বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজ
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ মে ২০২৪ ২১:১৫ পিএম
আপডেট : ০৭ মে ২০২৪ ২১:৪৫ পিএম
দুই ম্যাচ হারে রেখে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। — ছবি : আ. ই. আলীম
আত্মবিশ্বাসী শুরু কিন্তু...। এই কিন্তুর বৃত্তেই মঙ্গলবার চট্টগ্রামে আটকা পড়তে পারত বাংলাদেশ! তবে তাওহিদ হৃদয়ের ইমপ্যাক্টফুল অর্ধশতক, জাকের আলীর টেম্পারমেন্ট, রিশাদ হোসেনের ঘূর্ণিজাদু এবং মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের প্রত্যাবর্তন—দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে সিরিজ বাংলাদেশের। এই জয়ে অত্যুক্তি নেই নাজমুল হোসেন শান্তর। চট্টগ্রামে সিরিজ জয়ের পর ঢাকায় এসে নিজেদের আরও ঝালাই করতে চান টাইগার অধিনায়ক। সিরিজ হেরেও আশার বাইশ গজে তরুণদের নিয়ে স্বপ্ন জিম্বাবুয়ের।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের হয়ে কথা বলেন তাওহিদ হৃদয়। অতিথিদের হয়ে জোনাথন ক্যাম্পবেল। ঘাত-প্রতিঘাত, কন্ডিশন, অভ্যন্তরীণ দিক তুলে ধরেন দুজন। তার আগে ব্রডকাস্ট চ্যানেলে অধিনায়ক শান্ত রেখেছেন প্রচ্ছন্ন হুমকি, ‘আমরা আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসার চেষ্টা করব।’
পাঁচ ম্যাচের সিরিজ। ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে বাংলাদেশ। প্রত্যাশিত সিরিজ জয়েও থাকল কিছু অস্বস্তির দাগ। লিটন দাস ও শান্ত আরও একবার ব্যর্থ। তবে তৃতীয় ম্যাচের জয়ের নায়ক হৃদয়ের মতে, লিটন-শান্ত হয়তো বড় ম্যাচেই ফিরে আসবেন চেনা রূপে, কাজেই তাদের ওপর ভরসা রাখা চাই, ‘বিশ্বের যত বড় ব্যাটারই হোক, সে প্রতিটা ম্যাচ বা সিরিজে ভালো করবে না। আশা করছি, যে যারা ভালো করছেন না তারা খুব দ্রুত ফিরবেন। একটা ইনিংস ভালো করলেই ফিরবেন। এমনও হতে পারে খুব বড় খেলায় দেখা যাচ্ছে খেলার সিনারিও চেঞ্জ করে দেবেন। আমাদের সবার বিশ্বাস রাখতে হবে, বিশ্বাসটা হারালে হবে না।’
তিন ম্যাচে লিটনের আমলনামা—১, ২৩ ও ১২ রান। টাইগার উইকেটরক্ষক ব্যাটারকে নিয়ে হচ্ছে ব্যাপক সমালোচনা। জবাবে হৃদয় বলেছেন, ‘দেখেন কেউ তো ইচ্ছা করে উইকেট দিয়ে আসে না। লিটন ভাই বা যারা টপ অর্ডারে খেলেন তারা চেষ্টা করছেন নিজের সেরাটা দিয়ে। একটা ক্রিকেটার সব সময় ভালো খেলবেন না। লিটন ভাইয়ের স্ট্রাইক রেট নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে শুনছি। আসলে চেক করে দেখলে দেখা যাবে এখনও উনার স্ট্রাইক রেট বাংলাদেশের কয়েকজনের ভেতরে আছে মনে হয়, (সেরা) দুই তিনজনের ভেতরে।’
ব্যাটাররা ব্যর্থতার পরিচয় দিলেও ক্যাম্পবেল মনে করেন, দুই দলের পেসাররা দারুণ করছেন। বলেন, ‘আমাদের পেসাররা পাওয়ারপ্লেতে ভালো করেছে। নতুন বল এখানে একটু বেশি সুইং করে, যে কারণে পাওয়ারপ্লেতে ভালো করা কঠিন হয়ে পড়ে।’ চট্টগ্রামের উইকেট নিয়ে তার মন্তব্য, ‘উইকেট নিয়ে খুশি। সিরিজ আগালে হয়তো বড় রান হবে। সবাই কন্ডিশন বুঝতে পারবে আরও ভালোভাবে, তখন আরও রান হবে।’
উইকেট-কন্ডিশন নিয়ে ক্যাম্পবেল সন্তুষ্ট হলেও অধিনায়ক রাজার মতে, এই টার্গেট (১৬৫ রান) অবশ্যই তাড়া করার মতোই। তার মনঃক্ষুণ্নের কারণ—ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ডুবছে জিম্বাবুয়ে। ব্রডকাস্ট চ্যানেলে বলেছেন, ‘শেষ কিছু ম্যাচে অলরাউন্ডার ও বোলারদের কাছ থেকে রান আসছে। ব্যাটাররা এক্ষেত্রে ব্যর্থ। দলের প্রথম সারির পাঁচজন রান পাচ্ছে না। এর মধ্যে আমি নিজেও। এই ক্ষতির জন্য নিজেই সবচেয়ে বড় অপরাধী।’
অপ্রাপ্তির মাঝেও তরুণদের দিকে তাকিয়ে ভবিষ্যৎ বুনছেন রাজা, ‘দলে অনেক সম্ভাবনাময় তরুণ আছে। ক্যাম্পেবল, ফারাজ ও ওয়েলিংটন—তিনজন একদমই আলাদা। তারা ম্যাচকে অনেক কাছেই নিয়ে এসেছিল।’