প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:৪৯ পিএম
আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:১৪ পিএম
ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ম্যাচে ৫ উইকেট শিকার করে মোহামেডানকে দাপুটে এক জয় এনে দিয়েছেন নাসুম; ছবি : বিসিবি
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ জাতীয় দলের
নিয়মিত মুখ ছিলেন নাসুম আহমেদ। সীমিত ওভারের দুই ফরম্যাটে টাইগারদের ম্যাচ উইনারে পরিণত
হয়েছিলেন বাঁহাতি এই স্পিনার। কিন্তু গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে টাইগারদের ভরাডুবির পর দল
থেকে বাদ পড়েন তিনি। লাল-সবুজের জার্সি ফের গায়ে জড়াতে ঘরোয়া ক্রিকেটে মনোযোগ দিয়েছেন
২৯ বছর বয়সি এই স্পিনার।
চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট
লিগে (ডিপিএল) মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে খেলছেন নাসুম। আসরের শুরুটা তেমন ভালো
না হলেও নিজেকে প্রমাণ করতে মুখিয়ে ছিলেন তিনি। জাতীয় দলে ফেরার জন্য যা যা করা প্রয়োজন,
নীরবে সবই করে চলেছেন সিলেটের এই ক্রিকেটার। নাসুমের ভালো করার ক্ষুধা যে কতটা তীব্র,
তা বোঝা গেল ডিপিএলের সবশেষ ম্যাচে।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয়
ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ডিপিএলের প্রথম রাউন্ডের শেষ ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নের মুখোমুখি
হয়েছিল মোহামেডান। ম্যাচে ১০ ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ২২ রানে ৫ উইকেট শিকার করে দলকে
দাপুটে এক জয় এনে দিয়েছেন নাসুম। ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতে এই স্পিনার জানান, ‘অনেক
দিন ধরে ক্ষুধা নিয়ে ছিলাম। একটা-দুটা করে উইকেট পেতাম। বোলারদের তালিকাতেও একদম তলানিতে
আছি। অনেক বেশি ক্ষুধা ছিল আমার, ক্ষুধার্ত ছিলাম যাতে একটা ম্যাচে ক্লিক করব।’
যোগ করেন, ‘আগের ছন্দে ফিরে এসেছি
কি না, এখনও বুঝতে পারিনি। আরও কয়েকটা ম্যাচ রয়ে গেছে। সব সময় যেভাবে চেষ্টা করি সেভাবেই
চালিয়ে যাচ্ছি। ডট বল করা আর যত কম রান দেওয়া যায়। পাওয়ারপ্লেতে আমি কখনও চ্যালেঞ্জ
নিতে চাই না। একটা জায়গায় বল করে যাই, যতটা আটকানো যায়। কখনও (নির্দিষ্টসংখ্যক
উইকেটের) লক্ষ্য নির্ধারণ করি না, ম্যাচ বাই ম্যাচ এগোতে থাকি। যেটা মনের মধ্যে থাকে,
প্রকাশ করি না।’
প্রিমিয়ার লিগে মিরপুরের ম্যাচগুলোতেও
এখন বোলারদের ঘাম ঝরাতে হচ্ছে। বিষয়টি ফাইফারের মতো অর্জনকে আরও মূল্যবান করে তুলেছে
নাসুমদের কাছে। তার ভাষায়, 'উইকেট আগের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে। বোলারদের পক্ষে ৪০ ভাগ,
ব্যাটারদের পক্ষে ৬০ ভাগ। অবশ্যই ভালো আত্মবিশ্বাস পাওয়া যাচ্ছে। আজ ভালো পারফর্ম করেছি,
পরের ম্যাচে আরও ভালো আত্মবিশ্বাস নিয়ে শুরু করতে পারব।'