× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

টিভি চ্যানেলের জন্য বিসিবির গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:৪৪ এএম

আপডেট : ০১ এপ্রিল ২০২৪ ১২:৫৭ পিএম

টিভি চ্যানেলের জন্য বিসিবির গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন

বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ক্রিকেট। কিন্তু জাতীয় দলের বাইরে কোনো খেলা সম্প্রচার করে না টেলিভিশন চ্যালেনগুলো। এমন বাস্তবতায় নিজস্ব টেলিভিশন চ্যানেল খোলার সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের—এই খবর ক্রীড়াঙ্গনে বেশ কমাস ধরেই ঘুরছিল। এবার আনুষ্ঠানিকভাবে টিভি চ্যানেল আনার ঘোষণা দিয়েছে বিসিবি। সব ধরনের খেলা সম্প্রচারের জন্য নিজেদের টেলিভিশন আনছে বোর্ড। যার নাম হবে—বিসিবি টিভি। গতকাল রবিবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে অনুষ্ঠিত বিসিবির চলতি বছরের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্যই দিয়েছেন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। 

দেশের ক্রিকেটের কার্যক্রম পরিচালনার সুবিধার্থে গঠনতন্ত্রে দুটি সংশোধনী আনা হয়েছে। যার মধ্যে আলোচনার একটি বিষয় ছিল নিজস্ব টেলিভিশন খোলা। বিসিবি টিভির বিষয়ে 

পাপন বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্যটা হচ্ছে যে কোনো ধরনের খেলা, এখানে আমরা জানি কয়েকটি চ্যানেল আছে বিশেষ করে দুইটা চ্যানেল টি-স্পোর্টস এবং গাজী টিভি এরা প্রায়ই আমাদের খেলাগুলোকে দেখায়। এখন যে সমস্ত খেলাগুলো তারা না দেখাতে পারে অথবা না দেখায় আমরা চাই সেগুলোও দেখাতে। উদাহরণস্বরূপ এখন ছেলেদের খেলা হচ্ছে টেস্ট এখন মেয়েদের খেলা তো দেখতে পারছে না কেউ। আমরা তো চাই মেয়েদের খেলাটাও টিভিতে দেখাক ঠিক আছে। তো একটা অপশন দরকার সেটা আমাদের কাছে নেই এটা হলো প্রথম কথা। এবং দ্বিতীয় কথা ঘরোয়া ক্রিকেট।’


যোগ করেন, ‘আমরা চাই ঘরোয়া ক্রিকেটও টিভিতে দেখাব। তাহলে এটা যদি টিভিতে দেখানো হয় অবশ্যই আমি অন্যান্য দেশের অনেকের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি সবাই বিশ্বাস করে যে এটাতে করে ক্রিকেটের মান আরও ভালোই হবে, উৎসাহ উদ্দিপনা আগ্রহের মান আরও বেড়ে যাবে। কারণ যে বা যারা খেলছে তাদের পরিবার, বন্ধুবান্ধব সবাইকে বলবে যে আজকে আমার খেলা আছে দেখিস। এ ছাড়াও খেলা মান যেমন আম্পায়ারিং নিয়ে কথা উঠে আরও অনেক কিছু নিয়ে কথা উঠে সব কিছু মানুষ নিজের চোখে দেখতে পারবে। তাই আমরা চাইছি ঘরোয়া ক্রিকেট গুলোও আমরা দেখাব।’


‘তো এইটার জন্য আমাদের পরিকল্পনাটা হচ্ছে যে, একটি চ্যালেন থাকে সেটাতে আমরা যে সমস্ত খেলা আমাদের যারা পার্টনার্স আছে মিডিয়া পার্টনার্স অথবা স্পন্সর তারা যদি কোনোটা দেখাতে চায় আমরা খুশি মনে তাদের দিয়ে দিতে চাই। তারা আমাদের কাছে প্রথম অগ্রাধিকার পাবে কারণ ওইখানে তো আমরা টাকা পাব। দিবে না কোনো বিসিবি। কেউ যদি না দেখাতে চায় বা না দেখায় বা না দেখাতে পারে তখন আমাদের কাছে ভিন্ন একটি অপশন থাকলো সিম্পল। কেউ ধরেন এখন যদি অনূর্ধ্ব ১৯-এর খেলা হত অথবা এইচপি (হাই পারফর্মম্যান্স) দলের খেলা হত তাহলে দেখাতে পারতাম না আমরা। আমাদের কোনো অপশন নেই কিন্তু আমরা দেখাতে চাই। তো ঐ অপশন গুলো রাখার জন্য আমরা একটি টিভি চ্যানেলের জন্য উদ্যোগ নিতে চাইছি।’


তবে, স্যাটেলাইট হবে না কি আইপি টিভি সে ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি বিসিবি। আপাতত গঠনতন্ত্রে  সংশোধনী এসেছে, পরে টিভি পরিচালনার ব্যাপারে মূল পরিকল্পনা আসবে বলেই জানিয়েছেন বোর্ডপ্রধান।


বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী একটি ক্রীড়া ফেডারেশন হিসেবে  বিসিবির আইনত টেলিভিশন চ্যানেল ও ক্রিকেটার্স ক্লাব জাতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করার এখতিয়ার ছিল না। বার্ষিক সাধারণ সভায় গঠনতন্ত্রে প্রস্তাবিত সংশোধনী এনে বিষয়গুলোকে আইনের পরিধির মধ্যে এনেছে ক্রিকেট বোর্ড। গঠনতন্ত্রে সংশোধনী নিয়ে পাপনের ভাষ্য, ‘বিসিবি বাণিজ্যিক কার্যক্রমে নিয়োজিত করার জন্য তার গঠনতন্ত্রে দুটি সংশোধনী আনছে। সংস্থাটি ধারা ৬, অনুচ্ছেদ ৬.১৭ এবং ৬.২০ সংশোধন করে উপধারা ৬.১৭ -এর সংশোধনের লক্ষ্য হলো সরকার, স্পনসর এবং অন্যান্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উৎস থেকে তহবিল সংগ্রহ করা যাতে প্রোগ্রামটি বাস্তবায়নে অর্থায়ন করা যায় এবং যেকোনো পরিমাণের এফডিআরসহ ট্রেজারি বন্ড কেনা যায়। যেকোনো তফসিলি ব্যাংকে এবং ঝুঁকির বিধান - অতিরিক্ত তহবিল বিনামূল্যে লাভ বিনিয়োগ।


যোগ করেন, ‘৬.২০- এর সংশোধনীতে বলা হয়েছে, সারা দেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে অবকাঠামো, অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও সামাজিক সুবিধা বৃদ্ধিসহ আনুষঙ্গিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রয়োজনে এক বা একাধিক ট্রাস্ট, কোম্পানি, সোসাইটি/ফাউন্ডেশন গঠন। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিসিবির পক্ষে যে কোনো শেয়ার বোর্ডের পরিচালনা পরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষে পদাধিকারবলে বোর্ড সভাপতি, পরিচালক, এবং নির্বাহী কর্মকর্তা- এর অনুকূলে বরাদ্দকরণ। পরিবর্তনের জন্য প্রস্তাব দুটি ইতোমধ্যে গৃহীত হয়েছে।’


এজিএমের বিষয়ে পাপন বলেন, ‘সাধারণত এজিএমে যা হয় ওই ধরনেরই। আমাদের যেই প্রতিবেদন আছে ২০২১-২২ এবং ২২-২৩ এর সেটা দাখিল করা হয় এবং অনুমোদিত হয়। আমাদের যেই ফিনান্সিয়াল একাউন্ট ইনসিসটেন্স যে আছে সেটা পেশ করা হয়েছে এবং অনুমোদিত হয়েছে আয়-ব্যয় এর হিসাব টা। আমাদের অডিটর পরিবর্তন করেছি, বিশেষ করে আইসিসি যাদের রাখে আমরা তাদের রাখার চেষ্টা করি প্রতিবার। এতদিন ছিলো টিডব্লিউসি এবার আমরা পরিবর্তন এনেছি। এরাও বিশ্বের টপ পাঁচের একটি সেটা হচ্ছে গ্রান্ড থনটন ইন্টারন্যাশনাল। ওদেরকে এবার আমাদের নতুন অডিটর হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি সেটাও ঐখানে অনুমোদন হয়ে গিয়েছে।’


বর্তমানে বিসিবির কোষাগারে অর্থের পরিমাণ ১২শ কোটি টাকা। যা ২০২১ সালের হিসাবে বিসিবিতে জমা অর্থের পরিমাণ ছিল ৯০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত ৩ বছরে আরও ৩০০ কোটি টাকা জমা হয়েছে বিসিবির কোষাগারে। বোর্ডের আর্থিক হিসাব নিয়ে পাপন জানান, ‘বোর্ডের চলতি আর্থিক সালের পহেলা জুলাই ২০২৩ থেকে ৩০ জুন ২০২৪ পর্যন্ত বাজেট অনুমোদিত হয়। যা মোট সম্ভাব্য আয় হচ্ছে ৪৪৬ কোটি টাকা এবং মোট সম্ভাব্য ব্যয় হচ্ছে ৪০৭ কোটি টাকা বিপিএলসহ। এছাড়া মোট উদৃত্ত ৩৯ কোটি টাকা। এখানে একটা জিনিস লক্ষ্যণীয় যে বুঝতেই পারছেন যে আয় একই রকম আছে ব্যয় কিরকম বেড়ে গিয়েছে। আমাদের খরচ অনেক বেড়ে গেছে। তো যেই সেভিংসটা হত এখন আর হবে না সামনে কী হবে সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।’


শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা