কাউন্টডাউন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ মে ২০২৪ ১৫:১২ পিএম
আপডেট : ১৫ মে ২০২৪ ১৭:৫৫ পিএম
ট্রাভিস হেড
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে স্কোরবোর্ডে কত রান নিরাপদ? মাত্র কিছুদিন আগ পর্যন্ত মনে করা হতো, ম্যাচ জেতার জন্য পৌনে দুইশ রান যথেষ্ট। আর স্কোরবোর্ডে দুইশ রান জমা পড়লে ধরাছোঁয়ার বাইরে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বদলে গেছে এই হিসাব। বিশেষ করে সর্বশেষ আইপিএল বোলারদের জন্য হয়ে ওঠে এক অলিখিত মরণফাঁদ। আড়াইশোর্ধ্ব রান হয়েছে প্রায় নিয়মিত। আড়াইশোর্ধ্ব রানের সৌধ গড়েও হার এড়াতে পারেনি আগে ব্যাটিং নেওয়া দল। যত সময় গড়াচ্ছে, ততই বোলারদের ওপর আধিপত্য বাড়ছে ব্যাটারদের। এ অবস্থায় আসন্ন বিশ্বকাপে তিনশর পদধ্বনি শুনতে পাচ্ছেন অনেকেই।
চলতি আইপিএলে আটবার দুইশ পঞ্চাশোর্ধ্ব রান দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব। ফ্র্যাঞ্চাইজি সানরাইজ হায়দরাবাদ আড়াইশ পেরিয়েছে তিনবার। ২৮৭ রান করে টি-টোয়েন্টিতে ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড গড়েছে দলটি। রান তাড়ায়ও দেখা গেছে নতুন রেকর্ড। পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে ২৬১ রান করেও হেরেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ৮ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতেছে পাঞ্জাব। প্রায় প্রতিটা ম্যাচেই ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ দশা হয়েছে তারকা বোলারদের।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট বিশেষত আইপিএলে বোলারদের দুর্দশা দেখে ভীষণ হতাশ কিংবদন্তির পাকিস্তান ফাস্ট বোলার ওয়াসিম আকরাম। পেসারদের উদ্দেশে বলেছেন, তোমরা অনেক টাকা নাও আর শেষ হয়ে যাও! এই ফরম্যাটে বোলিং-ব্যাটিংয়ের মধ্যে ভারসাম্য আনার ওপর জোর দিচ্ছেন ভারতের সাবেক গ্রেট অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী। তার ভাষায়, ‘বোলাররা সবকিছুতেই ভুগছে। এবং ব্যাট ও বলের মধ্যে ভারসাম্য আনাটা খুবই জরুরি।’
আইপিএলে বড় রান হওয়ার জন্য ব্যাটিংবান্ধব উইকেটের পাশাপাশি ইম্পেক্ট বদলির নিয়ম, কোকাবুরা বল কিংবা ছোট বাউন্ডারি এসবের ভূমিকা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে বিশ্বকাপে এই রান উৎসব হবে না বলেই মনে করছেন অস্ট্রেলিয়ান রান মেশিন ডেভিড ওয়ার্নার। তার কথায়, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজে উইকেট নিচু বাউন্সও মন্থর হয়। এখানে ২০১০ সালের বিশ্বকাপও খেলেছি। তখনও উইকেট বড় রানের ছিল না।’
আসন্ন যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের বিশ্বকাপ বোলারদের সম্মান রক্ষা করতে পারে কি না, সেটাই এখন দেখার। তবে টি-টোয়েন্টিতে রানের গ্রাফটা কিন্তু ক্রম ঊর্ধ্বমুখী। রান উৎসবই যেন টি-টোয়েন্টির শেষ কথা।