প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ এপ্রিল ২০২৪ ২১:৩২ পিএম
বিশ্বকাপ ও জিম্বাবুয়ে সিরিজ সামনে রেখে ফিটনেস পরীক্ষায় পড়েছিলেন শান্ত-রিয়াদরা— ছবি: আ. ই. আলীম
বিপিএল শেষ হতে না হতেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ, এরপর ডিপিএলের ব্যস্ততা। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের দম ফেলার ফুরসত আছে অল্পই— কদিন পর ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়েকে আতিথেয়তা দেবে বাংলাদেশ। তারপর যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজ এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এত ব্যস্ত সূচিতে ট্রাভেলিং, ট্রেনিং এবং ম্যাচে ক্রিকেটারদের চোখ রাঙাতে পারে ফিটনেস ইস্যু। খেলোয়াড়দের সেই সক্ষমতা পরীক্ষার প্রাথমিক পর্ব শনিবার সেরে নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। শান্ত-রিয়াদদের পারফর্ম আশানুরূপ না হলেও আশাহত করেনি ট্রেনারদের।
১৯ বছর পর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সেদিন ভোরে ক্রিকেটীয় ব্যস্ততা ছড়ায়। শারীরিক সক্ষমতা মূল্যায়নে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দলের নতুন স্ট্রেন্থ ও কন্ডিশনিং কোচ নাথান কেলি। ছিলেন ক্রিকেট অপারেশন্সের শাহরিয়ার নাফীস ও জাতীয় দলের ট্রেইনার ইফতেখার ইসলাম ইফতি। ৩৫ ক্রিকেটারের দুই পর্বের ট্রেনিংয়ের পর ট্রেনারের মূল্যায়ন, ‘সবার পারফরম্যান্স অ্যাভারেজ।’
নাথান কেলির আয়োজনে মূল ফিটনেস ক্যাম্পটি হয়েছে দুই ভাগে। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বসানো নতুন অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকে অ্যাথলেটদের মতো দৌড়াতে হয়েছে ক্রিকেটারদের। প্রথমে হয়েছে ৪০ মিটার করে ৪ দফায় স্প্রিন্ট। এরপর ১৬০০ মিটারের দৌড়। লম্বা এই রানিংয়ে ছিলেন না সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকার, তাসকিন আহমেদদের মতো একাধিক তারকা ক্রিকেটার। তবে যারা ছিলেন, তাদের নিয়ে সন্তুষ্ট অস্ট্রেলিয়ান ট্রেনার কেলি। তিনি মনে করেন, ক্রিকেট তথা যেকোনো খেলায় ফিটনেস খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেই কাজটিই শান্তদের করে দিতে তার প্রচেষ্টা।
ফিটনেস ক্যাম্প শেষে জাতীয় দলের ট্রেনার ইফতেখার ইসলাম ইফতি জানান খেলোয়াড়দের অবস্থা সম্পর্কে, ‘অ্যাভারেজ পারফরম্যান্স গুড। তবে আমাদের উন্নতির জায়গা আছে। ট্রেনাররা গুড বলতে পারি না, বলি না আসলে কারণ আমাদের চাহিদার শেষ নেই। এখানে ৩৫ জনের মতো উপস্থিত ছিল। তবে যেটা হচ্ছে ফিটনেস ভালো।’
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ক্রিকেট অপারেশন্সের সহকারী ম্যানেজার নাফীস স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েছিলেন। আগেরবার খেলোয়াড় হিসেবে এখানে আসা নাফীস এবার বিসিবির একজন কর্মকর্তা। আজ পুরোনো সেই দিনের স্মৃতি রোমন্থন করেছেন সাবেক টাইগার ব্যাটার, ‘বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ফিরে ভালো লাগছে। আমাদের জীবনে খেলার প্রতি আগ্রহ তৈরি হওয়া, খেলা দেখে শেখা সব এই স্টেডিয়ামকে কেন্দ্র করেই। এখনও মনে আছে খুব সম্ভবত ১৯৯৩ বা ১৯৯৪-এ প্রথম এই মাঠে খেলা দেখতে এসেছিলাম। আমার বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা এখানেই শুরু। এখানে এলে ভালো না লাগার কোনো সুযোগই নেই।’