ডিপিএল ২০২৪
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ মার্চ ২০২৪ ১৭:৫১ পিএম
আপডেট : ৩০ মার্চ ২০২৪ ১৮:৫৭ পিএম
চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট
লিগে (ডিপিএল) টানা সাত ম্যাচে জয় পেয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেড। সবশেষ
ম্যাচে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে আকাশি নীল শিবির।
আজ শনিবার (৩০ মার্চ) বিকেএসপির তিন
নম্বর মাঠে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৪.৪ ওভারে গুটিয়ে যাওয়ার আগে ২০৪ রান করে গাজী গ্রুপ।
জবাবে এনামুল হক বিজয়ের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ৩৯.২ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়েই সহজ জয় তুলে
নেয় আবাহনী।
এদিন টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী
জুটিতে ৪৫ রান তোলেন গাজীর দুই ওপেনার অধিনায়ক মেহেদী মারুফ ও আনিসুল ইসলাম। তবে
এরপরেই ছন্দপতন ঘটে দলটির। আনিসুল ইসলাম ১৯
করে ফেরার পর রান আউটে কাটা পড়েন সাব্বির হোসেন (৭)। এরপর ব্যাটিংয়ে নামা আল-আমিন জুনিয়র
তাসকিন আহমেদের বাউন্সারে হেলমেটে আঘাত পান। রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
দ্রুত ফিরে যান পারভেজ জীবনও। তাকে
ফেরান সাইফউদ্দিন। একপ্রান্ত আগলে ছিলেন অধিনায়ক মেহেদী মারুফ। এর মাঝে ব্যক্তিগত ফিফটি
তুলে নেন মেহেদী মারুফ। উইকেটের চারপাশে খেলেছেন দারুণ সব শট। ৭৩ বলে আটটি চার ও এক
ছক্কায় ৬০ রানের ইনিংস খেলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে সাইফউদ্দিনের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত
হন তিনি।
এরপর থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে
গাজী গ্রুপ। ইনিংস বড় করতে পারেননি গাজীর কোন ব্যাটারই। এরই মাঝে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের
পথ বেছে নেন হাবিবুর রহমান। মাত্র ২৫ বলে তিনটি চার ও চারটি ছক্কায় ৪১ রানের ঝড়ো ইনিংস
খেলে তানভীর ইসলামের শিকার হন তিনি। এরপর মাহফুজ রাব্বির (৪২ বলে ২৬ রান) ও মঈন খানের
(৩৩ বলে ১৭ রান) ছোট ছোট ইনিংসে ভর করে দুইশ পেরোয় গাজী গ্রুপের ইনিংস।
দুর্দান্ত বোলিং করেছেন আবাহনীর সব বোলাররা। দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন তাসকিন আহমেদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, তানজিম হাসান সাকিব ও তানভীর ইসলাম।
জবাব দিতে নেমে শুরুটা খারাপ ছিল না
আবাহনীর। তবে বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হয়েছে নাঈম শেখ। ২৯ বলে তিনটি চারের সাহায্যে ১৯
রান করে আউট হন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে বড় জুটি গড়েন জাকের আলী অনিক ও এনামুল হক বিজয়।
বড় জুটি গড়ার পাশাপাশি দ্রুত রানও তুলেছেন
তারা। একপর্যায়ে ফিফটি তুলে নেন দুজনই। ৬১ বলে ফিফটি তুলে নেন বিজয়। ৬৩ বলে ফিফটি
তুলে নেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার জাকের আলীও। ডানহাতি এ ব্যাটার আউটে ভাঙে তার ও বিজয়ের
১২২ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি। রুয়েল মিয়ার বলে উইকেটরক্ষক প্রিতম কুমারের হাতে ক্যাচ
দিয়ে ফেরার আগে ৭০ বলে পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কায় সাজানো ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
জাকের আউট হলেও অন্যপ্রান্ত অবিচল ছিলেন বিজয়। এগিয়ে যাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে।
এরই মাঝে চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে
মাত্র এক রানেই ফিরে যান তানজিম হাসান সাকিব। এরপর ক্রিজে আসেন সাইফউদ্দিন। ৩৫তম ওভারে
পরপর দুই বলে রুয়েল মিয়াকে টানা দুটি চার হাঁকান সাইফ। ৩৮ তম ওভারে সেঞ্চুরি করেন
বিজয়। ১১১ বলে সাতটি চার ও তিন ছক্কায় শতরান স্পর্শ করেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ
ছাড়েন বিজয় ও সাইফউদ্দিন। দশ ওভার বাকি থাকতেই জয় পায় আবাহনী। বিজয় অপরাজিত ছিলেন চারটি
ছক্কা ও সাত চারে ১১৮ বলে ১০৭ রান করে। সাইফউদ্দিন করেন ১৬ বলে ১৮ রান।
এই জয়ে সাত ম্যাচের সবগুলোতে জয় নিয়ে
পয়েন্ট তালিকার শীর্ষেই থাকল আবাহনী। সাত ম্যাচে চার জয় নিয়ে গাজীর গ্রুপের অবস্থান
ছয় নম্বরে।