প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ মে ২০২৪ ২০:২৫ পিএম
আপডেট : ০৬ মে ২০২৪ ২১:৩৪ পিএম
ব্যর্থতা বয়ে বেড়াচ্ছে বাংলাদেশ নন্দিনীরা। ছবি—আ. ই. আলীম
দিনটা ছিল সকাল থেকেই মেঘলা। কয়েক
পশলা বৃষ্টিও ঝরেছে। বাংলাদেশ-ভারত নারী দলের খেলার পরিসীমা কমে এলো তাতে। কুড়ি
ওভারের খেলা গড়ালÑ ১৪। তাতেই ফায়দা লুটেছে ভারত। পাঁচ ম্যাচ সিরিজ ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে
গেল হারমানপ্রীত ব্রিগেড।
সিলেট স্টেডিয়ামে গতকাল সোমবারের
ম্যাচটি ছিল বৃষ্টিবিঘ্নিত। এদিন টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশের
অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। ভেজা মাঠের কারণে ১৫ মিনিট দেরিতে শুরু হয় ম্যাচ। সফরকারীদের
ইনিংসের ৫.৫ ওভার পর ফের বাগড়া দেয় বৃষ্টি। খেলা বন্ধ থাকে প্রায় দেড় ঘণ্টা। তাতে ম্যাচ
বেঁধে দেওয়া হয় ১৪ ওভারে। ব্যাটিংয়ে নেমেই শীতল পরিবেশ রীতিমতো উষ্ণ করে তোলেন ভারতের
মেয়েরা। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ৬ উইকেটে তোলেন ১২২ রান। জবাবে নির্ধারিত ওভার শেষে
৬৮ রান করতে পেরেছে স্বাগতিকরা।
ভারতের হয়ে এদিন ওপেনিংয়ে নামেন শেফালি
ভার্মা ও স্মৃতি মান্ধানা। দলীয় চার রানে এই জুটি ভাঙে। এরপর বেশ কয়েকটি জুটি গড়ে।
পাল্লা দিয়ে বাড়ে রানের চাকা। নির্ধারিত ওভারে সব মিলিয়ে ১২২ রান সংগ্রহ করে ভারত।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন হারমানপ্রীত কৌর। ২৬ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন সফরকারী
দলের অধিনায়ক। বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট তোলেন মারুফা আক্তার ও রাবেয়া খান।
লক্ষ্য বড়। ওভারপ্রতি চাই প্রায় ৯
রান। জয়ে পৌঁছানো স্বাগতিক মেয়েদের জন্য দুঃসাধ্য বটে। হয়েছেও তাই। ৫০ রানের আগে ৬
উইকেট হারিয়ে বসে। আর নির্ধারিত ১৪ ওভারে আটকা পড়ে ৫৬ রান দূরত্বে।
এদিন বাড়তি টেম্পারমেন্ট নিতে পারেননি
ব্যাটাররা। ওপেনিং জুটি ভাঙে ১৮ রানে। দিলারা আক্তার (২১) ও রাবেয়া হায়দারের (১৩) কিছুটা
চেষ্টা ছিল। তা-ও ফিকে হয়ে গেছে বাদবাকিদের ব্যর্থতায়। ভারতের হয়ে দিপ্তি ও ও আশা সোবহান
দুটি করে উইকেট তোলেন। ব্যাট হাতে দারুণ ভূমিকা রাখায় ম্যাচসেরা হয়েছেন হারমানপ্রীত।
সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচে ব্যাটাররা
ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। তার সঙ্গে চতুর্থ দিনে যুক্ত হয়েছে বোলারদের অসহায়ত্ব। তাতেই
হোয়াটওয়াশের শঙ্কা আরও গাঢ় হয়েছে।
এদিন বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার বলেছিলেন,
বোলারদের এমন কন্ডিশনে সুযোগ করে দিতে চান তিনি। অন্যদিকে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত
বলেছিলেন, ব্যাটারদের সুযোগ করে দিতে টসে জিতলে তিনি ব্যাটিং-ই নিতেন। অন্তত ম্যাচ
শেষে বোঝা গেছে, জয়টা আসলে কার হয়েছে।
টানা হারে স্বভাবই মন খারাপ জ্যোতিদের।
ম্যাচ শেষে অধিনায়কের কণ্ঠে ঝরেছে আক্ষেপও, ‘আমরা প্রচুর ডট বল খেলেছি। ব্যাটাররাও
ব্যর্থ ছিল। ইনটেন্টে যথেষ্ট ঘাটতি ছিল। আমাদের আরও সাহসী খেলা উচিত। সঙ্গে লক্ষ্যটাও
ঠিক রাখা দরকার।’