প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০২ মে ২০২৪ ০৭:০৯ এএম
আপডেট : ০২ মে ২০২৪ ১০:৫৮ এএম
অনেক লম্বা একটা পাস নিলেন নিকোলাস শ্লটারবেক। স্বাগতিকদের অর্ধ থেকে তার নেওয়া সেই লং পাসই হয়ে যায় গোলের উৎস। সতীর্থের বাড়ানো বল অসাধারণ দক্ষতায় নিজের নিয়ন্ত্রণে নেন ফুলক্রুগ। পরে ডিফেন্ডার আর গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে বাঁ পায়ের ক্ষিপ্রগতির শটে পিএসজির জাল কাঁপিয়ে দেন এ জার্মান স্ট্রাইকার।
লড়াইয়ের ৩৬তম মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সেই উচ্ছ্বাস টিকে রইল ম্যাচের শেষ পর্যন্ত। সেটা অবশ্য ডিফেন্ডারদের ইস্পাতকঠিন দৃঢ়তায়। নিজেদের মাঠ সিগনাল ইদুনা পার্কে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে পিএসজির বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতে এগিয়ে রইল আয়োজক বরুশিয়া ডর্টমুন্ড।
জয় ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখেনি পিএসজি। কিন্তু অতিথিদের ভাগ্যটা ঠিক সহায় ছিল না! নইলে কি আর গোলবঞ্চিত থাকে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা! অথচ বল দখলে দাপট দেখিয়ে গেছে সফরকারীরাই। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণেও কাইলিয়ান এমবাপেরা ম্যাচজুড়ে তটস্থ রাখেন প্রতিপক্ষ শিবির। কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে আধিপত্য বিস্তার করেও গোলের দেখা মেলেনি। ম্যাচে দুই দলের মধ্যে ব্যবধান হয়ে দাঁড়িয়েছে এটাই।
প্রথমার্ধে রক্ষণে চাপ দিলেও পিএসজি আক্রমণ আর ফিনিশিংয়ে ছিল ক্ষুরধারহীন। একটি শটও তারা রাখতে পারেনি টার্গেটে। উসমান দেম্বেলের দুটি শট চলে যায় মাঠের বাইরে। বিপরীতে চারটি শট লক্ষ্যে রেখে ১টি গোলও আদায় করে নেয় ডর্টমুন্ড। মার্সেল স্যাবিটজারের ২টি গোল প্রচেষ্টা রুখে দেন পিএসজির গোলবারের অতন্দ্রপ্রহরী জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা।
দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে পিএসজি। দলের খেলোয়াড়রা হয়ে পড়েন বেশ উজ্জীবিত। চেষ্টা অব্যাহত রাখায় সুযোগও এসেছিল। কিন্তু সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেনি ভাগ্যের ফেরে। তাই তো বহুলকাঙ্ক্ষিত গোল থেকে যায় দূর আকাশের চাঁদ হয়ে। টানা দুই শটে বাধা হয়ে দাঁড়ায় পোস্ট। ৫১ মিনিটে এমবাপের বুলেটগতির শট আঘাত করে পোস্টে। ডর্টমুন্ডের রক্ষণের নিষ্ক্রিয়তায় ফিরতি বলে নেওয়া আশরাফ হাকিমির শটও আটকে দেয় পোস্ট।
জোড়া গোল পেতে পারতেন ফুলক্রুগ। ম্যাচের ৬০ মিনিটে জোদান সানচো বল ঠেলে দিয়েছিলেন তার কাছে। খালি পোস্ট পেয়েও এ ফরোয়ার্ড বল উড়িয়ে পাঠিয়ে দেন মাঠের বাইরে। ফুলক্রুগের মতো ৮১ মিনিটে একই চিত্রনাট্য মঞ্চস্থ করেন পিএসজির দেম্বেলেও।
পরে আর কোনো গোল না হওয়ায় ফুলক্রুগের সেই গোলই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয়। কষ্টার্জিত সেই রোমাঞ্চকর জয়ে শেষ চারের লড়াইয়ে এক ধাপ এগিয়ে থেকে মাঠ ছাড়ে ডর্টমুন্ড। সুবাদে ফাইনালে এক পা দিয়ে রাখল জার্মান জায়ান্ট ক্লাবটি। আগামী মঙ্গলবার প্যারিসের পার্ক দেস প্রিন্সেসে ফিরতি লেগে মুখোমুখি হবে দুই দল।