প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:৩৮ পিএম
আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:১৩ পিএম
ম্যাচ খেলতে অস্বীকৃতি জানিয়ে জয়ের উল্লাসে মাতে মোহামেডানের খেলোয়াড়েরা। প্রবা ফটো
দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। চির প্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীর বিপক্ষে একটা সময় এগিয়ে যায় ৩-২ গোলে। প্রিমিয়ার ডিভিশন হকি লিগ চ্যাম্পিয়নশিপ তখন সাদা-কালোদের খুব কাছেই মনে হয়েছিল। কিন্তু পুরোনো অসুখটা হঠাৎই ফিরে আসে মাঠে। মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে শুক্রবার খেলা রেখে দুই দল মেতে ওঠে স্টিক নিয়ে মারামারিতে।
সেই মারামারির দায় কার সেটি নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। তবে অলিখিত ফাইনালের তৃতীয় কোয়ার্টারে মোহামেডান যেভাবে ঘুরে দাঁড়াল এবং খেলোয়াড়েরা মাঠে যে মনোভাব দেখাল সেটি দুর্দান্তই ছিল। এক কোয়ার্টারে মোহামেডানের আগুনে পারফরম্যান্সে তখন বেজায় হাল আবাহনীর। সেই সময় কেন মাঠে অহেতুক মারামারিকাণ্ডে মোহামেডান জড়িয়ে পড়ল এবং কেনই বা শেষে না খেলে মাঠ ছাড়ল সেটি অবাক করার মতোই। ঐতিহ্যবাহী এ ক্লাবটি থেকে এমন আচরণ কাম্য নয় সমর্থকদের। অনেকের মতে, মোহামেডান ইচ্ছা করেই নিজেদের হাত থেকে হকি চ্যাম্পিয়নশিপটা ফেলে দিল।
মোহামেডান লিডে থেকেও কেন খেলতে অস্বীকৃতি জানাল এর কারণ পরবর্তীতে ব্যাখ্যা করেছেন ক্লাব ম্যানেজার আরিফুল হক প্রিন্স, ‘আমাদের একটা রেফারেল বাকি ছিল। আম্পায়ারকে বারবার রেফারেল নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছিলাম। কিন্তু তিনি আমাদের দুই খেলোয়াড়কে লাল কার্ড ও এক খেলোয়াড়কে হলুদ কার্ড দেয়। ম্যাচের বাকি সময় ৭ জন নিয়ে (মূলত ৮ জন) খেলা সম্ভব নয়। তাই আমরা আর খেলতে যাইনি।’
এর আগে ঘটনার সূত্রপাত ম্যাচের ৪২তম মিনিটে। আবাহনীর আফ্ফান ইউসুফের সঙ্গে মোহামেডানের মালয়েশিয়ান খেলোয়াড় জুল পিদাউস বিন মিজানের ধাক্কাধাক্কি হয়। ওই সময় হাতাহাতিতে জড়িয়ে যান মোহামেডান ও আবাহনীর একাধিক খেলোয়াড়। ডাগ আউট থেকে মোহামেডানের কয়েকজন খেলোয়াড় এ হাতাহাতিতে যোগ দেয়। তৈরি হয় বড় ধরনের সমস্যা।
পরবর্তীতে দুই দলের খেলোয়াড়দের ডেকে আম্পায়ার মিলিয়ে দিলেও শেষ সুরাহা হয়নি তাতে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ওমানি আম্পায়াররা লাল কার্ড দেখান মোহামেডানের দুই খেলোয়াড় দ্বীন ইসলাম ও তানভীর সিয়ামকে। লাল কার্ড দেখেন আবাহনীর মো. নাঈমুদ্দিনও। হলুদ কার্ড দেখেন মোহামেডানের জুল পিদাউস ও আবাহনীর আফ্ফান ইউসুফ।
মোহামেডানের কাঠগড়ায় তাই ওমানের আম্পায়ার হুসেইন আল হুসাইনি। ক্লাবটি বলছে, ‘জিমিকে লাল কার্ড দিয়েছে এই আম্পায়ার। তিনিই আজ এই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। ফলে এটা স্পষ্ট উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমাদের মোহামেডানের খেলোয়াড় নয়, আবাহনীর মিমোই সমস্যার সৃষ্টি করেছে।’