প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৫ মে ২০২৪ ২২:০০ পিএম
আপডেট : ০৬ মে ২০২৪ ০০:০১ এএম
চট্টগ্রামে এ যেন প্রথম ম্যাচের পুনরাবৃত্তি। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও নাজমুল হোসেন শান্তর টস জয়, তাসকিনদের দাপট, বৃষ্টির বাগড়া এবং জিম্বাবুয়ের হতশ্রী অবস্থা— এক দুই করে মিলে যাচ্ছে অনেকটুকু দৃশ্যপট। ফলটাও অনেকটা একই। প্রথম ম্যাচে ৮ উইকেটের জয়, এবার সিকেন্দার রাজাদের হার ৬ উইকেটে। মারকাটারি সংস্করণের সিরিজে দেড়শ করতে না পারা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তবে এদিনও খানিকটা ভুগেছে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। অন্তত টি-টোয়েন্টির এই জমানার বিচারে অনেকটা বেশিই!
জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে আজ রবিবার জয়ের মঞ্চ প্রস্তুত করে রেখেছিলেন বোলাররা। তাসকিনের সেই আগুনে গোলা, শেখ মাহেদীর কিপ্টেমি এবং বাকি তিন বোলারের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে জিম্বাবুয়ে এগোতে পারেনি খুব বেশিদূর! ৭ উিইকেট হারানো দিনে জিম্বাবুয়ে যতটা এগিয়ে তার মূল কৃতিত্ব জনাথন ক্যাম্পবেলের। দেশটির সাবেক অধিনায়ক অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেলের ছেলের সঙ্গে ঝড় তুলেছিলেন ব্রায়ান বেনেটও। তবে সেই পুঁজিও ধোপে টেকেনি। ১৮.৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে নিজেদের ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশ।
এদিনও টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নেন শান্ত। সাবধানী শুরু করেছিল জিম্বাবুয়ে। প্রথম ৪ ওভারে তারা তুলতে পারে মাত্র ১৫ রান। এরপরই তাদের শিবিরে তাসকিনের আঘাত। দলীয় ৩০ রানে ওপেনার জয়লর্ড ফেরেন সাইফউদ্দিনের শিকার হয়ে। রিশাদ হোসেন দশম ওভারে খেলার গতি আরও কমিয়ে দেন। বাংলাদেশের লেগি এক ওভারে ফেরান সফরকারীদের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা (৩) ও আগের ম্যাচে হাল ধরা ক্লাইভ মাদান্দেকে (০)। উইকেটে থিতু হওয়ার অপেক্ষায় থাকা ক্রেইগ আরভিনকে ১৩ রানে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান মাহেদি। ৪২ রান তুলতেই পঞ্চম উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে জিম্বাবুয়ে। তবে সেখান থেকেই শুরু হয় জোনাথন ক্যাম্পবেল ও ব্রায়ান বেনেটের লড়াই। দুজনে মিলে যোগ করেন ৭৩ রান। এর মধ্যে ক্যাম্ববেল একাই করেন ৪৫ রান, তাও মাত্র ২৪ বলে। জিম্বাবুয়ের জার্সিতে অভিষেক টি-টোয়েন্টিতে এটাই সর্বোচ্চ ইনিংস। তার ব্যাট থেকে আসে ৪টি ও ৩টি ছক্কা। ছুটতে থাকা ক্যাম্ববেলকে ইনিংসের শেষদিকে ফিরিয়ে স্বস্তি ফেরান শরিফুল ইসলাম। ক্যাম্ববেলের অভাব পূরণ করেন বেনেট। তার ব্যাট থেকে আসে ২৯ বলে ৪৪ রানের ইনিংস।
বল হাতে তাসকিন আহমেদ ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। সমান উইকেট গেছে রিশাদ হোসেনের ঝুলিতেও। তবে এই লেগ স্পিনার খরচ করেছেন ৩৩ রান। এছাড়া ১টি করে উইকেট নিয়েছেন শরিফুল, মাহেদী ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
জবাবে পুরোনো সেই ভুল লিটন দাসের। এদিন অবশ্য রান করেছিলেন কিন্তু থিতু হয়েও বেশিদূর এগোতে পারেননি। ২৫ বলে টাইগার ওপেনার করেন মোটে ২৩ রান। আগের ম্যাচে ফিফটি পাওয়া তানজিম ফিরেছেন ১৮ রান করে। অধিনায়ক শান্তর ব্যাটও হাসেনি, ১৫ বলে খেলেছেন ১৬ রানের ইনিংস। জাকেরও নিজের মান রাখতে পারেননি। একটি ছক্কা হাঁকালেও বৃষ্টি বাগড়ার দিনে ফিরেছেন ১৩ রান করে। বাকি পথে আর ভুল করেননি অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ২৫ বলে ৩৭ রান করা তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে জয় তুলেই ফেরেন রিয়াদ। ১৬ বলের ক্যামিও ইনিংসে ২ চার ও এক ছক্কায় মাহমুদউল্লাহ আনেন ২৬ রান। বাংলাদেশ পায় ৯ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয়।