পিছিয়ে পড়া ম্যানসিটিকে জেতালেন ডি ব্রুইন

আগের ম্যাচে অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে বিশ্রামে ছিলেন কেভিন ডি ব্রুইন। পরের ম্যাচে আজ ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে নেমেই ম্যানচেস্টার সিটির জয়ের নায়ক বেলজিয়াম তারকা। পিছিয়ে পড়ার পরও তার জোড়া গোলে ম্যাচ জিতল পেপ গার্দিওলার দল। 

প্রতিপক্ষের মাঠে শনিবার প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি ৪-২ গোলে জিতেছে ম্যানসিটি। সিটিজেনদের হয়ে অন্য দুই গোল করেন রিকো লুইস ও আর্লিং হাল্যান্ড। দারুণ এই জয়ে লিগ টেবিলে আপাতত দুইয়ে উঠেছে সিটি। ৩১ ম্যাচে ২১ জয় ও সাত ড্রয়ে তাদের সিটির পয়েন্ট ৭০। সমান ৭০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে লিভারপুল। যদিও ইয়ুর্গেন ক্লপের দল এক ম্যাচ কম খেলেছে। তৃতীয় স্থানে নেমে যাওয়া আর্সেনালও একটি ম্যাচ কম খেলেছে, তাদের পয়েন্ট ৬৮।

এদিন শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি ম্যানসিটির। তৃতীয় মিনিটেই গোল খেয়ে বসে তারা। সতীর্থের থ্রু পাস ধরে বক্সে ঢুকে দারুণ শটে প্যালেসকে এগিয়ে নেন জ্যঁ-ফিলিপ মাতেতা। চমৎকার এক গোলে ১০ মিনিট পরই সমতা টানেন ডি ব্রুইন। গোলে অ্যাসিস্ট করেন জ্যাক গ্রিলিশ। ১৯ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পায় সিটি। ডি ব্রুইনের দারুণ থ্রু পাস ধরে প্রতিপক্ষের একজনকে পেছনে ফেলে বক্সে ঢুকে পড়েন হাল্যান্ড। সামনে তখন বাধা কেবল গোলরক্ষক। কিন্তু ওয়ান-অন-ওয়ানে সফল হতে পারেননি নরওয়েজিয়ান। 

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দ্বিতীয় গোলের দেখা পায় সিটি। ডি-বক্সে উড়ে আসা একটি ক্রস পেয়ে যান লুইস, আট গজ দূর থেকে নিখুঁত শটে দলকে এগিয়ে নেন ১৯ বছর বয়সি ইংলিশ ডিফেন্ডার।

এগিয়ে যাওয়ার পর প্যালেসবে আরও চেপে ধরে ম্যানসিটি। ৬৬তম মিনিটে হাল্যান্ডের ব্যবধান বাড়ানো গোলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণও পেয়ে যায় তারা। ডি ব্রুইনের পাস ধরে কাছ থেকে লক্ষ্যভেদ করেন আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তিন ম্যাচ পর জালের দেখা পেলেন হাল্যান্ড। এ নিয়ে চলমান লিগে তার গোল হলো ১৯টি।

৭০ মিনিটে আবারও প্রতিপক্ষের জালে বল জড়ায় ম্যানসিটি। রদ্রির পাস পেয়ে বাঁ পায়ের শটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন ডি ব্রুইন। এতে জয়টাও প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় অতিথিদের। শেষ দিকে প্যালেসের ফরাসি ফরোয়ার্ড এঁদুয়া একটি গোল পরিশোধ করলেও  সিটির জয়ের পথে কোনো বাধা হতে পারেনি।