বলছেন আকরাম
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ২১:৪২ পিএম
এবারের আইপিএলে যেন খোলস ছেড়ে বেড় হয়েছে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। কি পাওয়ারপ্লে, কি পাওয়ারপ্লের বাইরের ওভার—হায়দরাবাদের ব্যাটিং-তাণ্ডব যেন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। আইপিএলে দলীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহে নিজেদের গড়া রেকর্ড নিজেরাই ভাঙা-গড়ার খেলায় মেতে উঠেছে। অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বাধীন দলটি এ মৌসুমে এখন পর্যন্ত ৮ ম্যাচের ৪টিতেই ন্যূনতম ২০০ রান করেছে। ২৬০-এর বেশি ইনিংস ৩টি। এ পথে আইপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ২৭৭ ভেঙে ২৮৭ গড়ার রেকর্ডও গড়েছে ট্রাভিস হেড-অভিষেক শর্মা-হাইনরিখ ক্লাসেনরা।
হায়দরাবাদের খেলায় মুগ্ধতার ঘোরে বেঁধে ফেলেছে পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরামকে। একই সঙ্গে বোলারদের প্রতি সহানুভূতিও প্রকাশ করেছেন সাবেক এই বাঁহাতি পেসার। ভারতের ক্রীড়াবিষয়ক ওয়েবসাইট 'স্পোর্টসক্রীড়া'কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সর্বকালের অন্যতম সেরা এই পেসার বলেন, ‘সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ যে আমাকে এই যুগে ক্রিকেট খেলতে হচ্ছে না। মানে, আমি বলতে চাইছি ওরা (সানরাইজার্স হায়দরাবাদ) ২০ ওভারে ২৭০ রান করছে। এটা তো ৫০ ওভারের ম্যাচে ৪৫০ থেকে ৫০০ রানের মতো। যদি এত রান একবার হতো, তাহলে বলতাম ঠিক আছে। কিন্তু তিন-চারবার এমনটা ঘটল। এর মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত হয় ওদের ব্যাটিং কতটা শক্তিশালী।’
শুধু আইপিএল ইতিহাসে দলীয় সর্বোচ্চই নয়, গত শনিবার দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ৬ ওভারে ১২৫ রান তুলে টি-টোয়েন্টিতে পাওয়ারপ্লেতে সর্বোচ্চ রানের বিশ্ব রেকর্ডও গড়েছে হায়দরাবাদ। এ ব্যাপারে আকরাম বলেছেন, ‘৫ ওভারে ১০০ রান করা বেআইনি। এটা কীভাবে হতে পারে? আপনি যদি সব ফুলটস বল করেন, তবু এটা করা কঠিন। বোলারের জন্য ব্যাপারটা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে—টাকা নাও এবং এখানে ধ্বংস হয়ে যাও। এই সংস্করণে বোলারদের প্রতি আমি সহানুভূতি জানাচ্ছি।’
৫৭ বছর বয়সী আকরামের মতে, হায়দরাবাদই ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের ‘সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক’ দল। এবারের আইপিএলে নিজেদের পছন্দের ক্রিকেটারদের নামও জানিয়েছেন পাকিস্তানের হয়ে ১৯৯২ বিশ্বকাপ জেতা আকরাম, ‘যদি সাদা বলের ক্রিকেটের কথা বলেন, তাহলে হাইনরিখ ক্লাসেন আমার অন্যতম প্রিয় খেলোয়াড়। ওর ছক্কা মারার ক্ষমতা অবিশ্বাস্য। আবদুল সামাদও ফিনিশার হিসেবে ভালো খেলছে। অধিনায়ক হিসেবে প্যাট কামিন্সের উপস্থিতিও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ড্রেসিংরুমে কিছুটা প্রশান্তি এনেছে।’