ফিফার জরিমানা
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ মে ২০২৪ ২১:২২ পিএম
সালাম মুর্শেদী। সংগৃহীত ছবি
আর্থিক অনিয়ম ও ক্রয়সংক্রান্ত জালিয়াতির অভিযোগে গেল বছর বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ফিফা। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতির মাধ্যমে ফেডারেশনের আরও পাঁচ কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি এবং অর্থ কমিটির প্রধান সালাম মুর্শেদীকে একই ঘটনায় জরিমানা করা হয়েছে প্রায় ১৩ লাখ টাকা।
নৈতিকতা নীতিমালার ধারা ১৪-এর আওতায় সালাম মুর্শেদীকে এই জরিমানা করে ফিফার স্বাধীন নৈতিকতাবিষয়ক কমিটির অ্যাডজুডিকেটরি চেম্বার। সেই সঙ্গে সোহাগের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ে আরও এক বছর। ফিফার অ্যাডজুডিকেটরি চেম্বার জানায়, সব ধরনের সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই নেওয়া হয়েছে এ সিদ্ধান্ত। বিবৃতিতে দেখা যায় ক্রয় ও অর্থ পরিশোধের প্রক্রিয়াগুলোতে মিথ্যা তথ্য, ত্রুটিপূর্ণ ক্রয়াদেশ, সেই সঙ্গে ভুয়া দলিলও পরিবেশন করেন সালাম মুর্শেদী। এ বিষয়ে সালাম মুর্শেদী বলেন, ক্রয়সংক্রান্ত অনেক কাগজপত্রে তাকে সই করতে হয়। বাফুফের কর্মচারীরা যা দেয়, সেটার ওপরই কাজ করেন তিনি। অনেক সময় স্ক্যান করা সইও ব্যবহৃত হয়। যদি দায়িত্বে অবহেলা হয়, তাহলে জরিমানা দিয়ে দেবেন তিনি। এটাও বলেছেনÑ এর মানে এই নয় যে, সেটা ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরের পর বাফুফের প্যাডে সালাম মুর্শেদী স্বাক্ষরিত একটি বিবৃতি পাঠানো হয়। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, ‘ক্রয় প্রক্রিয়ায় চারজন স্বাক্ষরকারীর মধ্যে দুজনকে ইতোমধ্যেই নিষিদ্ধ করেছে ফিফা। সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিনের সরাসরি জড়িত না থাকায় তাকে খারিজ করা হয়েছে। তবে আমি যেহেতু ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান সে কারণেই আমাকে গুনতে হচ্ছে আর্থিক জরিমানা।’
বিবৃতিতে সালাম মুর্শেদী আরও উল্লেখ করেন, ‘২০২৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি এথিক্স কমিটির অ্যাডজুডিকেটরি চেম্বার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একটি শুনানির আয়োজন করে। যেখানে আমার বিরুদ্ধে ফিফার অনুচ্ছেদ ১৪, ১৬ ও ২৫ লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়। ওই শুনানিতে আমি নিজেই আমার আইনজীবীদের সঙ্গে উল্লিখিত অভিযোগ প্রত্যাহার করার পক্ষে অত্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য যুক্তি স্থাপন করি। ফলস্বরূপ ৭ মার্চ ২০২৪ তারিখে ফিফা এথিক্স কমিটির অ্যাডজুডিকেটরি চেম্বার কর্তৃক গৃহীত পরবর্তী সিদ্ধান্তে আমার বিরুদ্ধে আনা তিনটি অভিযোগের মধ্যে দুটি যথাক্রমে খারিজ করে দেয়।’
এর আগে বৃহস্পতিবার ফিফার বিবৃতিতে জানানো হয়, বাফুফের সাবেক প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আবু হোসেন ও সাবেক প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মিজানুর রহমানকে ১০ হাজার সুইস ফ্রাঁ করে জরিমানার সঙ্গে ২ বছরের জন্য ফুটবলসংক্রান্ত কর্মকাণ্ড থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এতে বাফুফের ক্রয় ও স্টোর কর্মকর্তা ইমরুল হাসান শরীফকে অবশ্য নিষেধাজ্ঞা বা আর্থিক জরিমানা করা হয়নি। তাকে এ ব্যাপারে ফিফার তত্ত্বাবধানে এই সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ইমরুল হাসান যেন ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো অপরাধের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত না করেন, সে ব্যাপারে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।