প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ মে ২০২৪ ২২:৫৬ পিএম
দীর্ঘ চার বছর পর বাংলাদেশ সফরে এসেছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। এই সফরে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে আফ্রিকার দলটি। বাংলাদেশের জন্য সিরিজটি আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির মঞ্চ হলেও বিশ্বকাপে খেলা হচ্ছে না জিম্বাবুয়ের। গত নভেম্বরে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে উগান্ডার কাছে হেরে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে হতে যাওয়া ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণের এই বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। যা নিয়ে আক্ষেপে পুড়ছেন দলটির অধিনায়ক সিকান্দার রাজা।
আগামীকাল শুক্রবার (৩ মে) চচট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে দুই দলের মাঠের লড়াই। সিরিজ শুরুর আগের দিন গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে রাজার প্রতি এটিই ছিল সাংবাদিকদের প্রথম প্রশ্ন। জবাবে এই তারকা অলরাউন্ডার জানান, ‘মজার ব্যাপার হচ্ছে, আমি জানতাম এই প্রশ্নটা আসবে। তবে শুরুতেই এই প্রশ্ন আসবে ভাবিনি। এটা এমন একটা বিষয় যা সব সময়ই বেদনাদায়ক। এই ব্যথা আমাদের অনেক দিন বয়ে বেড়াতে হবে।’
অনেক দিন ধরেই বাজে সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট। ক্রমেই নিম্নমুখী হয়েছে জিম্বাবুয়ের পারফরম্যান্স গ্রাফ। দলের যখন এই অবস্থা, তখন কোনো দ্বিপক্ষীয় সিরিজের আগে দলকে কীভাবে অনুপ্রেরণা জোগাবেন? এমন প্রশ্নে রাজার জবাব, ‘ক্রিকেট খেলার জন্য আলাদা অনুপ্রেরণা দরকার হয় না, ভেতর থেকেই আসে। আর আমি পুরো দলের হয়েই কথাটা বলছি। আমাদের লক্ষ্য ছিল বিশ্বকাপে যাওয়া। সেটা হয়নি। তবে জিম্বাবুয়েতে যে ছেলেমেয়েরা ক্রিকেট খেলে, যারা ক্রিকেট খেলে ক্যারিয়ার গড়তে চায়, তাদের প্রতি আমাদের বিরাট দায়িত্ব আছে। আমাদের বড় ক্যানভাসে দেখতে হচ্ছে বিষয়টা। আমরা চাইব আরও অনেক ক্রিকেটার তৈরি করতে এবং নিজেদের একটা ছাপ রেখে যেতে।’
ক্যারিয়ারের লম্বা একটা সময় বাংলাদেশে কাটিয়েছেন রাজা। ৩৮-এর রাজা আছেন তার ক্যারিয়ারের শেষ অধ্যায়ে। রাজার কথা শুনে মনে হবে তিনি বাংলাদেশকে বিদায় বলতেই এসেছেন, ‘আমি বাংলাদেশে নিয়মিত আসতাম। ভাগ্য না দুর্ভাগ্য কে জানে, ইদানীং আমাদের সূচির কারণে বাংলাদেশে খুব বেশি আসা হচ্ছে না। যদি এটাই আমার সর্বশেষ বাংলাদেশ সফর হয়, তাহলে আমি আমার স্ত্রী, কন্যা ও ছেলে, যারা এখানে এবার এসেছে, তারা যেন ওই ভালোবাসা, আতিথেয়তা ও আপ্যায়নের অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারে।’ বাংলাদেশে খেলেই ক্যারিয়ার গড়েছেন, এ কথা জানিয়ে রাজা যোগ করেন, ‘আমার প্রথম ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ বাংলাদেশে, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। বিপিএলেও খেলেছি। তিনবার ডিপিএল, তিনবার বিপিএল খেলেছি। আমার আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছে বাংলাদেশে। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের অনেক বড় বন্ধু বাংলাদেশ। দুই দেশ নিয়মিত ক্রিকেট খেলেছে।’
মাঠের ক্রিকেটটাও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হোক, সেই বার্তাও দিয়েছেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক। বাংলাদেশের সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি জানি, ওরা শ্রীলঙ্কার কাছে হেরেছে। কিন্তু সিরিজটা ছিল ২-১ ব্যবধানের। দুইশর মতো রান তাড়া করছিল সম্ভবত একটা ম্যাচে… সে ম্যাচে আপনি গভীরতা দেখতে পাবেন। রিয়াদ ভাই ভালো করেছে, জাকির একটা ভালো ইনিংস খেলেছে। লেগ স্পিনার (রিশাদ) দারুণ খেলেছে। আমরাও শ্রীলঙ্কায় গিয়ে সিরিজটা জিততে জিততে হেরেছি। আমি শুধু আশা করছি সিরিজটি যেন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়। সমর্থকেরা বিরক্তিকর সিরিজ উপভোগ করবে না। যদি ইতিহাস দেখেন, এ দুই দলের সিরিজ সব সময় উপভোগ্য হয়। এবারও তেমনটাই আশা করছি।’