বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজ
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ মে ২০২৪ ০০:৩৬ এএম
আপডেট : ১১ মে ২০২৪ ১১:৩৩ এএম
ওপেনিংয়ে ১০১ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের আশা দেখিয়েছিলেন তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার। ছবি : আ. ই. আলীম
ব্যাট হাতে ফর্মে নেই লিটন দাস। জুনে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতির মঞ্চেও হাসেনি এই ওপেনারের ব্যাট। ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে মোটাদাগে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। চট্টগ্রামে প্রথম তিন ম্যাচ জিতে দুই ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। তবু লিটনের রানখরা কাটেনি। তাই গতকাল শুক্রবার মিরপুরে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচের একাদশ থেকে বাদ পড়েন ডানহাতি এই ব্যাটার। তার বদলে তানজিদ হাসান তামিমের সঙ্গে ওপেনিংয়ে সুযোগ পান চোট কাটিয়ে দলে ফেরা সৌম্য সরকার। এই দুই ব্যাটার উদ্বোধনী জুটিতে প্রথমবার ব্যাটিংয়ে নেমেই তুলে নিয়েছেন শতরান। কিন্তু এই জুটি ভাঙ্গার পর হুড়মুড়িয়ে ভেঙ্গে পড়ে টাইগার শিবির। বিনা উইকেটে ১০১ থেকে বাংলাদেশ অলআউট ১৪৩ রানে।
বাংলাদেশ দলের ব্যাটিংয়ে ওপেনিং জুটির সমস্যা দীর্ঘদিনের। তাই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে দলে প্রথমবারের মতো ডাক পান তানজিদ হাসান তামিম। আর দলে সুযোগ পেয়েই আস্থার প্রতিদান দেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা এই ওপেনার। বিপিএলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে ব্যাট হাতে নিজের প্রতিভার জানান দিয়েছিলেন তামিম। আর নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচেই ৪৭ বলে ৬৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি। এবার চতুর্থ ম্যাচেও একাদশে ফেরা সৌম্যকে নিয়ে শতরানের জুটি গড়েন জুনিয়র তামিম। ইনিংসের শুরু থেকেই চার-ছয়ের ফুলঝুরিতে তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি। তাকে সুযোগ্য সঙ্গ দেন সৌম্য। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে সর্বশেষ খেলেছিলেন সৌম্য। তৃতীয় ওয়ানডেতে ইনজুরিতে পড়ার পর তার জায়গায় এসেছিলেন তানজিদ তামিম। কনকাশন সাব হিসেবে ব্যাটিংয়ে নেমেই নজর কাড়েন তিনি। বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে গতকাল শের-এ-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তানজিদের সঙ্গেই ব্যাট হাতে বাংলাদেশের ইনিংস শুরু করেন সৌম্য। ইনজুরি থেকে ফেরার পর নিজেকে থিতু করতে খানিক সময় নেন তিনি। তবে আরেক ওপেনার তানজিদ শুরু থেকেই উড়ন্ত ছন্দে ব্যাট চালাতে থাকেন। ৩৪ বলে সাত চার এবং ১ ছক্কায় তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ফিফটি। তার ফিফটিতে ১১ ওভারেই বিনা উইকেটে শতরান তুলে ফেলে টাইগাররা। দলীয় ১০১ রানে অবশ্য ৩৩ বলে ৫২ করে সাজঘরে ফেরেন তামিম। আরেক ওপেনার সৌম্য ৩৪ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৪৪ রান।
এদিন দ্বিতীয় ওভারেই ব্লেসিং মুজারাবানির ওভার দিয়ে শুরু। সেই ওভারে পেয়েছেন একটি চারের দেখা। পরের দুই ওভারে ছিল আরও দুইটি করে চারের দেখা। মুজারাবানির পরের ওভারেও জুনিয়র তামিম দেখালেন নিজের ব্যাটিং কারিশমা। জোড়া চার ছিল সেই ওভারেও। এমনকি পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারেও ছিল দুই চার। যদিও সেবার একটা চার আছে লেগবাই থেকে। তাতে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে বিনা উইকেটে ৫৭ রান করে বাংলাদেশ।
পাওয়ারপ্লেতে তামিমের এমন তাণ্ডব দেখেই কি না, ঝড় শুরু করেন সৌম্য সরকারও। সপ্তম আর অষ্টম ওভারে বাংলাদেশের ইনিংসের প্রথম দুই ছক্কাও এসেছে সৌম্যর ব্যাট থেকে। আর ইনিংসের নবম ওভারে এসে ফিফটির দেখা পান তানজিদ। অপর ব্যাটার সৌম্য শুরুতে কিছুটা সাবধানী থাকলেও সময়ের সঙ্গে বেরিয়ে আসেন খোলস ছেড়ে। এমন মজবুত ভিত পেয়েও দেড়শ পেরোতে পারেনি টাইগাররা। তাই প্রশ্ন উঠছে, আর কী করতে পারতেন তানজিদ-সৌম্য।