ডিপিএল ২০২৪
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:২৫ পিএম
আপডেট : ০৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:০১ পিএম
মাশরাফিদের উড়িয়ে টানা নয় জয় আবাহনীর; ছবি : সংগৃহীত
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেড। চলতি আসরেও জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে আকাশি নীলরা। সবশেষ ম্যাচে মাশরাফি বিন মর্তুজার লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে উড়িয়ে আসরে টানা নবম জয় তুলে নিয়েছে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের দল।
শনিবার (৬ এপ্রিল) ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ অলআউট হয় ৯৯ রানে। ফাইফার পান তানজিম হাসান সাকিব। জবাবে ২ উইকেট হারালেও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে মাত্র ১১ ওভারেই জয় পায় আবাহনী।
এদিন টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় আবাহনী লিমিটেড। প্রথম ওভারেই উইকেট পান শরিফুল ইসলাম। এ বাঁহাতি পেসার এলবিডব্লিউ করেন তৌফিক খান তুষারকে। পরের ওভারে সাদমান ইসলামকেও শিকার করেন শরিফুল। নিজের প্রথম দুই ওভারেই রূপগঞ্জের দুই ওপেনারকে পাঠান সাজঘরে।
তৃতীয় উইকেটটি পান তানজিম হাসান সাকিব। ইমরানউজ্জামানকে শিকার করে এদিন নিজের প্রথম উইকেটটি পান সাকিব। ক্যাচ আউট হন ইমরান। নিজের পরের ওভারেই আমিনুল ইসলাম বিপ্লবকে এলবিডব্লিউ করেন সাকিব। ২৩ বলে ১১ রান করে সাজঘরে ফিরে যান বিপ্লব।
তারপর শামীম পাটোয়ারি কিছুটা দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন। তবে তিনি পড়েন শরিফুলের ফাঁদে। শামীমের ব্যাটের কানায় বলে লেগে চলে যায় উইকেটের পেছনে। উইকেটরক্ষক এনামুল হক বিজয় ছো মেরে ক্যাচটি নেন। শামীমের ইনিংস থামে ১৪ বলে ১৮ রানে।
বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মুমিনুল হকও। তাকেও বোল্ড করে তানজিম হাসান সাকিব। ১৪ বলে ৯ রান করে বিদায় নেন মুমিনুল। একই ওভারে শুভাগত হোমকেও শিকার করেন সাকিব। রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন শুভাগত। ৭২ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।
অষ্টম উইকেটে ২৭ রানের জুটি গড়েন মাশরাফি বিন মর্তুজা। অষ্টম ব্যাটার হিসেবে মাশরাফি আউট হন দলীয় ৯৯ রানে। তারপর আর তিন অঙ্ক ছুঁতে পারেনি রূপগঞ্জের দলীয় সংগ্রহ। মাশরাফিকে বোল্ড করেন তাসকিন আহমেদ। উইকেটে টিকে থেকে ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে গেছেন মাশরাফি। তার ব্যাট থেকে আসে ৬০ বলে ১৫ রান।
মাশরাফিকে শিকার করার পরের বলেই আব্দুল হালিমকে শিকার করেন তাসকিন। পরের ওভারে এসে শহিদুলকে আউট করে ফাইফার পূর্ণ করেন সাকিব। ৯৯ রানেই অলআউট হয়ে যায় লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।
৭.৩ ওভারে ২৩ রান খরচ করে পাঁচটি উইকেট নিয়েছেন সাকিব। একনজরে সাকিবের উইকেট পাঁচটি হলো ইমরানউজ্জামান, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, মুমিনুল হক, শুভাগত হোম ও শহিদুল ইসলাম। লিস্ট 'এ' ক্রিকেটে এটিই এখন সাকিবের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং এবং দ্বিতীয় ফাইফার।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেও ক্রিজে টিকতে পারেননি নাইম শেখ। প্রথম ওভারেই আব্দুল হালিমের বলে বোল্ড হন নাঈম। ৩ বলে ৪ রান করে বিদায় নেন তিনি। ব্যর্থ হয়েছেন তাওহীদ হৃদয়ও। দুটি চারের সাহায্যে ৯ বলে ১০ রান করে আল-আমিন হোসেনের বলে ক্যাচ আউট হন হৃদয়।
তারপর মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ক্যামিও সঙ্গে এনামুল হক বিজয়ের সাবলীল ব্যাটিংয়ে সহজেই জয়ের পথে এগোতে থাকে আবাহনী লিমিটেড। মোসাদ্দেক মাত্র ১৮ বলে ৪৮ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। বিজয় অপরাজেয় থাকেন ৩৪ বলে ৩৭ রান করে।
লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের প্রথম বোলিং করতে রূপগঞ্জের ১১তম বল হাতে তুলে নেন সাদমান ইসলাম। সাদমানকে বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে আবাহনীর জয় নিশ্চিত করেন মোসাদ্দেক। মোসাদ্দেকের প্রায় ২৬৭ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসে ছিল পাঁচটি চার ও চারটি ছক্কা। বিজয়ের ব্যাট থেকে আসে দুইটি চার ও চারটি ছক্কা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ : ২০ ওভারে ৯৯/১০ (ইমরানুজ্জামান ১৫, মাশরাফি বিন মর্তুজা ১৫, শামিম হোসেন পাটওয়ারী ১৮, শহিদুল ইসলাম ১৭; তানজিম হাসান সাকিব ৫/২৩, শরিফুল ইসলাম ৩/২৯, তাসকিন আহমেদ ২/১৬)
আবাহনী লিমিটেড : ১০.৪ ওভারে ১০১/২ (এনামুল হক বিজয় ৩৭*, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ৪৮*; আব্দুল হালিম ১/২৬, আল-আমিন হোসেন ১/৩৫)
ফল : আবাহনী ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা : তানজিম হাসান সাকিব।