প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৭ এপ্রিল ২০২৪ ১২:৪৩ পিএম
আপডেট : ০৭ এপ্রিল ২০২৪ ১২:৪৮ পিএম
চোটের কারণে ইন্টার মিয়ামির বেশ কয়েকটি ম্যাচে ছিলেন না লিওনেল মেসি। যে কারণে আর্জেন্টাইন মহাতারকা জাতীয় দলের হয়েও মাঠে নামতে পারেননি। তিনি কবে মাঠে ফিরবেন এমন প্রশ্ন বেশ কয়েকদিন ধরে ঘুরপাক খাচ্ছিল ভক্তদের মনে। অবশেষে চোট কাটিয়ে মিয়ামির জার্সিতে মাঠে ফিরলেন তিনি। বদলি হিসেবে মাঠে নেমে দৃষ্টিনন্দন এক গোল করে পিছিয়ে পড়া দলকে সমতায় ফেরালেন। তবুও মেসির প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে জয় পাওয়া হয়নি ফ্লোরিডার ক্লাবটির।
শনিবার (৬ এপ্রিল) রাতে ঘরের মাঠ চেজ স্টেডিয়ামে মেজর লিগ সকারের ম্যাচে কলোরাডোর বিপক্ষে শেষ পর্যন্ত ২-২ গোলে ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ইন্টার মিয়ামি। এই ড্রয়ে এমএলএসের ইস্টার্ন কনফারেন্সে ৮ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে মিয়ামির অবস্থান টেবিলের দুইয়ে। এক ম্যাচ কম খেলে শীর্ষে থাকা নিউইয়র্ক রেডবুলসের পয়েন্ট ১৪।
ম্যাচের প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে গোল খেয়ে পিছিয়ে যায় মিয়ামি। পরিস্থিতি বদলাতে বিরতির পরপরই বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামেন মেসি। যার অল্প সময় পরেই ডি-বক্সের ভেতর থেকে কোনাকুনি শটে তিনি গোল করে মায়ামিকে সমতায় ফেরান। এরপর মায়ামি লিডও নিয়েছিল, তবে শেষ মুহূর্তের গোলে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়ে সফরকারী কলোরাডো।
এর আগে মেসির ম্যাচ খেলার ফিটনেস নিয়ে পূর্ণাঙ্গ ধারণা পেতে এদিন অন্তত ১০ মিনিট খেলানোর কথা জানিয়েছিলেন মায়ামির সহকারী কোচ জাভি মোরালেস। হ্যামস্ট্রিংয়ে চোটের কারণে প্রায় এক মাস তিনি মাঠের বাইরে ছিলেন। এর মাঝে মায়ামি চার ম্যাচ ও আর্জেন্টিনা দুটি প্রীতি ম্যাচে পায়নি বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ককে। এমএলএস টেবিলের শীর্ষে ওঠার লড়াইয়ে এদিন জয় পেতে হতো মায়ামির। তবে সেটি না হলেও অন্তত তারা পূর্ণ তিন পয়েন্ট হারায়নি।
পুরো ম্যাচেই আধিপত্য ছিল মায়ামির। এমনকি সবমিলিয়ে কিংবা লক্ষ্যে শট নেওয়ার দিক থেকেও পিছিয়ে ছিল কলোরাডো। ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগমুহূর্তে মায়ামির বক্সে ক্যাবরাল ফাউলের শিকার হন। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজালে স্পট-কিকে মায়ামিকে হতাশ করে লিড এনে দেন কোল নাভাররো। ফলে পিছিয়ে থেকেই স্বাগতিকরা বিরতিতে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই কোচ টাটা মার্টিনো মেসিকে মাঠে নামান। যার জন্য অধীর অপেক্ষায় বসেছিলেন গোলাপী জার্সিধারী ভক্তরা। মাঠে নামার ১২ মিনিটের মাথায় তাদের সেই আগ্রহের প্রতিদান দিয়ে গোল করেন মেসি। সতীর্থের বাড়ানো বল ধরে এক শটেই বল জালে জড়ান তিনি। এরপর মায়ামিকে লিড এনে দেওয়া গোলেও অন্যতম ভূমিকা ছিল আর্জেন্টাইন মহাতারকার। ৬০ মিনিটে মেসির পাস ধরে ডেভিড রুইজ বক্সে ঢোকেন, এরপর তার বাড়ানো বল পেয়ে কলোরাডো গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে লিওনার্দো আলফনসো বল জালে জড়ান।
জয় প্রায় নিশ্চিত ভেবে মায়ামি ম্যাচের শেষ গণ্ডির দিকেই আগাচ্ছিল, অপেক্ষায় ছিল শেষ বাঁশির। তবে নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার মিনিট তিনেক আগেই তাদের মুখ থেকে জয় ছিনিয়ে নিলেন কোল ব্যাসেট। অনেকটা মায়ামির করা দ্বিতীয় গোলের মতোই তিনি সতীর্থের পাস পেয়ে কলোরাডোকে সমতায় ফেরানো গোলটি করেন।