নিষেধাজ্ঞা বাড়ল সোহাগের
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ মে ২০২৪ ২০:৪২ পিএম
আপডেট : ২৩ মে ২০২৪ ২২:৪৪ পিএম
আব্দুস সালাম মুর্শেদী (বাঁয়ে), আবু নাইম সোহাগ। ছবি : সংগৃহীত
আবারও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের ওপর নেমে এসেছে ফিফার খড়গ। দুর্নীতির দায়ে আব্দুস সালাম মুর্শেদী, আবু নাইম সোহাগসহ বাফুফের পাঁচ কর্মকর্তাকে শাস্তির আওতায় এনেছে আন্তর্জাতিক ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এর মধ্যে ফেডারেশনের সিনিয়র সহসভাপতি সালাম মুর্শেদীকে ১০ হাজার সুইস ফ্রাঁ (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৩ লাখ টাকা) জরিমানা করা হয়েছে। বাফুফের অর্থ কমিটির প্রধান হিসেবে ফিফা প্রদত্ত অর্থের অনিয়মের কারণেই শাস্তি পেয়েছেন সালাম মুর্শেদী। অনিয়মের মধ্যে ছিল ক্রয় ও পরিশোধের মিথ্যা তথ্য, ত্রুটিপূর্ণ ক্রয় আদেশ এবং ভুয়া দলিল পরিবেশন।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ফিফার ওয়েবসাইটে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই জরিমানার কথা উল্লেখ করা হয়। একই ঘটনায় নিষেধাজ্ঞা বেড়েছে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক সোহাগের। প্রথমে তার শাস্তি ছিল দুই বছরের। আজকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তিন বছর ফুটবলীয় কার্যক্রমে নিষিদ্ধ থাকবেন সোহাগ এবং তাকে প্রায় ২৬ লাখ টাকা জরিমানা গুনতে হচ্ছে।
বাফুফের আর্থিক বিষয়াদি নিয়ে তদন্ত করেছিল ফিফা। সে সময় সোহাগকে নিষিদ্ধ করে ফিফা। সোহাগ ছাড়াও আরও কয়েকজনের ওপর তদন্ত অব্যাহত রেখেছিল ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। সেই তদন্তের রায়ই বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যে আনল ফিফা। বাফুফের সাবেক প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আবু হোসেন ও অপারেশনস ম্যানেজার মিজানুর রহমানকে সব ধরনের ফুটবল থেকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধের পাশাপাশি ১০ হাজার সুইস ফ্রাঁ (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৩ লাখ টাকা) জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া দুজনকেই দুই বছরের জন্য ফুটবলসংক্রান্ত কর্মকাণ্ড থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সোহাগকাণ্ডের পর বাফুফে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছিল। ফেডারেশনের তদন্ত কমিটিও তাদের দায় খুঁজে পেয়েছিল। এবার নিষেধাজ্ঞা এলো ফিফা থেকে।
বাফুফের ক্রয় ও স্টোর কর্মকর্তা ইমরুল হাসান শরীফকে অবশ্য নিষেধাজ্ঞা বা আর্থিক জরিমানা করা হয়নি। তবে তাকে ফিফার তত্ত্বাবধানে এ-সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ইমরুল হাসান যেন ভবিষ্যতে কোনো ধরনের অপরাধের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত না করেন, সে ব্যাপারে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ফিফার বড় ধরনের শাস্তির মুখে পড়েছিল বাফুফে। শাস্তিটা অবশ্য আর্থিক জরিমানার ওপর দিয়েই গিয়েছিল। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের তিনটি ম্যাচে শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে ফিফার ডিসিপ্লিনারি কমিটি বাফুফেকে ৩০ হাজার ২৫০ সুইস ফ্রাঁ (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪০ লাখ টাকা) জরিমানা করেছিল।