বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজ
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ মে ২০২৪ ০৯:২৮ এএম
আপডেট : ০৭ মে ২০২৪ ১১:০৮ এএম
দুই ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিততে চায় বাংলাদেশ। ছবি : আ. ই. আলীম
শক্তি, সামর্থ্য, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা—জিম্বাবুয়ের চেয়ে সব বিভাগেই এগিয়ে বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে দাপুটে জয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী নাজমুল হোসেন শান্ত ব্রিগেড। এবার আফ্রিকার দেশটির বিপক্ষে সিরিজ জয়ের মিশন। আজ মঙ্গলবার মাঠে গড়াবে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বিকাল ৩টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
সাগরিকায় প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতেই জিম্বাবুয়েকে স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচেই টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় স্বাগতিকরা। তাসকিন আহমেদের আগুন ঝরানো ও শেখ মাহেদির ঘূর্ণিবিষে নাকাল হয় সফরকারীরা। প্রথম ম্যাচে সিকান্দার রাজাদের মাত্র ১২৪ রানে গুটিয়ে দেওয়ায় পর অভিষিক্ত তানজিদ হাসান তামিমের অপরাজিত ফিফটিতে চড়ে আসে ৮ উইকেটের সহজ জয়। দ্বিতীয় ম্যাচে সফরকারীরা কিছুটা লড়াইয়ের আভাস দিলেও শেষ পর্যন্ত তাওহিদের হৃদয়ছোঁয়া ব্যাটিংয়ে ৬ উইকেটের জয় তুলে নেয় টাইগাররা।
আগামী ২ জুন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। তাই বিশ্বকাপের আগে জিম্বাবুয়ে সিরিজকে প্রস্তুতির মঞ্চ হিসেবে দেখছেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। আজ তৃতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিত করতে চায় লাল-সবুজের দল। যেন পরের দুই ম্যাচে একাদশে পরীক্ষানিরীক্ষা চালাতে পারে। গতকাল সোমবার এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন টাইগারদের সহকারী কোচ নিক পোথাস, ‘এ ম্যাচগুলো গুরুত্বপূর্ণ, ছেলেরা বিশ্বকাপের জন্য তৈরি হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সিরিজ মানেই আপনাকে জেতার জন্য খেলতে হবে। সিরিজ জয়ের পর পরীক্ষানিরীক্ষার আশ্রয় নেওয়া যেতে পারে। এখন যদি আমরা পরীক্ষানিরীক্ষা করতে গিয়ে ম্যাচ হেরে যাই তাহলে তা বুমেরাং হয়ে যাবে।’
দীর্ঘদিন ধরেই ব্যাট হাতে ফর্মে নেই ওপেনার লিটন দাস। চলমান জিম্বাবুয়ে সিরিজের দুই ম্যাচেও হাসেনি তার ব্যাট। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৩ বলে ১ রান করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ধীরগতিতে ২৫ বলে ২৩ রান করেন এই ওপেনার। লিটনের জায়গায় একাদশে পারভেজ হোসেন ইমনকে সুযোগ দেওয়া হতে পারে—পাওয়া যাচ্ছে এমন আভাস। তবে শিষ্যর পাশে দাঁড়িয়েছেন পোথাস, ‘লিটন ভালো করছে না এটা আপনার দৃষ্টিতে। লিটনের অনেক কিছু দেওয়ার আছে। সে ওয়ার্ল্ড ক্লাস ক্রিকেটার। (সে) মাত্র একটা ভালো ইনিংস থেকে দূরে। একটা ভালো ইনিংস খেললেই খুব ভালো একটা বিশ্বকাপ কাটাতে পারবে। তাকে নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। অতীতে যা করেছে, এখনও সে সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে দলকে ততটুকু দিতে প্রস্তুত।’ এ ছাড়া অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকেও আগলে রেখেছেন পোথাস, ‘তার ব্যাটিং নিয়ে আমাদের কোনো দুশ্চিন্তা নেই। সে কীভাবে দল সামলাচ্ছে এটাই আমাদের বেশি মুগ্ধ করছে। অনেক তরুণ একজন অধিনায়ক হিসেবে সে অনেক ভালো করছে, সাহসী ভূমিকা রাখছে। ভবিষ্যতে আমরা এর সুফল পেতে যাচ্ছি।’
চট্টগ্রামের উইকেটে শুরুর ১০ ওভারকে চ্যালেঞ্জিং মনে করছেন পোথাস, ‘উইকেট ভালো, তবে প্রথম ১০ ওভারে দুই দলই সংগ্রাম করছে। প্রথম ১০ ওভার চ্যালেঞ্জিং, মোটেও সহজ নয়। বোলিংও ভালো হচ্ছে। জিম্বাবুয়ের দুজন নতুন বলের বোলার আছে। আমার মনে হয় তাদের বিপক্ষে আমাদের ছেলেরা ভালোই করেছে। উইকেট দেখে যতটা সহজ মনে হচ্ছে, শুরুর দিকে আসলে মোটেও ততটা সহজ নয়।’
মাঠের লড়াইয়ে শক্তি, সামর্থ্য, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতায় এগিয়ে স্বাগতিকরা। দুই দলের মুখোমুখি সাত টি-টোয়েন্টি সিরিজের মাত্র একটি জিততে পেরেছে জিম্বাবুয়ে। তবে সর্বশেষ সিরিজে পূর্ব আফ্রিকার দেশটির কাছে হার মেনেছে টাইগাররা। এ নিয়ে অস্বস্তি থাকলেও পরিসংখ্যান কিন্তু কথা বলছে বাংলাদেশের পক্ষেই। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২২ বারের দেখায় টাইগাররা জিতেছে ১৫টি বার। হার সাত ম্যাচে। তবে ২০০১ সালের পর বাংলাদেশের মাটিতে সাদা বলের কোনো সিরিজ জেতেনি জিম্বাবুয়ে।