ফেডারেশন কাপ
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ মে ২০২৪ ১৭:২০ পিএম
আপডেট : ০৭ মে ২০২৪ ২০:১৬ পিএম
সেরা একাদশ নিয়েই এদিন মাঠে নামে মোহামেডান। ছবি : ফেসবুক
প্রত্যাবর্তনের অবিশ্বাস্য এক গল্প লিখল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। ফেডারেশন কাপের প্রথম সেমিফাইনালে প্রথমে পিছিয়ে পড়ে আলফাজ আহমেদের দল। তারপর এক গোলের শোধ দিয়ে শেষ পর্যন্ত দারুণ এক জয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিল সাদা-কালোরা। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো এই প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠল মোহামেডান। গেলবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীকে হারিয়ে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর শিরোপা জিতেছিল মতিঝিল পাড়ার দলটি। এ ছাড়া এক বছরের মধ্যে টানা তিনটি ফাইনাল নিশ্চিত করল সাদা-কালোরা। গত বছরের ৯ মে ফেডারেশন কাপ, এরপর স্বাধীনতা কাপ এবং গতকাল আবার ফেডারেশন কাপের ফাইনালে উঠল আলফাজের দল।
মঙ্গলবার মুন্সীগঞ্জের ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ পুলিশ এফসিকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে মোহামেডান। খেলায় তিনটি গোলই হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে সাদা-কালোরা। ৪৮ মিনিটে উজবেক ফরোয়ার্ড ওকতামোভের গোলে লিড নেয় পুলিশ। এরপর খেলার ৬৮ মিনিটে ইমানুয়েল সানডের গোলে সমতায় ফেরে মোহামেডান। ৭৯ মিনিটে শাহরিয়ার ইমনের গোলে লিড নেয় বর্তমান সাদা-কালো ব্রিগেড। খেলার বাকি সময় ওই গোলের লিড ধরে রেখেই মাঠ ছাড়ে প্রতিযোগিতার ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
আগে লিড নিলেও স্পষ্টতই ম্যাচে আধিপত্য ছিল মোহামেডানের। গোলশূন্য প্রথমার্ধ কাটলেও এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল মোহামেডানের সামনে। ১২তম মিনিটে ইমনের লং পাসে ডান প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে ওঠেন আরিফ। এরপর পুলিশের বক্সে বল উড়িয়ে মারলে হেড নেন সানডে। কিন্তু ভালো সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি সানডে, তার হেড থেকে নেওয়া বল যায় বক্স ঘেঁষে। এই অর্ধে দুই দল তেমন কোনো ভালো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। গোলশূন্য বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতির পর ফিরে আচমকাই লিড নেয় পুলিশ। মাঠের ডান প্রান্ত থেকে মরিয়ভের ফ্রি-কিক মোহামেডানের বক্সে জটলার সৃষ্টি করে। সেখান থেকেই হেড করে গোল করেন ওকতামোভ। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় পুলিশ। এরপর তারা এক গোল ডিফেন্ড করতেই মনোযোগী হয়ে ওঠে। তবে আক্রমণের পর আক্রমণ অব্যাহত থাকে মোহামেডান থেকে। সেটি বেশ ভালোভাবেই সামাল দিচ্ছিল পুলিশ। তবে খুব বেশি সময় সাদা-কালো আর্মিদের আটকে রাখা যায়নি। ৬৮ মিনিটে আরিফের ক্রস পেয়ে পুলিশের রক্ষণভাগকে কোনো সুযোগই দেননি সানডে। সহজেই লক্ষ্যভেদ করেন নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার। দলকে সমতায় ফিরিয়ে যেন তৃপ্ত ছিলেন না সানডে। এরপর ৭৮ মিনিটে ইমনের গোলেও ছিল তার অবদান। নাইজেরিয়ান তারকার ক্রস থেকে হেড দিয়ে পুলিশের জাল কাঁপান ইমন। ২-১ গোলে লিড নেওয়ার পরও আক্রমণ চালিয়ে গেছে মোহামেডান। পুলিশও চেয়েছে সমতায় ফিরতে। যদিও খেলায় আর কোনো গোল পায়নি দুই দল। আগামী মঙ্গলবার গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে বসুন্ধরা কিংস ও ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। ওই ম্যাচের জয়ী দল ফাইনালে খেলবে মোহামেডানের বিপক্ষে।