প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ২১:১৩ পিএম
আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:৫৬ পিএম
সিলেটে ক্রিকেট প্রচারণায় স্কুলে স্কুলে জ্যোতিরা; আ. ই. আলীম
আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ বাংলাদেশ। আইসিসির এই মেগা আসরের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ভারতের মেয়েদের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলছে বাংলাদেশের নন্দিনীরা। চায়ের নগরী সিলেটে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৪৪ রানে হেরেছে স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় ম্যাচের আগে একদিন বিরতি। এই দিনেই শিক্ষার্থীদের মাঠে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানানোর পাশাপাশি মেয়েদের ক্রিকেটে উদ্বুদ্ধ করতে সিলেটের তিনটি স্কুলে গিয়েছিলেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি, লেগ স্পিনার ফাহিমা খাতুন ও পেসার মারুফা আক্তার। সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) উইমেনস উইংয়ের হেড অব অপারেশনস ও জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সিলেটের তিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান— আম্বরখানা গার্লস স্কুল, ব্লু বার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও আনন্দ নিকেতনে সময় কাটান জ্যোতিতা। সব খানেই শিক্ষার্থীদের চলমান ভারত সিরিজ মাঠে গিয়ে দেখার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন হাবিবুল-নিগাররা। মেয়েদের ক্রিকেট খেলতে উৎসাহ দেওয়ার পাশাপাশি সব স্কুলের প্রধানের হাতে তুলে দিয়েছেন জাতীয় দলের সব ক্রিকেটারের অটোগ্রাফ-সংবলিত জার্সি।
ক্রিকেটের এমন প্রচারণা নিয়ে জ্যোতি বলেন, ‘আমার জন্য একেবারেই
নতুন অভিজ্ঞতা। আমার অনেক ভালো লেগেছে। যে তিনটি স্কুলে গিয়েছি, বাচ্চাদের যে উৎসাহ
দেখেছি এবং আগ্রহ—তারাও খেলতে চায়। পুরো দল আসতে পারলে
হয়তো সবারই আরও অনেক ভালো লাগত। ভালো একটা উদ্যোগ। যারই বুদ্ধি, আমি বলব অসাধারণ। মেয়েদের
ক্রিকেটের প্রচারণাও হলো, পাশাপাশি এ সিরিজেরও একটা হাইপ তৈরি করা গেল।’
মেয়েদের ক্রিকেটে আনতে গেলে স্কুল অনেক বড় মাধ্যম বলে মনে করেন টাইগ্রেস কাপ্তান, ‘তারা অনেক রোমাঞ্চিত ছিল। তারা খেলাটা অনুসরণ করে। আর এটা আমাদের জন্যও ভালো। কারণ বিসিবিও এটাই চায় মেয়েদের ক্রিকেট নিয়ে প্রচার-প্রসার যত বাড়ানো যায়। এটা স্কুল থেকেই শুরু করতে হবে। আমিও কিন্তু স্কুল ক্রিকেট থেকেই শুরু করেছি। স্কুলের মেয়েরা যত আগ্রহী হবে, ততই মেয়েদের ক্রিকেট সমৃদ্ধ হবে।’
এ সময় নিজের ক্রিকেটে আসার অভিজ্ঞতা নিয়ে জ্যোতি
আরও বলেন, ‘আমার বড় ভাইয়ের থেকে ক্রিকেট খেলার উৎসাহ পায়। বাংলাদেশের হয়ে খেলার বিষয়টি
তাকে উৎসাহ দেয়। আমার পরিবার সবসময় আমার পাশে ছিল। দেশের হয়ে খেলা কিংবা জীবনে যেকোন
কিছু হতে চাইলে সততা খুব দরকার।’
নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান হাবিবুল বাশার বলেন, আমরা চাই সব সেক্টর থেকে মেয়েরা খেলতে আসুক। ভিতটা যদি আরও একটু শক্ত করতে পারি, তাহলে আমরা এগিয়ে যাব।