প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ২০:৫২ পিএম
আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ২২:০১ পিএম
গরমে খেলোয়াড়দের ওষ্ঠাগত অবস্থা সামলাতেই বিসিবির আয়োজন— লিটন দাসের ছবিটি তুলেছেন আ. ই. আলীম
দেশের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। গরম অনুভূত হচ্ছে আরও কয়েক ডিগ্রি বেশি। জনজীবন হয়ে পড়েছে স্থবির, ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে প্রাণ। অস্বাভাবিক তাপমাত্রায় স্কুল, কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। সূর্যতাপের যখন এমন দাপট, তখন রাজধানী ঢাকার মিরপুরের শেরেবাংলা, ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়াম আর বিকেএসপিতে চলছে প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ। জাতীয় দলের সব তারকারাও খেলছেন ডিপিএলে। এভাবে খেলায় অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি আছে নিঃসন্দেহে।
ক্রিকেটাররা এমন খরতাপ সহ্য করে কীভাবে আট ঘণ্টা মাঠে কাটাবেন, সে সম্পর্কে তাদের সচেতন করতে এবং এমন অস্বাভাবিক গরমের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে তারা যাতে সুস্থ থাকতে পারেন, সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড আর এআইইউবি এক যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বুধবার বিসিবিতে দুই সংস্থার এক যৌথ কর্মশালায় গরম সামলে কীভাবে সুস্থ থেকে, চোটমুক্ত থেকে ভালোভাবে খেলা চালিয়ে যাওয়া যায়, সেসব নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে।
বিসিবির ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমি রুমে আয়োজিত ওয়ার্কশপে বিসিবি তথা জাতীয় দলের সংশ্লিষ্ট সবাই এবং ক্লাবগুলোর একজন করে প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালা শেষে বিসিবির চিকিৎসক ডা. দেবাশীষ চৌধুরী বলেছেন, ‘বাতাসে প্রচুর তাপ, শুধু তাপ হলে অতটা সমস্যা ছিল না। কিন্তু জলীয়বাষ্পের কারণে এখানে আর্দ্রতা বেড়ে গেছে এবং এই আর্দ্রতা খেলার জন্য ক্ষতিকর। এটা শারীরিক দিক থেকেও ক্ষতিকর। আমাদের এ অবস্থায়ও খেলা তো চলবে। উষ্ণায়নের এই সময় গরম তো আরও বাড়বে, আমরা তো খেলা বন্ধ করতে পারতেছি না। আমাদের এটার সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। আমাদের বিজ্ঞানসম্মতভাবে এটাকে মানিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়াটা জানতে হবে, সতর্কতা দিয়ে আমরা এটাকে ঠেকাতে পারব। আমরা তো প্রতিবছরই এই এপ্রিলে এবং সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে এ দুটা সময় খেলায় স্ট্রাগল করি, কারণ হচ্ছে হিট ও হিউমিডিটি।’
দেবাশীষ নিজেদের কর্মশালার বিষয়বস্তু ও লক্ষ্য জানিয়েছেন, ‘আমাদের কাজ হচ্ছে যারা এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ তাদের নিয়ে এসে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোতে যারা আছেন— আম্পায়ারিং, গ্রাউন্ডস... এসব বিভাগ এবং বিভিন্ন ক্লাবের সঙ্গে বসিয়ে দেওয়া। বিভিন্ন ক্লাবের যে সাপোর্ট স্টাফরা আছেন, যারা এটাকে ডিল করে ফিজিও, ট্রেনার, কোচ, এদের সবাইকে একসঙ্গে এনে আমরা এই বৈজ্ঞানিক তথ্যগুলো দিচ্ছি যে কীভাবে এটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারব। পুরোপুরি পারব না, কিন্তু এ গাইডলাইনগুলো ফলো করলে আমরা হয়তোবা পারফরম্যান্সের দিক থেকে ভালো পারফর্ম করব এবং অসুস্থতা থেকে মুক্তি পাব। অসুস্থতা কমে আসবে এবং পারফরম্যান্স ভালো হবে।’