প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:৫৬ পিএম
আপডেট : ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১২:০২ পিএম
সাকিব আল হাসান
জিম্বাবুয়ে সিরিজের বিপক্ষে প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি খেলবেন না সাকিব। ওই সময়টাতে সাবেক এই টাইগার অধিনায়ক ডিপিএলে নিজেকে ঝালাই করে নেবেন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের জার্সি গায়ে। দেশের ঘরোয়া এ আসরে খেলবেন দুটি ম্যাচ। পরে জিম্বাবুয়ে সিরিজের শেষের তিন ম্যাচ খেলবেন সাকিব। বিসিবির প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুও দিয়েছিলেন তেমন কিছুরই আভাস।
সাকিবের ঢাকায় ফেরা আর তার ডিপিএল ও জিম্বাবুয়ে সিরিজে খেলা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। জিম্বাবুয়ে সিরিজের শুরুতে না খেলে কেন ডিপিএল খেলবেন এই বিষয়টি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন সাকিব।
যুক্তরাষ্ট্রে এক অনুষ্ঠানে সাকিব বলেন, ‘জিম্বাবুয়ে সিরিজে অবশ্যই খেলব। দেশে হয়তো এ নিয়ে একটা কনফিউশন চলছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এটা নিয়ে কথা চলছে যে আমি জিম্বাবুয়ে সিরিজে শুরু থেকে খেলব না, ডিপিএল খেলব। আসলে কোচ, অধিনায়ক সবার সঙ্গে আগে কথা বলে রেখেছিলাম। কোচ বলেছিলেন দুটো ম্যাচ খেললেই হবে। এরপর অধিনায়ক ও নির্বাচকদের সঙ্গে কথা বলি, তারা বলেছে দুটো না তিনটা ম্যাচ খেলো, তাহলে আমাদের জন্য ভালো হয়। আমি বলেছি সমস্যা নেই। এটাই সিদ্ধান্ত হয়েছে, যেটা নিয়ে দেশে এত কনফিউশন দেখতে পাচ্ছি। খুবই অবান্তর আলোচনা।’
ডিপিএলে দুটি ম্যাচ খেলে প্রস্তুতি নেবেন সাকিব। পরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের শেষ তিন টি-টোয়েন্টি খেলবেন। এ ক্রিকেট মহাতারকা জানালেন এমনটাই, ‘আসলে এগুলো আলোচনার মাধ্যমেই হয়, আমার ইচ্ছামতো হয় না। যেহেতু ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দুটি ম্যাচ থাকবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ তিন ম্যাচ খেলার আগে। সেহেতু দুটি ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকবে, এ ছাড়া প্রস্তুতিটাও ভালো হবে। সে কারণে আসলে এই দুইটা ম্যাচ খেলা। এখানে এর বেশি নাই।’
সাকিবের খেলা না খেলা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। এ দেখে একটুও রাগ হয়নি। বরং ক্রিকেট অনুরাগীদের কাণ্ড দেখে কেবল হাসিই পেয়েছে সাকিবের, ‘আমেরিকা থাকলে ফেসবুকে বেশি সময় কাটানো হয়, দেশে থাকলে সময় পাই না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব দেখলে আমার একটু হাসিই পায় যে মানুষ কত রকম চিন্তা করতে পারে। যা হয়েছে বিসিবি আর আমার আলোচনার মধ্যেই হয়েছে। কারণ আমাদের অন্য খেলোয়াড়দেরও দেখা জরুরি। বিভিন্ন ধরনের কম্বিনেশন তৈরি করতে হলে আমাদের কী অবস্থায় থাকতে হবে, সে প্রস্তুতিটা নিতে পারি।’