প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:৩০ পিএম
আপডেট : ০৪ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:৫৫ পিএম
সিলেটের পর চট্টগ্রাম টেস্টে ভরাডুবি হয় বাংলাদেশের। এতে টাইগারদের টেস্ট মান নিয়ে নানাবিধ প্রশ্ন উঠেছে। যদিও ক্রিকেটাররা বলছেন ভিন্ন কথা। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দলের কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটার। জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুও একই কথায় সুর মিলিয়েছেন। তার কণ্ঠেও প্রতিধ্বনিত হয়েছে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মনোন্নয়নে সুফল মিলবে টেস্টে।
চট্টগ্রাম টেস্ট শেষে লিপুর কাছে বাংলাদেশের হারের ‘ব্যর্থতা’ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘বিগত সাত-আট বছর দেশের মাটিতে আমরা যে ধরনের উইকেটে খেলে টেস্ট ম্যাচ জিতেছি, তাতে খুব একটা লাভ হয়নি। এতে কৃত্রিম যে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছে, তা টেস্ট ক্রিকেটের পারফরম্যান্স উন্নয়নে খুব একটা প্রভাব ফেলতে পেরেছে বলে মনে হয় না। এবার সুষম প্রতিযোগিতামূলক ক্ষেত্র প্রস্তুত করা হয়েছিল। যেখানে আমরা সফল হতে পারিনি। তবে একটা লাভ হয়েছে, সামর্থ্যের জায়গাটা বোঝা গেছে।’
আগামীতে স্পোর্টিং উইকেটে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা হবে বলে বিশ্বাস লিপুর, ‘আমার বিশ্বাস, ঘরোয়া ক্রিকেটেও এ রকম উইকেটে খেলা হবে। একইভাবে খেলোয়াড়দেরও নিজেদের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন ক্ষমতা বাড়াতে হবে। বিশেষ করে শট নির্বাচনে পারদর্শী হতে হবে তাদের। বল ছাড়ার অভ্যাসটা করতে হবে ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেই।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যস্ত থাকায় জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা খুব একটা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলার সুযোগ পান না । সমন্বয় করে হলেও জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের প্রথম শ্রেণির লিগে খেলার পক্ষে লিপু। তিনি বলেন, ‘টেস্টের জন্য ভালোভাবে প্রস্তুত হতে চাইলে বিসিএল খুবই উপযুক্ত জায়গা। বাছাইকৃত সেরা ৬০ ক্রিকেটার এখানে খেলে। আমরা টেস্ট সিরিজ থেকে যেটা উপলব্ধি করতে পারছি– অনুকূল কন্ডিশনে পেস বোলিং বিভাগ ভালো করে। ক্যাচ পড়ার কারণে তাদের সামর্থ্যের প্রকাশ সেভাবে ঘটে না। আমার বিশ্বাস, এই সিরিজ শেষে ক্রিকেটাররাও বুঝতে পেরেছে টেস্টে ভালো করতে হলে তাদের কী করতে হবে।’