প্রিমিয়ার লিগ
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৫ এপ্রিল ২০২৪ ০৬:০৪ এএম
আপডেট : ০৫ এপ্রিল ২০২৪ ১১:০৫ এএম
প্রিমিয়ার লিগে দারুণ এক রাত পার করেছে শিরোপাপ্রত্যাশী লিভারপুল। অ্যানফিল্ডে শেফিল্ড ইউনাইটেডের বিপক্ষে জয় ছাড়াও অল রেডদের চিন্তা ছিল আর্সেনাল বাধা টপকানো। এ যাত্রায় শতভাগ সফল ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গানার্সদের দ্বিতীয় স্থানে নামিয়ে দিল লিভারপুল। শেফিল্ডের বিপক্ষে ৩-১ ব্যবধানে জয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে ফিরলেন মোহাম্মদ সালাহরা।
হাতের তালুর মতো চেনা ঘরের মাঠে সপ্তদশ মিনিটে গোলমুখ খোলে লিভারপুল। ডি বক্সে ডারউইন নুনেজকে এগিয়ে আসতে দেখে একটু তাড়াহুড়ো করেই শট নেন শেফিল্ডের গোলরক্ষক ইভো গিরবিচ। বল উরুগুয়েন ফরোয়ার্ডের পায়ে লেগে চলে যায় জালে। প্রথমার্ধের ৩৪ মিনিট এবং ৪৪ মিনিটে আরও দুটি সুযোগ পায় স্বাগতিকরা। দারুণ সেভে ব্যবধান বাড়তে দেননি গিরবিচ।
দ্বিতীয়ার্ধে দ্বিগুণ আত্মবিশ্বাসে আক্রমণ শানায় লিভারপুল। প্রথম ৫ মিনিটে অন্তত তিনবার প্রচেষ্টা চালায়। তবে ৫৭ মিনিটে কনর ব্র্যাডলির আত্মঘাতী গোলে সমতায় যায় শেফিল্ড। ৭৬ মিনিটে সফলতা এনে দেন ম্যাক অ্যালিস্টার। আর্জেন্টাইন তারকা ডি বক্সের বাইরে থেকে বুলেট গতির শট নিয়ে দলকে এগিয়ে নেন। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে সব শঙ্কা উড়িয়ে দেন কোডি হাকপো।
শিষ্যদের শীর্ষে ফেরায় যারপরনাই আনন্দিত ক্লপ। বিশেষ করে সমতায় থাকা অবস্থায় অ্যালিস্টারের বুলেট গতির গোলের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। আর্জেন্টিনায় মিডফিল্ডারের গোলকে ‘অবিশ্বাস্য’ বলেছেন লিভারপুল কোচ। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘ওই মুহূর্তে খেলার ফল বদলে দিতে গোলের দরকার ছিল। অ্যালিস্টার অবিশ্বাস্য গোল করে সে আশা পূর্ণ করেছে।’
লিভারপুলের মার্চের মাসসেরা মনোনীত হয়েছেন অ্যালিস্টার। শেফিল্ডের বিপক্ষে গোল করে আর্জেন্টাইন এ সুপারস্টার আরেক কীর্তি গড়েছেন। ২০১৩ সালে ইংল্যান্ড কিংবদন্তির জেরার্ডের পর লিভারপুলের প্রথম মিডফিল্ডার হিসেবে টানা ছয় ম্যাচে গোল কিংবা ‘অ্যাসিস্ট’ করলেন অ্যালিস্টার।
লিগে ৩০ ম্যাচে ২১ জয় ও ৭ ড্রয়ে লিভারপুলের পয়েন্ট ৭০। ২১ জয় ও ৫ ড্রয়ে আর্সেনালের পয়েন্ট ৬৮। সমান ম্যাচে ২০ জয় ও ৭ ড্রয়ে ৬৭ পয়েন্ট নিয়ে তিনে ম্যানচেস্টার সিটি।