প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২২ এপ্রিল ২০২৪ ২১:১৭ পিএম
গোললাইন প্রযুক্তি ছাড়াই লা লিগা। ছবি : সংগৃহীত
এল ক্লাসিকো মানেই উত্তেজনা। রবিবার রাতে রিয়াল মাদ্রিদ-বার্সেলোনা লড়াইয়ে সেই উত্তেজনা ছিল বেশ। যেখানে এগিয়ে যাওয়ার পরও ৩-২ ব্যবধানে পরাজয় মেনেছে বার্সেলোনা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে ম্যাচের শেষে জয়-পরাজয় ছাপিয়ে উঠে এসেছে ভিন্ন প্রসঙ্গÑ গোললাইন প্রযুক্তি, যা নিয়ে এখন আলোচনা-সমালোচনায় গোটা ফুটবলবিশ্ব।
ঘটনাটি খেলার ২৮ মিনিটে। দুই দলের খেলায় তখন ১-১ সমতা। এর আগে ৬ মিনিটেই ক্রিস্টেনসেনের গোলে এগিয়ে যায় জাভি হার্নান্দেজের দল। ১৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে রিয়ালকে সমতায় ফেরান ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। দশ মিনিট পরই এগিয়ে যেতে পারত বার্সেলোনা। রাফিনিয়ার কর্নার থেকে লামিন ইয়ামালের ফ্লিক চলে যায় রিয়ালের গোললাইনে। কোনোমতে রিয়ালের গোলরক্ষক আন্দ্রে লুনিন বল বাইরে পাঠান। এটিকে গোল বলে দাবি করেন বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা। কিন্তু রেফারি কর্নারের বিনিময়ে গোলের আবেদন নাকচ করে দেন। যেটিকে ‘অবিচার’ বলে উল্লেখ করেছেন জাভি। এরপর দলটির সমর্থকরাও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় তোলেন। সমালোচনা হয় রেফারিসহ লা লিগায় গোললাইন প্রযুক্তি না থাকা নিয়েও।
অনেকের কাছে এই সমালোচনাটা স্বাভাবিক। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের একটি লা লিগা। সেখানে কি না গোললাইন প্রযুক্তি নেই! এটিই মানতে পারছেন না সমর্থকরা। এর কারণ হিসেবে জানা যায় ৩২ লাখ ডলার ইউরো খরচ বাঁচাতেই গোললাইন প্রযুক্তি রাখেনি লা লিগার সভাপতি হাভিয়ের তেবাস।
তবে রবিবার রাতের ম্যাচের পর একটি ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়েছেন তেবাস। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে কিছু সংবাদের শিরোনাম স্ক্রিনশট দেখান। তার সেই পোস্টে লেখেন ‘নো কমেন্ট’।
ফুটবলে গোললাইন প্রযুক্তির আলোচনা শুরু হয় মূলত ২০১৪ বিশ্বকাপের আগে থেকে। তার আগের বিশ্বকাপে জার্মানির বিপক্ষে একটি গোল দেওয়া হয়নি ইংল্যান্ডকে। ওই ম্যাচে মিরোস্লাভ ক্লোসার ২০ মিনিটের গোলে এগিয়ে যায় জার্মানি। ৩৭ মিনিটে ইংলিশরা সমতায় ফেরে জেমস উপসনের গোলে। পরের মিনিটেই ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের সেই বিতর্কিত গোল। যেটি বাতিল হওয়ার পর ম্যাচটিই ইংলিশরা হেরে যায় ৪-১ ব্যবধানে। এরপরই ২০১২ সালে গোললাইন প্রযুক্তির অনুমতি দেয় ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ড। তারপর ২০১৪ বিশ্বকাপে এটি ব্যবহার করা হয়। ইউরোপীয় লিগগুলোর মধ্যে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এটি প্রথম ব্যবহার করা হয় ২০১৪ সালে। পরের বছর থেকে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় জার্মান বুন্দেসলিগা, ফরাসি লিগ ওয়ান, ইতালিয়ান সিরি আ ও ডাচ লিগ ইরিডিভিসিতে। অথচ এখন পর্যন্ত লা লিগার মতো বহুল জনপ্রিয় লিগে নেই গোললাইন প্রযুক্তি।