টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের 'ভালো কিছুর সম্ভাবনা' দেখছেন সাকিব

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের পর্দা উঠবে ২ জুন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে টাইগারদের বিশ্বকাপ মিশন আরম্ভ হবে ৭ জুন, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ১০ জুন লাল-সবুজের জার্সিধারীদের মাঠের শত্রু দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৩ জুন সাকিব-শান্তদের লড়াই নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশ নিজেদের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ খেলবে ১৬ জুন। এ ম্যাচের প্রতিপক্ষ অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল নেপাল। 

যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বসতে যাওয়া টি-টোয়েন্টির বৈশ্বিক এ আসরে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের সম্ভাবনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এক অনুষ্ঠানে সাকিব বলেন, ‘বিশ্বকাপ পাওয়ার মতো অবস্থায় আসছি কি না, এটা বলাটা একটু মুশকিল। তবে টি-টোয়েন্টিতে যে কেউ যে কাউকে হারাতে পারে, বড় ছোট দল নেই। আমাদের বিশ্বাসটা দরকার, ওই বিশ্বাসটা নিয়ে যদি খেলতে পারি, আমরা ভালো করব। বলছি না, ট্রফি জিততে পারব কি পারব না। তবে আমাদের ভালো কিছুর সম্ভাবনা আছে। আমরা যদি মোমেন্টাম পেয়ে যাই এটা ধরে রাখতে পারি। ভালো কিছু করতে খুব বেশি কিন্তু ম্যাচ জিততে হয় না। আমি আশা করছি আমরা সেটা করতে পারব। আপনাদের সমর্থন থাকলে কেন নয়, কেন নয়। আমি বিশ্বাস করি আমরা করতে পারব।’

টি-টোয়েন্টির মহাযজ্ঞে শান্তদের লড়াই করতে হবে কঠিন একটি গ্রুপে। ‘ডি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার মতো দল। আছে নেদারল্যান্ডস ও নেপালের সঙ্গেও। তবে কন্ডিশন থেকে দেশের ক্রিকেটারদের সাহায্য পাওয়ার প্রত্যাশা করছেন সাবেক এ টাইগার কাপ্তান, ‘যদিও আমরা কঠিন গ্রুপে। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে আসলে দলগুলোর পার্থক্য খুব কম হয়। যেকোনো দিন যেকোনো দল যে কাউকে হারিয়ে দিতে পারে। অবশ্যই কঠিন প্রতিযোগিতা হবে। তবে আমার মনে হয় কন্ডিশন যেমন হবে সেটা আমাদের সহায়তা করবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ আমাদের (খেলার) সঙ্গে বেশ মানানসই। একই ধরনের পিচ (বাংলাদেশের মতো) আমরা পেতে পারি। বিশেষ করে ডালাসে। আমি জানি না নিউইয়র্কের পিচ কেমন হবে।’

বৈশ্বিক আসরে ক্রিকেট অনুরাগীদের সমর্থন চান। তাতে নিজের সমালোচনা হলে তাতে কোনো সমস্যা দেখছেন না সাকিব। তবে ভক্তদের ভালোবাসার প্রতিদান ফিরিয়ে দিতে চান বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার, ‘আশা করছি প্রচুর সমর্থন পাব। ভালো করি বা খারাপ করি আপনাদের অনেক সমর্থন পাব, এটাই আমার আশা। সমালোচনাও করতে পারেন, সমস্যা নেই। আমি মনে করি, আমরা আপনাদের ভালোবাসা ও সমর্থনের প্রতিদান দিতে পারব।’

গেল বছরের নভেম্বরে ভারত বিশ্বকাপের পর সাকিব প্রথম কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেটে খেলেন চলতি বছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত বিপিএলে। দুই মাস বিরতির পর প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেট ছিল চলমান ডিপিএল, যেখানে মাত্র তিনটি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। এরপর ছুটি কাটাতে পরিবারের কাছে ফিরে যান যুক্তরাষ্ট্রে। গতকাল রাতে তার দেশে ফেরার কথা।