প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৮ মে ২০২৪ ২১:৫৬ পিএম
আপডেট : ১৮ মে ২০২৪ ২২:৩৮ পিএম
লিওনেল মেসি ও তার ন্যাপকিন চুক্তিপত্র
তার উত্থান রূপকথার গল্পের মতোই। বার্সেলোনার ট্রায়ালে উপস্থিত সবাইকে মুগ্ধ করেছিলেন এক ‘বিস্ময়কর বালক’। ২০০০ সালের সেই ঘটনাতেই নিহিত লিওনেল মেসির আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর হয়ে ওঠার কাহিনী। মেসির মধ্যে ফুটবল প্রতিভার স্ফূরণ দেখতে পেয়ে ওই বছরের ১৪ ডিসেম্বর বার্সেলোনা টেনিস ক্লাবে কিশোর মেসিকে চুক্তিবদ্ধ করে ফেলেন কাতালান জায়ান্ট ক্লাবটির তৎকালীন ক্রীড়া পরিচালক রেক্সার্স।
মাত্র ১৩ বছর বয়সে মেসির সঙ্গে চুক্তি করে ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা। একটি ন্যাপকিন পেপারে লেখা হয় সেই চুক্তিনামা। লন্ডনে বিখ্যাত সেই ন্যাপকিন পেপারটি নিলামে ৯ লাখ ৬৫ হাজার ডলারে বিক্রি হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় তার দাম উঠেছে প্রায় ১১ কোটি ২৯ লাখ টাকা। ব্রিটিশ নিলাম হাউস বোনহামসের মাধ্যমে ১৭ মে শেষ হয়েছে এ ঐতিহাসিক নিলাম। শুরুতে অবশ্য ধারণা করা হয়েছিল ৩ থেকে ৫ লাখ পাউন্ড উঠতে পারে ন্যাপকিন পেপারটির দর।
মেসির নামে সুপারিশ এসেছিল আর্জেন্টাইন এজেন্ট হোরাশিও গ্যাগিওলির কাছ থেকে। পরে তার উপস্থিতিতে হয়েছিল চুক্তিপত্র। ন্যাপকিন পেপারের সেই চুক্তিতে লেখা ছিল, ‘বার্সেলোনায় ১৪ ডিসেম্বর, ২০০০ সালে মিনগেলা, হোরাশিও আর বার্সার ক্রীড়া পরিচালক কার্লোস রেক্সাসের উপস্থিতিতে পূর্ণ দায়িত্বের সঙ্গে নির্দিষ্ট অঙ্কে লিওনেল মেসিকে সই করানোর ব্যাপারে একমত হওয়া গেল।’
ট্রায়ালের পর মেসির বাবা হোর্হে মেসি তার তনয়কে নিজের জন্মভূমিতে ফিরিয়ে নিতে চেয়েছিলেন। মেসির বাবাকে শান্ত করে তৎক্ষণাৎ ন্যাপকিন পেপারে নীল কালিতে চুক্তি করে বার্সা। উপস্থিত এক ওয়েটারের কাছে কাগজ চেয়েছিলেন বার্সার তৎকালীন ক্রীড়া পরিচালক রেক্সার্স। কিন্তু ওয়েটার কোনো কাগজ না পেয়ে তার হাতে একটি সাদা ন্যাপকিন পেপার ধরিয়ে দেন। তাতেই সম্পন্ন হয় মেসির চুক্তির আনুষ্ঠানিকতা। এতে স্বাক্ষর করেন এজেন্ট গ্যাগিওলি, স্প্যানিশ ক্লাবটির দলবদলের পরামর্শক মিনগেলা ও পরিচালক রেক্সার্স।