প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৪ মার্চ ২০২৪ ২৩:৩৯ পিএম
সতীর্থদের নিয়ে এন্ড্রিকের গোল উদযাপন
টানা তিন ম্যাচ জয়শূন্য থাকার পর জয়ের দেখা পেল ব্রাজিল। কোচ ডরিভাল জুনিয়রের অভিষেক ম্যাচ রাঙাল সেলেসাওরা। দুরবস্থা ঝেড়ে ফেলে দল ফিরল ছন্দময় ফুটবলের ট্র্যাকে।
আপৎকালীন কোচ ফার্নান্দো দিনিজের অধীনে সবশেষ তিন ম্যাচে সেলেসাওরা হার মেনেছে উরুগুয়ে, কলম্বিয়া ও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার কাছে। ২২ বছরের মধ্যে এতটা বাজে অবস্থার মধ্য কখনোই যায়নি ব্রাজিল। অবশেষে ডরিভালের কোচিংয়ে ঘুরে দাঁড়াল দক্ষিণ আমেরিকার এ ফুটবল পরাশক্তি।
শনিবার রাতে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে এন্ড্রিকের একমাত্র গোলে স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল। দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে নেমে ৮০ মিনিটে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেন ১৭ বছর বয়সি এই তরুণ।
মাঝমাঠ থেকে বাড়ানো বল অফসাইড ট্র্যাপ ভেঙে নিজের দখলে নিয়েছিলেন ভিনিসিয়ুস। ডি-বক্সে তার শট ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে প্রতিহত হলেও ফাঁকায় দাঁড়ানো এন্ড্রিক বল পেয়ে যান। এরপর সহজেই লক্ষ্যভেদ করেন।
সেই জয়টিও এলো এমন জায়গায়, যেখানে ব্রাজিলের রেকর্ড খুব গর্ব করার মতো নয়। ইংল্যান্ডে আগের ১২ ম্যাচে ব্রাজিলের জয় ছিল কেবল দুটি। সবশেষটি সেই ১৯৯৫ সালে।
ম্যাচের পর ডরিভালের প্রতিক্রিয়ায় সেই স্বস্তিই ফুটে উঠল, ‘বিশেষ এক মুহূর্ত এটি, নিশ্চিতভাবেই। ইংল্যান্ডে খুব কম সময়ই জিততে পেরেছে ব্রাজিল। এটাই বলে দেয়, আমরা কেমন করেছি। তবে আমাদের অবশ্যই এটা ভুলে গেলে চলবে না যে, কাজ সবে শুরু।’
এন্ড্রিকের গোল উদযাপনে ছিল বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস। ম্যাচ শেষে তার কণ্ঠেও মিলল সেই খুশির ছাপ, ‘অনন্য অনুভূতি এটি, এখনও চেষ্টা করছি হজম করে উঠতে…। আমার পরিবার আছে এখানে, আমার বান্ধবী, এজেন্ট, সবাই আছে…। আমি এমন নই যে খুব কান্নাকাটি করি, নিজেকে সামলে রাখছি। তবে সত্যিই এটা অনন্য এক অনুভূতি, আমি খুবই খুশি।’
এন্ড্রিকের স্তুতি গাইলেন কোচ ডরিভালও, ‘এখনও পর্যন্ত যে মানসিকতা সে দেখিয়েছে, তা যদি ধরে রাখতে পারে, তাহলে সে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল ও বিশ্ব ফুটবলের খুবই গুরুত্বপূর্ণ নাম হবে।’