প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ মে ২০২৪ ১৫:৫৩ পিএম
আপডেট : ০৬ মে ২০২৪ ১৬:৩৫ পিএম
‘আমার যা হারাবার গেছে হারিয়ে’। প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী শ্রেয়া ঘোষালের গানের সমানুপাতিক দুঃখ বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের। ভারতের বিপক্ষে সিরিজ হাতছাড়া। প্রথম তিন ম্যাচের সব কটিতেই হার। বাকিগুলো কেবলই নিয়মরক্ষার। তবে অস্তিত্বের প্রশ্নে গা-ঝাড়া দিতে চায় টাইগ্রেসরা। সিরিজের চতুর্থ ম্যাচটি শাপমোচনের। একই সঙ্গে খোলসমুক্তিরও। ভারতের লক্ষ্য অবশ্য হোয়াইটওয়াশের দিকে এগিয়ে যাওয়া।
সিলেট স্টেডিয়ামে আজ বিকাল ৪টায় শুরু হবে বাংলাদেশ-ভারতের লড়াই। আগেই সিরিজ নিশ্চিত করা হারমানপ্রীত কৌররা দুই কারণে ম্যাচটি হেলায় ছেড়ে দেবে নাÑ হোয়াইটওয়াশের সুযোগ এবং আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বাংলাদেশে বিশ্বকাপযজ্ঞের ভেন্যু। এখানকার মাটি, উইকেটে এবং পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ার দারুণ সুযোগ প্রতিবেশী দেশের।
অতিথি হয়েও স্বাগতিক বাংলাদেশের ওপর বেশ চড়ি ঘোরাচ্ছে ভারত। যেমনটি বলেছেন দলের তারকা বোলার রাঁধা যাদব। তার মতে, দুদেশের উইকেট-কন্ডিশন প্রায়ই একই। যা সুফল দিচ্ছে সফরকারীদের। রাঁধা বলেছেন, ‘টার্নিং উইকেট। অনেকটা ভারতের মতোই উইকেটের মতোই। দুই ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ নিশ্চিত। আমরা সত্যিই খুশি। এ ব্যাপারে ম্যানেজমেন্ট আমাদের দিকনির্দেশনা দিয়েছে। সেগুলো অনুসরণ করেছি এবং সফল হয়েছি।’
যুদ্ধে সফলতার অন্যতম শর্তÑ লড়াইয়ের আগে সেখানকার অবস্থা, জনবল এবং শক্তিমত্তা ভালোভাবে জেনে নাও। বাংলাদেশের বিপক্ষে ক্রিকেটীয় যুদ্ধের আগে কন্ডিশন-উইকেট নখদর্পণে রেখেছে ভারত। চতুর্থ ম্যাচে মুখোমুখির আগে বিষয়টি খোলাসা করেছেন হারমানপ্রীত, ‘তারা আমাদের পরিকল্পনা বাতলে দিয়েছে। সবকিছু ব্যাখ্যা করেছে। আমরা সেভাবেই করেছি। আপনার কাজ সম্পর্কে আগে থেকে ওয়াকিবহাল থাকেন তবে সেটি সহজেই সম্পাদন করতে পারবেন।’
চেনা মাঠ, উইকেট, পরিবেশও। তা-ও খাবি খাচ্ছেন নাহিদা আক্তার-রাবেয়া খাতুনরা। বোলারদের জোর লড়াই। বেঁধে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা। বিপরীতে যথেষ্ট পুঁজি গড়তে ব্যর্থ ব্যাটাররা। হতাশা আর উদ্বেগ শোনা যাচ্ছে কয়েক সিরিজ ধরেই। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে যা, ভারত সিরিজেও তা। হাপিত্যেশ চলছেই।
তৃতীয় ম্যাচের পর অধিনায়ক জ্যোতি বলেছেন, ‘বোলিং বিভাগ সব সময়ই ভালো পারফর্ম করছে। কিন্তু ব্যাটিং বিভাগের দুর্বলতা প্রকাশ্যে। বিশেষ করে নাহিদা আক্তার সে তার ফর্মে ফিরেছে। দারুণ করছে। পাওয়ারপ্লের বাইরের ওভারগুলোয় সেরাটা দেখাচ্ছে।’
জ্যোতি মনে করেন বাংলাদেশ দল অপেক্ষাকৃত তারুণ্যনির্ভর। তাদের এখনও শেখার আছে। এই দলটিকে নিয়েই আশাবাদী তিনি। বলেছেন, ‘তাদের পারফর্মে আমি খুশি। সামনের ম্যাচে তারা ভালো ফল করবে এবং ভালো একটি ফল এনে দেবে।’
ইতিহাস-শক্তিমত্তায় হারমানরা এগিয়ে থাকলেও সম্মান বাঁচানোর দিনে লড়াইয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশের। তবেই খেরোখাতায় লেখা হবে একটি জয়। তার চেয়েও বরং কমবে জয়-পরাজয়ের হিসাব।