প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৭ মার্চ ২০২৪ ২৩:১১ পিএম
হতাশ ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো
সুইডেনের বিপক্ষে দর্শক ছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। কিন্তু সিআর সেভেনের অভাবটা মোটেও টের পায়নি তার দল। বরং ফুটবল মহাতারকাকে ছাড়াই সুইডিশদের ৫-২ গোলে ধসিয়ে দিয়েছিল পর্তুগাল। স্লোভেনিয়ার বিরুদ্ধে রোনালদো ফিরতেই আরও ধ্বংসাত্মক পারফরম্যান্সই আশা করেছিল পর্তুগিজ ফুটবলের অনুরাগীরা। কিন্তু বাস্তবে তেমন কিছু হয়নি।
পাঁচবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী রোনালদো নিজের প্রত্যাবর্তনটা রাঙাতে পারেননি। তাই তো দুঃস্বপ্নের স্বাদ নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে পর্তুগিজদের। স্লোভেনিয়াকে তারা হারাবে কী! উল্টো ২-০ গোলের হারের তেতো স্বাদ হজম করে মাঠ ছেড়েছে অতিথি পর্তুগাল। নিজেদের মাঠে সবাইকে চমকে দিয়ে ম্যাচের ৭২ মিনিটে স্লোভেনিয়াকে এগিয়ে নেন আদাম সেরিন। আট মিনিট না যেতেই স্বাগতিকদের হয়ে গোল ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিমি এলসনিক।
ইংল্যান্ড ২-২ বেলজিয়াম
ব্রাজিলের কাছে হারের ক্ষতে প্রলেপ দিতেই মাঠে নেমেছিল ইংল্যান্ড। লক্ষ্য ছিল জয়। কিন্তু বেলজিয়ামের বিরুদ্ধেও হারের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল তারা। সৌভাগ্যবশত কোনো মতে ২-২ গোলে ড্রয়ের স্বস্তি নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ইংলিশরা। সেও সম্ভব হয়েছে জুড বেলিংহামের ইনজুরি টাইমের শেষ মুহূর্তের গোলে।
লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে সমানতালেই লড়ে যাচ্ছিলেন ইংলিশ ফুটবলাররা। কিন্তু গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ডের ভুলে ম্যাচের ১১ মিনিটে পিছিয়ে পড়ে স্বাগতিকরা। পিকফোর্ড শট নিয়ে ভুলে বল দেন বেলজিয়ামের আমাদু ওনানাকে। তার পাস থেকে বল পেয়ে লক্ষ্যভেদ করেন ইউরি টিলেমান্স। ছয় মিনিট না যেতেই ইভান টনির পেনাল্টি গোলে সমতায় ফেরে ইংলিশরা।
ম্যাচের ২৬ মিনিটে রোমেলু লুকাকু দুরন্ত এক পাস দেন টিলেমান্সের কাছে। নিশানা ভেদ করতে ভুল করেননি অ্যাস্টন ভিলার এ স্টার ফুটবলার। ডাইভিং হেডে কাঁপান ইংল্যান্ডের জাল। যোগ করা সময়ের শেষ মুহূর্তে স্বাগতিকদের ডাগআউটে স্বস্তির পরশ বইয়ে দেন বেলিংহাম।
জার্মানি ২-১ নেদারল্যান্ডস
জার্মানরা খারাপ সময়টা পেছনে ফেলেছে আগের ম্যাচেই, কিলিয়ান এমবাপের ফ্রান্সকে হারিয়ে। এবার জার্মানি জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষেও। জার্মানরা এবার জয় ছিনিয়ে নিয়েছে ২-১ গোলে। তবে ম্যাচের তিন মিনিটের মধ্যে এগিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। জোয়ি ভেরমান জালে বল জড়াতেই পিছিয়ে পড়ে স্বাগতিক জার্মানি।
সেই কষ্টটা ২০২৪ ইউরোর আয়োজকরা ভুলে যায় মাত্র ৮ মিনিট না যেতেই। ম্যাচের ১১ মিনিটে দুর্দান্ত গোলে জার্মানদের সমতার স্বস্তি উপহার দেন ম্যাক্সিমিলিয়ানো মিটেলস্টাট। আর ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজার ৫ মিনিট আগে জার্মানিকে জয়সূচক গোল উপহার দেন নিকোলাস ফুলক্রগ।
ফ্রান্স ৩-২ চিলি
আগের ম্যাচে জার্মানির কাছে ধরাশায়ী হয়েছিল ফ্রান্স। পরের ম্যাচ দিয়েই জয়ের ধারায় ফিরেছে ফরাসিরা। চ্যালেঞ্জিং আর রোমাঞ্চকর লড়াই শেষে ফ্রান্স ৩-২ গোলে হারিয়েছে চিলিকে। শুরুতে পিছিয়ে পড়েছিল ফ্রান্স। মার্সেলিনো নুনিয়েজের গোলে লিড পেয়েছিল চিলি। লড়াইয়ের ১৮ মিনিটে ফ্রান্সের হয়ে স্কোর লেভেল করেন ইউসুফ ফোফানা।
রানদাল কোলো মুয়ানির কল্যাণে ২৫ মিনিটে ব্যবধান গিয়ে দাঁড়ায় ২-১-এ। দ্বিতীয়ার্ধের ৭২ মিনিটে গোল ব্যবধান ৩-১-এ নিয়ে যান অলিভার জিরুদ। ৮২ মিনিটে দারিও অসোরিওর গোলে হারের ব্যবধান কমিয়ে লড়াই জমিয়ে তুলেছিল লাতিন আমেরিকার দলটি। তবে লাভ হয়নি। শেষে জয়ের উৎসবে মাতে ফরাসিরাই।