প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ০৭:৫৫ এএম
আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ২২:২৬ পিএম
সবার মধ্যমণি অ্যান্তোনি রুডিগার। তাকে ঘিরেই উচ্ছ্বাস, উৎসব। টাইব্রেকার শেষে এমন চিত্রনাট্যই মঞ্চস্থ হলো ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে। এমনটা তো হবেই। রুডিগার যে রিয়াল মাদ্রিদের জয়ের নায়ক। এ জার্মান সেন্টারব্যাকই স্প্যানিশ জায়ান্টদের পৌঁছে দিয়েছেন চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে। নিজেদের মাঠে ৪-৩ গোলে হেরে ম্যানচেস্টার সিটি ভুগছে এখন স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণায়।
অথচ রিয়ালের নায়ক নয়, খলনায়ক হতে পারতেন রুডিগার। তার ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে সমতায় ফিরেছিল সিটি। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে গোলের সুবর্ণ সুযোগও মিস করেছিলেন। নিজের সেই ভুলের প্রায়শ্চিত্তই যেন করলেন রুডিগার টাইব্রেকারে এসে। শেষ শট জালে জড়িয়ে প্রিয় দল রিয়ালকে উপহার দিলেন সেমির টিকিট। একটি রেকর্ড করল রিয়াল। ১৭তম বারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ চারে নিজেদের নাম লিখল তারা।
রোমাঞ্চকর এ জয়ে রিয়াল শুধু চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ চারের টিকিটই কাটেনি, ইউরোপের সেরাদের আসরে একই সঙ্গে একটি শোধও তুলল টুর্নামেন্টের ১৪ বারের চ্যাম্পিয়নরা। গত মৌসুমে এ সিটিই সেমিফাইনাল থেকে রিয়ালকে ছিটকে দিয়েছিল। আর এবার কোচ কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের বিদায় করে পুরোনো হিসাবটা মেটাল শেষ আটেই।
রিয়ালের দুর্ভেদ্য রক্ষণ দেয়াল ভাঙতে গিয়েই বেশি গলদঘর্ম হয়েছেন কোচ পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। তাদের হারের মূল কারণ তো এটাই। আর গোলপোস্টের সামনে চীনের মহাপ্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন অতন্দ্রপ্রহরী আন্দ্রে লুনিন। যে কারণে ম্যাচে বল দখল আর আক্রমণে আধিপত্য দেখিয়েও নাস্তানাবুদ হতে হয়েছে স্বাগতিকদের। আর্লিং হালান্ড ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। কেভিন ডি ব্রুইনা, ফিল ফোডেন, জ্যাক গ্রিলিশরা আলো ছড়ালেও ফিরতি লেগে অমীমাংসিত থেকে যায় ১-১ গোলে।
টাইব্রেকারে রিয়াল গোলরক্ষক রুখে দিয়েছেন বার্নার্দো সিলভা ও মাতেও কোভাচিচের শট। কিন্তু সিটি গোলরক্ষক এদেরসন হতাশ করেন কেবল লুকা মদরিচকে।
কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে সান্টিয়াগো বার্নাব্যুতে ৩-৩ গোলের সমতা নিয়ে ম্যানচেস্টার সফরে গিয়ে রিয়াল। ফিরতি লেগের ১২ মিনিটেই রিয়ালকে ৪-৩ গোলে এগিয়ে নেন রদ্রিগো। এদেরসন শুরুতে তার শট রুখে দিলেও ফিরতি বল পেয়ে ঠিকই লক্ষ্য ভেদ করেন এ ব্রাজিলিয়ান তারকা।
ম্যাচের ৭৬ মিনিটে রুডিগারের ভুলের সুযোগ নিয়ে সিটির হয়ে স্কোর লেভেল করেন ডি ব্রুইনা। পরে আর কোনো গোল না হওয়ায় ৪-৪ গোলের সমতা রয়ে যায় অতিরিক্ত সময়েও।
সেমিফাইনালে রিয়ালের মাঠের শত্রু বায়ার্ন মিউনিখ। শেষ চারের অন্য ম্যাচে পিএসজি লড়বে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে।