বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজ
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ মে ২০২৪ ০০:০৬ এএম
জিম্বাবুয়েকে হারানো রুটিনে পরিণত করে ফেলেছে বাংলাদেশ। চলতি পাঁচ ম্যাচ টি- টোয়েন্টি সিরিজের টানা চার ম্যাচ জিতেছে টাইগাররা। এখন হোয়াইটওয়াশের দোরগোড়ায় নাজমুল হোসেন শান্ত ব্রিগেড। এমনি অবস্থায় আজ রবিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায়। হোয়াইটওয়াশ মিশনের আগে, গত ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে ‘আশ্চর্যপতন’ বিষয়টি চলে এসেছে সামনে।
এই মিরপুরেই শুক্রবারের ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে একটা পর্যায়ে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে ছিল বিনা উইকেটে ১০১। এরপরই শুরু হয় টাইগারদের ‘আশ্চর্যপতন’। মাত্র ৪২ রানের মধ্যে ১০ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দলের শেষ আট ব্যাটারের একজনও পাননি দুই অঙ্কের ঘরের নাগাল। অথচ মাত্র ১১ ওভারে স্কোরবোর্ডে শতরান যোগ করেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার। এই জুটি ভাঙার পর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে স্বাগতিক শিবির। অথচ সিরিজ আগেই নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় শেষ দুটো ম্যাচকে দেখা হচ্ছিল টাইগারদের ব্যাটিং প্রস্তুতি হিসেবে। শুরুটা মনে করিয়ে দিচ্ছিল একটা আদর্শ ব্যাটিং প্রস্তুতির কথাই। কিন্তু হঠাৎই মহাপতনের মিছিলে যোগ দেয় টাইগার ব্যাটাররা।
কেন এমন আত্মঘাতী ব্যাটিংÑ এ প্রসঙ্গে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সৌম্য সরকার বলেন, প্রথমে আমাদের মনে হয়েছিল উইকেট ১৭০-১৮০ রানের। বলটা একটু পুরোনো হওয়ার পর বল একটু আপস অ্যান্ড ডাউন হচ্ছিল। সবাই একটু তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে অ্যাটাকিং মুডে চলে গেছে। আমার মনে হয়েছে এটা হয়তো ভুল হয়েছে। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক শান্ত বলেছেন, আমাদের আরও সতর্কতার সঙ্গে ব্যাট করার প্রয়োজন ছিল। আশা করছি, পরের ম্যাচে ভালো করব।
জয়ের জন্য মাত্র ১৪৪ রানের টার্গেটের খুব কাছাকাছিও পৌঁছে গিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। একটা পর্যায়ে তাদের স্কোরবার্ডে ছিল ১০৩/৬। হাতে ২৪ বল। ম্যাচে খুব ভালোভাবেই ছিল জিম্বাবুয়ে। এখান থেকে বাংলাদেশকে জেতান সিরিজে এই প্রথমবারের মতো খেলতে নামা সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান। হারের বৃত্তবন্দিদশায় থাকা জিম্বাবুয়ের মতো দলকে হারানোর জন্য সাকিব ও মুস্তাফিজকে দিতে হয়েছে তাদের সেরাটা। এই দুজন না থাকলে বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে যে বড় ধরনের ধাক্কা লাগত তা বলাই বাহুল্য। টাইগার শিবির থেকে বারবার বলা হচ্ছে যে, জিম্বাবুয়ের কাছে হারলে তাদের ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হবে। ডেথ ওভারে মুস্তাফিজ আর সাকিব হাল না ধরলে যে বিপদ বড় হয়ে উঠত, সেটা অনুধাবন করতে প্রয়োজন পড়ে না বিশেষজ্ঞ হওয়ার।
চতুর্থ ম্যাচ শেষে, ভালো ব্যাটিংয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক। আজ শেষটাতে স্বাগতিক ব্যাটাররা জ্বলে উঠতে পারেন কি না সেটাই এখন দেখার ব্যাপার।