কাউন্টডাউন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০২ মে ২০২৪ ২১:২৫ পিএম
আপডেট : ০৮ মে ২০২৪ ১৮:৩০ পিএম
চার-ছক্কা, দর্শকভর্তি গ্যালারি,
লাল-সবুজ কিংবা হলুদের ঢেউ, গগনবিদারী চিৎকারÑ আধুনিক টি-টোয়েন্টির সংজ্ঞা সম্ভবতই
এটিই। হাইস্কোরিং উইকেট টি-টোয়েন্টির ধর্ম। ম্যাচের মূল প্রাণ স্ট্রাইক রেট। আর ব্যাটাররাই
ম্যাচের মূল চালিকাশক্তি। হালের কুড়ির ফরম্যাটে দুইশ সাদামাটা। আড়াইশ হচ্ছে অহর্নিশ।
তিনশ রানও চলে এসেছে কাছাকাছি।
আন্তর্জাতিক কিংবা ঘরোয়াÑ
টি-টোয়েন্টি মানেই রান উৎসব। আয়োজক কমিটির মূল লক্ষ্যই যেন দর্শক মনোরঞ্জন। চার-ছক্কার
জন্য নিপাট ফ্লাট উইকেটই তাই আদর্শ। আইপিএল, বিগব্যাশ ও পিএসএলÑ বিশ্বের ঘরোয়া লিগগুলোতে
রানবন্যা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এর ব্যতিক্রম নয়। জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-যুক্তরাষ্ট্রে
বসতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সে রকমই কিছু ঘটবে, পাওয়া যাচ্ছে এমন ইঙ্গিত। সভাবতই
আলোচনায় পাওয়ার হিটিং যার গাণিতিক পরিভাষা স্ট্রাইক রেট।
বিরাট কোহলি-এইডেন মার্করামÑ
কেন উইলিয়ামসনের ব্যাট হাসছে। আধুনিক টি-টোয়েন্টির সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে জোর প্রচেষ্টা
সিনিয়রদের। তরুণদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বৃত্ত ভাঙ্গছেন তারাও। কোহলির কথাই ধরা যাক।
টি-টোয়েন্টির সঙ্গে তার ব্যাটিং মানানসই নয়। নবম বিশ্বকাপে সুযোগ পাবেন না, চাউর হয়েছিল
এমন অনেক কথাই। গুঞ্জন অবশ্য মিথ্যা প্রমাণ হয়েছে। সপ্তম আসরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান
সংগ্রহ তার। স্ট্রাইক রেট দেড়শ ছোঁয়া। নবম বিশ্বকাপে ভারতীয় দলে আছেন কোহলি। ট্রাভিস
হেড, জস বাটলার কিংবা জনি বেয়ারেস্টোÑ সিনিয়ররাও পাল্লা দিয়ে বাড়াচ্ছেন নিজেদের স্ট্রাইক
রেট।
আইপিএলে ২৭৮ স্ট্রাইক রেটের
রেকর্ড আছে। বাটলার নিজের স্ট্রাইক রেট নিয়ে গেছেন অনেক ওপরে। টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি
ব্যাপারটি সস্তা বানিয়ে ফেলেছেন। খুনে মেজাজে ব্যাট চালাচ্ছেন বেয়ারেস্টো। ১৬০-এর ওপরে
স্ট্রাইক রেট রেখেছেন। এই যে আকাশছোঁয়া স্ট্রাইক রেট, এ গায়ে বাংলাদেশের ঘরবসতি কোথায়?
গ্লোবাল পাওয়ার হিটারদের রেসে টাইগার ব্যাটাররা অনেকটাই অনুজ্জ্বল। অন্য দেশের ব্যাটাররা
নিজেদের স্ট্রাইক রেট টেনে ওপরে তুলছেন, সেখানে বাংলাদেশের ব্যাটাররা চলছেন ঢিমেতালেই।
তরুণদের মধ্যে তাওহীদ হৃদয়, লিটন দাশ ও রিশাদ হোসেন কিছুটা আশার মুখ দেখালেও স্ট্রাইক
রেট হয়ে উঠেছে বড় দুশ্চিন্তা। তরুণদের মধ্যে টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা বেশি লিটনের।
তার স্ট্রাইক রেট ১৩০। বাকিদের অবস্থানও এর কাছাকাছি। আসন্ন বিশ্বকাপে অন্য দেশের দেড়শ
তো বটেই পৌনে দুইশ, দুইশ স্ট্রাইক রেটের ব্যাটারদের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার চ্যালেঞ্জটা
যে টাইগার ব্যাটারদের জন্য মোটেও সহজ হবে না, তা বলাই বাহুল্য।