ফিজ উইকেটশূন্য, চেন্নাইয়ের হার

এবারের আইপিএলে নিজের শেষ ম্যাচ বলে কথা। শেষটা রাঙানোর প্রচেষ্টা চালিয়ে গেলেন মুস্তাফিজুর রহমান। বোলিংও হলো তার দুর্দান্ত। কিন্তু থেকে গেলেন উইকেটশূন্য। জিতল না তার দল চেন্নাই সুপার কিংসও।

আগুনে বোলিংয়ে ফিজ প্রথম ওভারে খরচ করেন মাত্র ৩ রান। তবে দ্বিতীয় ওভারেই দেন ১০ রান। মাঝে বিরতি দিয়ে ইনিংসের ১৫তম ওভারে ফিরেই দাপট দেখিয়ে ছিনিয়ে নেন মেডেন। রান উৎসবের আসরে এখন যেটা দুষ্প্রাপ্য! ম্যাচের একমাত্র মেডেন ওভারের মালিক ছিলেন তিনি। কিন্তু নিজের শেষ ওভারে ছন্নছাড়া হয়ে পড়েন। ৯ রান খরচ করলেও দিয়ে ফেলেন ৫টি ওয়াইড।

৪ ওভার বোলিং করে কাটার মাস্টার খরচ করেন ২২ রান। তবে কোনো উইকেট পুরতে পারেননি নিজের পকেটে। এবারের আসরে এই প্রথম উইকেটশূন্য রইলেন বাঁ-হাতি এ তারকা পেসার। চেন্নাইয়ের ছুড়ে দেওয়া ১৬৩ রানের লক্ষ্য ১৩ বল হাতে রেখেই পাঞ্জাব কিংস ছুঁয়ে ফেলে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে।

১০ ম্যাচ খেলে ১০ পয়েন্টের সংগ্রহ নিয়ে চেন্নাই এখন আইপিএলের ৪ নম্বর দল। ৭ উইকেটে জিতলেও চেন্নাইয়ের সমান ম্যাচে ৮ পয়েন্টের পুঁজিতে ৭-এ পড়ে রয়েছে পাঞ্জাব।

উইকেট না পেলেও মুস্তাফিজই চেন্নাইয়ের বোলারদের মধ্যে কিপ্টেমি বোলিংয়ে এগিয়ে। ম্যাচে মহেন্দ্র সিং ধোনির দলের সেরা বোলার মুস্তাফিজের ওভারপ্রতি খরচ ৫.৫০। কিন্তু বিপরীতে তার সতীর্থ বোলারদের ইকোনমি রেট ৭-এর বেশি।

এবারের আইপিএলে খেলার জন্য বিসিবি থেকে মুস্তাফিজ ছাড়পত্র পেয়েছেন ১ মে পর্যন্ত। সে হিসেবে আজ ফিজ দ্য কাটার মাস্টারের দেশে ফেরার কথা। টুর্নামেন্টের চলতি আসরে ১৪ উইকেট নেওয়ার সুখস্মৃতি নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পাখির চোখ করে এখন জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য প্রস্তুতি নেবেন ফিজ দ্য কাটার মাস্টার। তার সমান উইকেট নিলেও ইকোনমি রেটে এগিয়ে থাকায় পার্পল ক্যাপ নিজের দখলে রেখেছেন জাসপ্রিত বুমরাহ। সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় মুস্তাফিজের পর তৃতীয় স্থানে থাকা হার্শাল প্যাটেলের পকেটেও রয়েছে সমান উইকেট।

চিপকের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে পুঁজি অল্প হওয়ায় ম্যাচে জয়ের মুখ দেখতে পারেনি চেন্নাই। নিজেদের মাঠে টস হেরে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে স্বাগতিকদের অভিযাত্রা থেমে যায় ১৬২ রানেই। ক্যাপ্টেন রুতুরাজ গায়কোয়াড দলের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৪৮ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলেন। অন্য উদ্বোধনী ব্যাটার অজিঙ্কা রাহানে ২৪ বলে দলীয় স্কোরে যোগ করেন ২৯ রান।

লক্ষ্য তাড়ায় পাঞ্জাবকে জয়ের ভিত গড়ে দেন জনি বেয়ারস্টো ও রাইলি রুশো। ইনিংসের গোড়াপত্তন করে বেয়ারস্টো ৩০ বলে ৪৬ আর ওয়ান ডাউনে নামা রুশো ২৩ বলে করেন ৪৩ রান। দুজনে মিলে কাজ এগিয়ে রাখায় স্যাম কারান-শশাঙ্ক সিং ১৭.৫ ওভারে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেওয়ার বাকি আনুষ্ঠানিকতা সারেন হেসেখেলেই।