প্রবা ডেস্ক
প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০২২ ২০:১৩ পিএম
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২২ ২১:০১ পিএম
সুনীল গাভাস্কার ও বাবর আজম। ছবি: সংগৃহীত
খেলা অনেক সময় মাঠের গন্ডি ছাড়িয়ে যায়। এমনটি হলে জমে ওঠে বিতর্ক। অস্ট্রেলিয়ায় চলমান টি-২০ বিশ্বকাপের পাকিস্তান-ইংল্যান্ডের ফাইনালের আগে এমন এক বাৎচিত শুরু হয়েছে। ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার সুনীল গাভাস্কারের একটি মন্তব্যকে ঘিরে এ বিতর্ক শুরু হয়।
ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) অ্যাডিলেড ওভালের মাঠে ভারত-ইংল্যান্ডের সেমিফাইনালের আগে এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেন সুনীল গাভাস্কার। ভারতের খেলাধূলা বিষয়ক টেলিভিশন চ্যানেল স্টার স্পোর্টসের এক আলোচনায় গাভাস্কার বলেন, ‘ফাইনালে যদি পাকিস্তান-ইংল্যান্ড মুখোমুখি হয়, এবং তাতে পাকিস্তান জেতে, তাহলে পাকিস্তান দলের অধিনায়ক বাবার আজম ২০৪৮ সালে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হবেন।’
গাভাস্কারের এ মন্তব্যে ভিন্ন মত পোষণ করেন অন্য দুই আলোচক ইংল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার ও ভাষ্যকার মাইকেল আথারটন ও অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটার শেন ওয়াটসন। তাদের যুক্তির সারমর্ম, গাভাস্কারের এমন মন্তব্যের কোনো ভিত্তি নেই। এটা মন্তব্য করার জন্যই মন্তব্য।
এক সময়কার দুর্ধষ গাভাস্কার আথারটন ও ওয়াটসনের কথায় হার মানতে নারাজ। নিজের মন্তব্যের পক্ষে একের পর যুক্তি তুলে ধরেন তিনি। স্মৃতি হাতড়ে গাভাস্কার বলেন, ‘১৯৯২ সালে ইমরান খানের নেতৃত্বে পাকিস্তানের নিজেদের একমাত্র বিশ্বকাপটি জেতে। সেটি ৫০ ওভারের ম্যাচ, তা ঠিক। কিন্তু সেই ম্যাচ ও সম্ভাব্য ইংল্যান্ড-পাকিস্তানের ম্যাচের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে।’
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বাকপটু গাভাস্কার যুক্তি দেন, ‘৯২ এর বিশ্বকাপ খুব বাজেভাবে শুরু করেছিল পাকিস্তান দল। পাকিস্তানের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গিয়েছিল। টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ওয়াসিম আকরামসহ অন্যদের দ্যুতিময় পারফর্ম্যান্সে ইমরান খানের নেতৃত্বে সেবার বিশ্বকাপ জেতে পাকিস্তান। যাকে হারিয়ে পাকিস্তান বিশ্বকাপ জিতেছিল সেটা আর কেউ না, ইংল্যান্ড।’ গাভাস্কারের এসব যুক্তিতর্কে অনেকটা চুপসে যান আথারটন ও ওয়াটসন।
সব ঠিক থাকলে রবিবার (১৩ নভেম্বর) বাবর আজমের নেতৃত্বে টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মেলবোর্নে মাঠ নামবে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। ফাইনালের একদিন আগে শনিবার (১২ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে বাবর বলেন, ‘হ্যাঁ, ১৯৯২ সালের টুর্নামেন্ট ও এবারের টি-২০ বিশ্বকাপে অনেক মিল আছে। ট্রপি জেতাই আমাদের লক্ষ্য। এত বড় একটা আসরে পাকিস্তান দলের নেতৃত্ব দেওয়া আমার জন্য সত্যিই গর্বের। শতভাগ দিয়ে আমরা জিততে চেষ্টা করব।’
‘এ কথা ঠিক, এ আসরে আমাদের শুরুটা ভালো ছিল না। কিন্তু পরের ম্যাচগুলোয় আমাদের সতীর্থরা বাঘের মতো লড়েছেন। ফাইনালে আমরা সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চেষ্টা করব।’
এনডিটিভির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ১৯৯২ ও ২০২২ সালের পাকিস্তানের ক্রিকেট বিশ্বকাপের মধ্যে আরও মিল আছে। ১৯৯২ সালের মতো এবারও মেলবোর্নে হারের মধ্য দিয়ে নিজেদের যাত্রা শুরু করে পাকিস্তান। ৯২ সালের বিশ্বকাপের মতো এবারের টি-২০ বিশ্বকাপেও ভারতের কাছে একটি ম্যাচে হেরেছে দলটি।
মিল আরও আছে, ১৯৯২ সালের মতো এবারও সেমিফাইনালে ওঠতে অনেক চড়াই-উতরাই পার হতে হয়েছে পাকিস্তানকে। সেবারের মতো এবারও শেষ দিন একটি পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনালে ওঠে পাকিস্তান ক্রিকেট দল।