প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ০৬:০৫ এএম
আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:১৪ পিএম
হতাশ মুস্তাফিজের সামনে স্টয়নিসদের উল্লাস
পার্পল ক্যাপ মাথায় তোলার সুবর্ণ সুযোগ ছিল।আইপিএলের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির এই স্মারক নিজের করে নিতে বোলিংয়ের শুরুটাও করলেন দুর্দান্ত। মুস্তাফিজুর রহমান প্রথম ওভারে কিপ্টেমি বোলিংয়ে ৪ রান দিয়ে শিকার করেন লোকেশ রাহুলের উইকেট। ধরেই নেওয়া হচ্ছিল, বেগুনী টুপি পেয়েই যাচ্ছেন বাঁহাতি এ পেসার। কিন্তু শেষটা হলো না ঠিক শুরুর মতো!
নিজের দ্বিতীয় ওভারে ফিজ খরচ করেন ১৩ রান। তৃতীয় ওভারে দেন ১৫। চতুর্থ ও শেষ ওভারে সুযোগ ছিল চেন্নাই সুপার কিংসের জয়ের নায়ক বনে যাওয়ার। কিন্তু মুস্তাফিজ পারেননি দলকে জেতাতে।
ম্যাচের শেষ ওভারে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৭ রান। স্ট্রাইকিং প্রান্তে ব্যাট হাতে দাঁড়িয়ে তখন সেঞ্চুরিয়ান মার্কাস স্টয়নিস। ক্যাপ্টেন রুতুরাজ গায়কোয়াড় বল তুলে দেন দলের নির্ভরযোগ্য বোলার মুস্তাফিজের হাতে। কিন্তু ফিজ আস্থার প্রতিদান দিতে পারলেন না।
মুস্তাফিজকে পেয়ে যেন বিধ্বংসী হয়ে উঠেন স্টয়নিস। কাটার মাস্টারের প্রথম বলেই হাঁকান ছক্কা। পরের দুই বলে পান টানা দুটি বাউন্ডারি। তৃতীয় বলটি আবার ফিজ করে ফেলেন নো। ফ্রি হিটে ফের চার মেরে স্টয়নিস তিন বল হাতে রেখে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসকে উপহার দেন ৬ উইকেটের দুর্দান্ত এক জয়।
নিজের ও ম্যাচের শেষ ওভারটি শেষ করতে পারেননি মুস্তাফিজ। তিন বলে ১৯ রান দিয়ে লক্ষ্ণৌর জয়টাই ত্বরান্বিত করেছেন কেবল। ৩.৩ ওভারে ৫১ রান দিয়ে ম্যাচের সবচেয়ে খরুচে বোলার হয়েছেন মুস্তাফিজ। সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে মাত্র এক উইকেটেই।
চিপকে নিজেদের মাঠ এম এ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে মুস্তাফিজ এবারের আইপিএলে সাফল্যের মুখ দেখেছেন সবচেয়ে বেশি। চেন্নাইয়ের এ মাঠে আগের ৩ ম্যাচেই ৮ উইকেট শিকার করেছেন মুস্তাফিজ। তাই প্রত্যাশা ছিল একটু বেশি। কিন্তু প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির মিল ঘটল না। স্টয়নিসদের কাছে তুলোধুনো হয়ে এ ম্যাচে পেলেন কেবল এক উইকেট।
এর আগে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস এবং লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে আগের ম্যাচেও মাঠের সময়টা ভালো কাটেনি তার। মুস্তাফিজ ছিলেন খরুচে। মুম্বাইয়ের বিরুদ্ধে ৫৫ আর লক্ষ্ণৌর বিপক্ষে খরচ করেছিলেন ৪৩ রান। দুই ম্যাচেই পান ১টি করে উইকেট। সেই খরুচে বোলিংয়ের খোলসেই বন্দি হয়ে রইলেন ফিজ।
মাথাবদল হয়ে স্পেশাল বেগুনী ক্যাপের মালিক এখন যশপ্রীত বুমরাহ। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের জার্সিতে ভারতীয় এ পেসার ৮ ম্যাচে শিকার করেছেন ১৩ উইকেট। তার সমান ১৩ উইকেট করে পেয়েছেন পাঞ্জাব কিংসের হারশিত প্যাটেল ও রাজস্থান রয়্যালসের যুজবেন্দ্র চাহালও। আর ১২টি উইকেট আছে মুম্বাইয়ের জেরাল্ড কোয়েৎজির নামের পাশে। ৬ ম্যাচ খেলে মুস্তাফিজের উইকেটও এখন ১২টি। তবে বুমরাহ-হারশিত-চাহালদের সঙ্গে উইকেট শিকারে ব্যবধান কম থাকায় মুস্তাফিজ তাদেরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার মতো দূরত্বেই রয়েছেন।
গায়কোয়াড়ের সেঞ্চুরি আর শিবম দুবের ফিফটিতে চেন্নাই ৪ উইকেটে গড়েছিল ২১০ রানের পুঁজি। ৬০ বলে ৩ ছক্কা ও ১২ বাউন্ডারিতে ১০৮ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন চেন্নাই অধিনায়ক। তার পার্টনার দুবের ২৭ বলে ৭ ছক্কা ও ৩ বাউন্ডারিতে ৬৬ রান করেন। দুজন মিলে ৪৬ বলে গড়েন ১০৪ রানের দাপুটে এক জুটি।
লক্ষ্য ছুঁতে নেমে ১৯.৩ ওভারে লক্ষ্ণৌ ২১৩ রান তুলে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় মাত্র ৪ উইকেট খরচ করে। স্টয়নিস অপরাজিত থেকে যান ৬৩ বলে ১২৪ রান করে। ৬ ছক্কার সঙ্গে ইনিংসটি সাজান ১৩ বাউন্ডারিতে।