ডিপিএল
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ মার্চ ২০২৪ ২০:০৩ পিএম
আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২৪ ২০:০৪ পিএম
সুতোয় ঝুলানো ম্যাচ। বিকেএসপির চার নম্বরে মাঠের বাউন্ডারি লাইনের বাইরে দাঁড়ানো শ'পাঁচেক দশর্কদের মাঝেও ক্ষণিকের নীরবতা। কী হতে যাচ্ছে। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব নাকি প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব— কে হাসবে শেষের হাসি।
ম্যাচ তখন টাই। হাতে বল একটি। উইকেটও একটি। স্ট্রাইকে কামরুল ইসলাম রাব্বি। হাসান মাহমুদের বলটা ডিপ এক্সট্রা কাভারে পাঠিয়েই ভৌঁ দৌড় রাব্বির। তাতেই রোমান্থন। স্মরণীয় এক জয়ের সাক্ষী মোহামেডান।
বিকেএসপিতে আগে ব্যাটিং করে প্রাইম ব্যাংক ১০ উইকেটে ২৭৯ রান করে। জবাবে মোহামেডান বৃষ্টি আইনে ৪৭ ওভারে ২৭২ রানের লক্ষ্য পায়। ওই রান করতে নেমেই— উত্তেজনা, বাঁকবদল। কত কী।
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে তামিমের ফিফটি এবং পারভেজ হোসেন ইমনের দায়িত্বশীল সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহ পায় প্রাইম ব্যাংক। উদ্বোধনী জুটিতে তামিম ও ইমন ১২২ রানের জুটি। তামিম ৮৩ বলে ৬৫ রান করেন ৬ চার ও ১ ছক্কায়। পারভেজের ১১১ বলে ৬টি করে চার ও ছক্কায় ১১০ রান। ডিপিএলে এটি তার পঞ্চম সেঞ্চুরি। চলতি আসরে দ্বিতীয়। তিনে নেমে সাব্বির রহমান করেন ৩৯ রান। প্রাইম ব্যাংকের ইনিংসের শুরুটা ভালো হলেও শেষটা সুন্দর হয়নি। শেষ দিকে অলোকের ১৭ ও আশিকুর জামানের ১৯ বাদে কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেনি। মোহামেডানের হয়ে আরিফুল হক ২০ রানে ৩ উইকেট নেন।
রানতাড়ায় যাচ্ছেতাই শুরু মোহামেডানের। ১৫ রানে পড়ে তিন উইকেট। ইমরুল শূন্য, প্রান্তিক নাবিল এক এবং রনির সংগ্রহ ছিল ১২। এরপর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও আরিফুল ইসলামের দৃঢ়তা। দুজন ১৩৬ রানের জুটি গড়েন। যাতে অঙ্কনের ছিল ৭৮ এবং আরিফুলের ৪৫। ম্যাচের আসল নাটকীয়তা দেখা মেলে শেষে। আবু হায়দার রনির ৩৬ বলে ৫৪ রানের ঝড়ে ম্যাচের নাটাই চলে আসে মোহামেডানের হাতে। সঙ্গে মাহমুদউল্লাহর ৩৩ বলে ৪২ রানও যথেষ্ট অবদান রাখে। ১ উইকেট হাতে রেখে শেষ ১২ বলে ২৪ রান দরকার ছিল মোহামেডানের। কামরুল ইসলাম রাব্বী সমীকরণ মিলিয়ে দেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
প্রাইম ব্যাংক: ৫০ ওভারে ২৭৯/১০ (পারভেজ ইমন ১১০, তামিম ৬৫; আরিফুল ৩/২০)।
মোহামেডান: ৪৭ ওভারে ২৭৫/৯ (অঙ্কন ৭৮, রনি ৫৪; সাকলায়েন সজিব ২/৩২)।
ফল: মোহামেডান ১ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: আবু হায়দার রনি