচ স্পষ্ট নয়।’

অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেছেন, প্রযুক্তির ক্ষেত্রে কখনও কখনও অপ্রত্যাশিত সাফল্য আসে এবং দক্ষতা বাড়ানোর ফলে খরচ কমতে পারে।

আগে ডিপসিকে কাজ করা এক পিইচডি শিক্ষার্থী ঝিহান ওয়াং সমালোচকদের জবাব দিয়ে বলেছেন, ‘তার সস্তা আলাপ করছে। বলা সহজ, কাজ করা কঠিন। যদি তারা কোডে সময় কাটাত, তাহলে ডিপসিকের ধারণা পুনরুৎপাদন করা অনেক ভালো হতো’

এছাড়াও ২০২৩ সালে চীনা মিডিয়া ওয়েবস-এর সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে লিয়াং ওয়েনফেং বলেছেন, তাদের কোম্পানি ১০ হাজার এনভিডিয়া চিপ স্টক করেছে, যা এইচ৮০০ চিপের তুলনায় পুরনো এবং পরে তাদের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার কারণে এ চিপগুলি ব্যবহার করা সম্ভব হয়েছে।

আর১ মডেলটির কিছু ব্যবহারকারী জানান, চীনের উৎপত্তি হওয়ায় এটি কিছু সেন্সরশিপ সমস্যার সম্মুখীন হয়। যেমন: তিয়ানানমেন স্কোয়ার গণহত্যা এবং তাইওয়ানের পরিস্থিতি সম্পর্কিত বিষয়সমূহ।

এদিকে সিভএআই-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা লুকাস হ্যানসেন বলেছেন, ডিপসিক সম্ভবত ভি৩ মডেলটি নিয়ে কাজ করেছে। এটি জিপিটি-৪ এর সমতুল্য এবং একাধিক কৌশল ব্যবহার করে প্রশিক্ষিত করা হয়েছে, যা তুলনামূলকভাবে কম খরচে সম্ভব হয়েছে।

ডিপসিকের প্রভাবের উপর প্রথম আতঙ্ক কমে আসার সঙ্গে সঙ্গে এনভিডিয়ার শেয়ারমূল্য মঙ্গলবার প্রায় ৯ শতাংশ বেড়েছে এবং নাসডাক ১০০-এর দাম ১.৫৯ শতাংশ বেড়েছে।

সূত্র : আলজাজিরা

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা