পঞ্চগড় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:৪২ পিএম
আপডেট : ০৪ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:১৫ পিএম
বৃহস্পতিবার দুপুরে পঞ্চগড়ে ছয় কৃতি ফুটবল খেলোয়াড়কে সংবর্ধনা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। প্রবা ফটো
বৃহস্পতিবার দুপুরে পঞ্চগড়ে ছয় কৃতি ফুটবল খেলোয়াড়কে সংবর্ধনা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। প্রবা ফটো
পঞ্চগড়ে সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ (অনূর্ধ্ব-১৬ ও অনূর্ধ্ব-১৯)-এর ছয় কৃতি ফুটবল খেলোয়াড়কে সংবর্ধনা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
এ সময় সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ (অনূর্ধ্ব-১৯)-এর কৃতি খেলোয়াড় ও নুসরাত জাহান মিতু ও তৃষ্ণা রানী এবং সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ (অনূর্ধ্ব-১৬)-এর কৃতি খেলোয়াড় ইয়ারজান বেগম, শিউলী রাণী, বৃষ্টি রায় ও আলপি বেগমের হাতে ফুলের তোড়া, ক্রেস্ট ও ইদ উপহার তুলে দেন জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা।
অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আবু সাইদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সীমা শারমিন, টুকু ফুটবল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আবু তারেক ওরফে টুকু রেহমান, বোদা ফুটবল একাডেমির পরিচালক মোফাজ্জল হোসেন বিপুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা সায়খুল ইসলাম, জেলা ক্রিয়া কর্মকর্তা গৌতম রায়সহ গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সাফ অনূর্ধ্ব ১৬ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের গোলরক্ষক ইয়ারজান বেগম বলেন, ‘আমি কৃতজ্ঞতা জানাই আমার বাবা-মা ও টুকু ফুটবল একাডেমির কোচ টুকু রেহমানকে। আমি খুব কষ্ট করে পঞ্চগড়ে ফুটবল প্রাকটিস করতে আসতাম। ভাড়ার টাকা ছিল না। বাবা মা ও কোচের সহযোগিতায় অনেক কষ্টে অনুশীলন করে জাতীয় দলের হয়ে খেলে দেশকে সাফ অনূর্ধ্ব ১৬ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়ন করতে পেরে নিজেকে ভালো লাগছে।’
সাফ অনূর্ধ্ব ১৬ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের খেলোয়াড় শিউলী রাণী তার উঠে আসার গল্পে বলেন, ‘আমরা যখন বোদা ফুটবল একাডেমিতে প্র্যাকটিস করতে আসতাম তখন মানুষের নানা কথায় মন খুব খারাপ হতো। তবে মা আমাকে এগিয়ে যেতে উৎসাহ দিয়েছিলেন। আমরা পারিবারিকভাবে খুবই অসচ্ছল। কষ্ট করে প্রশিক্ষণ নিয়ে আজ জাতীয় দলে খেলছি।’
জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা জেলার ৬ কৃতি সন্তান ও অনূর্ধ্ব-১৬ এর ৪ জন এবং অনূর্ধ্ব-১৯ এর ২ জন মোট ৬ জন নারী চ্যাম্পিয়নশিপের খেলোয়াড়কে সংবর্ধনা দিতে পেরে আনন্দিত।’
এর আগে এই ৬ কৃতি খেলোয়াড় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে পৌঁছালে তাদের ফুল ছিটিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।