প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ০০:০৯ এএম
মহেন্দ্র সিং ধোনির কথা শুনছেন মুস্তাফিজ
ম্যাচের শেষ ওভারে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৭ রান। স্ট্রাইকিং প্রান্তে ব্যাট হাতে দাঁড়িয়ে তখন সেঞ্চুরিয়ান মার্কাস স্টয়নিস। ক্যাপ্টেন রুতুরাজ গায়কোয়াড় বল তুলে দেন দলের নির্ভরযোগ্য বোলার মুস্তাফিজের হাতে। কিন্তু ফিজ আস্থার প্রতিদান দিতে পারলেন না।
মুস্তাফিজকে পেয়ে যেন বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন স্টয়নিস। কাটার মাস্টারের প্রথম বলেই হাঁকান ছক্কা। পরের দুই বলে পান টানা দুটি বাউন্ডারি। তৃতীয় বলটি আবার ফিজ করে ফেলেন নো। ফ্রি হিটে ফের চার মেরে স্টয়নিস তিন বল হাতে রেখে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসকে উপহার দেন ৬ উইকেটের দুর্দান্ত এক জয়।
নিজের ও ম্যাচের শেষ ওভারটি শেষ করতে পারেননি মুস্তাফিজ। তিন বলে ১৯ রান দিয়ে লক্ষ্ণৌর জয়টাই ত্বরান্বিত করেছেন কেবল। ৩.৩ ওভারে ৫১ রান দিয়ে ম্যাচের সবচেয়ে খরুচে বোলার হয়েছেন মুস্তাফিজ। সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে মাত্র এক উইকেটেই।
এ নিয়ে আইপিএলে চেন্নাই হার মানল টানা দুই ম্যাচ। সবশেষ দুই ম্যাচেই এমএস ধোনির দল অসহায় আত্মসমর্পণ করল লক্ষ্ণৌর কাছে। হঠাৎ করেই কেন মাঠের লড়াইয়ে খাবি খাচ্ছে মুস্তাফিজের চেন্নাই।
মঙ্গলবার রাতে লক্ষ্ণৌ শুধু জেতেনি। চেন্নাইয়ের মাঠে গড়েছে তারা সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। দলের এমন বাজে হারের জন্য চেন্নাই অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড় দায়ী করছেন শিশিরকে। শিশিরে নাকাল হয়ে গায়কোয়াড় বলেন, ‘শিশির অনেক বড় ভূমিকা রেখেছে। আমার মনে হয় অনেক বেশি শিশির ছিল, যা আমাদের স্পিনারদের ম্যাচে অবদান রাখতে দেয়নি। যদি শিশির না থাকত, আমরা মিডল ওভারে খেলাটাকে নিয়ন্ত্রণ করে ম্যাচটিকে আরও গভীরে নিয়ে যেতে পারতাম। তবে এটা খেলার অংশ। যেটা আপনার হাতে নেই তা আপনি পরিবর্তন করতে পারবেন না। এখনও টুর্নামেন্টের অনেক পথ বাকি।’
হারের তেতো স্বাদ হজম করে প্রতিপক্ষের জয়ের নায়ক স্টয়নিসকে বাহবা দিতে ভোলেননি গায়কোয়াড়, ‘হজম করা কঠিন। কিন্তু ভালো একটা ম্যাচ হয়েছে। লক্ষ্ণৌ শেষের দিকে খুব ভালো খেলেছে। ১৩-১৪ ওভার পর্যন্ত ম্যাচ আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। স্টয়নিসের প্রশংসা করতেই হবে। সে দারুণ খেলেছে।’
এখানেই শেষ নয়। চেন্নাইয়ের নাজেহাল হওয়ার পেছনে রয়েছে টিম কম্বিনেশনের ঘাটতি। সমন্বয়ের মাধ্যমে সঠিক দল গড়তে সব ক্রিকেটারকে সব সময় পাচ্ছে না চেন্নাই। ম্যাচের পর প্রধান কোচ স্টিভেন ফ্লেমিং সেটা স্বীকারও করে নিলেন, ‘আমরা কিছু জায়গা নিয়ে অস্বস্তিতে আছি। স্বল্পমেয়াদি সমাধান নয়, আমরা দলের সঠিক সমন্বয়টা বের করার চেষ্টা করছি...সামনে আমাদের আরেকটি পরিবর্তন আছে মুস্তাফিজের কারণে। আমাদের চোটাঘাতও ছিল। কিন্তু প্রধান কাজ হলো, ফর্মে থাকা খেলোয়াড়দের কাজে লাগানো। সেজন্য একটু সময়ও লাগে।’